বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কারখানা নদীর লাগাতার ভাঙনে দিশেহারা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। একসময়ের কৃষিভিত্তিক সমৃদ্ধ গ্রাম এখন পরিণত হয়েছে বিলাপের জনপদে। একেকটি ঘর, জমি আর গৃহস্থালি যেন গিলে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত নদী। এই নদীর করাল থাবায় নিঃস্ব হয়ে আজ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।
কাছিপাড়া ইউপির হাজিপুর গ্রামের আলেয়া বেগম (৫৫) সেই নির্মমতার এক প্রতীক। বিয়ের সময় শশুরবাড়ির গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান, পুকুরে মাছ আর উর্বর জমি দেখে স্বজনেরা তাঁকে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নদীভাঙন তাঁর চোখের সামনে গিলে খেয়েছে স্বপ্নের সেই ঘর, উঠান, ফসলি জমি আর স্বামীর উত্তরাধিকারের সম্পদ।
আলেয়া বলেন, ‘সর্বনাশা এই কারখানা নদী মোর স্বামীর ঘরবাড়ি, জমি সব খাইছে। খালি মোগো খায় না—পুরা হাজিরপুর গ্রামটা গিল্লা খাইছে। যেই জমি আছিল, তা পাশের উপজেলায় চর হইয়া বড়লোকরা খায় এখন।’
তিনবার ভাঙনের কবলে পড়ে সহায়-সম্বলহীন আলেয়া এখন দুই সন্তান নিয়ে কাছিপাড়া সড়কের পাশে খড়ের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।
নদীভাঙন শুধু আলেয়ার ঘর কেড়ে নেয়নি—গোপালিয়া বাঘা গ্রামের কৃষক আয়নাল হোসেনের জীবনেও এনেছে অমোচনীয় শোক। নিজের চোখের সামনে ভাই হারানোর স্মৃতি বলতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। আয়নাল বলেন, ‘বর্গা জমির আধা পাকা ধান কেটে গরুকে খাওয়ামু। ধানের আঁটি লইয়া আগে আইলাম আমি। কিন্তু বড় ভাই জয়নাল আর আইল না। পরে দেখি ধানের আঁটি ভাসে, ভাই ভাঙনে (মাটির নিচে চাপা পড়ে) মারা গেছে।’
কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইয়াকুব আলী রুবেল মোল্লা জানান, তেঁতুলিয়া নদী থেকে বাকেরগঞ্জের গোমা হয়ে এই কারখানা-ঝিলনা নদী লোহালিয়া হয়ে পায়রায় মিলেছে। নদীর তীরবর্তী কাছিপাড়া, কনকদিয়া ও বগা ইউনিয়নের ছয়-সাতটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখন পুরোপুরি ঝুঁকির মধ্যে। তিনি বলেন, ‘বাহের চর, হাজিরপুর, গোপালিয়া, কলতা, সন্ন্যাসীকান্দা—এসব গ্রামের মানুষের কোথাও বেড়িবাঁধ নেই। এ কারণে বছরজুড়ে নদীভাঙন, বর্ষায় জলোচ্ছ্বাসে গরু-ছাগল থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি পর্যন্ত ভেসে যাচ্ছে। হাজিপুর গ্রাম তো পুরোপুরি নদীগর্ভে গেছে।’

চররঘুনাদ্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে এখন অরক্ষিত।
হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ এম মামুন হোসেন বলেন, ‘আমি যোগদানের সময় নদী ছিল গ্রামের উত্তর পাশে। পাঁচ বছরে দেড় কিলোমিটার ভেঙে এখন বিদ্যালয়ের মাত্র দেড় শ মিটার দূরে এসে গেছে। জোয়ার এলেই শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে হয়—জোয়ারের গর্জনেই আমরা আতঙ্কে থাকি।’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নদীর ১০-১৫ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গ্রামগুলো টিকিয়ে রাখতে অবিলম্বে বাঁধ বা বস্তা ফেলে নদীশাসন জরুরি।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় বড় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার জিও ব্যাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পুরো এলাকায় স্থায়ী রক্ষাব্যবস্থা গড়তে প্রকল্প দাখিল করা হবে। অনুমোদন পেলে ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করা সম্ভব।
এদিকে প্রতিদিন নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে নতুন নতুন ভূমি, ভাঙনের আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ভাঙনের থাবা যদি দ্রুত ঠেকানো না যায়, তবে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে বাউফলের আরও কয়েকটি গ্রাম।

কারখানা নদীর লাগাতার ভাঙনে দিশেহারা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। একসময়ের কৃষিভিত্তিক সমৃদ্ধ গ্রাম এখন পরিণত হয়েছে বিলাপের জনপদে। একেকটি ঘর, জমি আর গৃহস্থালি যেন গিলে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত নদী। এই নদীর করাল থাবায় নিঃস্ব হয়ে আজ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।
কাছিপাড়া ইউপির হাজিপুর গ্রামের আলেয়া বেগম (৫৫) সেই নির্মমতার এক প্রতীক। বিয়ের সময় শশুরবাড়ির গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান, পুকুরে মাছ আর উর্বর জমি দেখে স্বজনেরা তাঁকে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নদীভাঙন তাঁর চোখের সামনে গিলে খেয়েছে স্বপ্নের সেই ঘর, উঠান, ফসলি জমি আর স্বামীর উত্তরাধিকারের সম্পদ।
আলেয়া বলেন, ‘সর্বনাশা এই কারখানা নদী মোর স্বামীর ঘরবাড়ি, জমি সব খাইছে। খালি মোগো খায় না—পুরা হাজিরপুর গ্রামটা গিল্লা খাইছে। যেই জমি আছিল, তা পাশের উপজেলায় চর হইয়া বড়লোকরা খায় এখন।’
তিনবার ভাঙনের কবলে পড়ে সহায়-সম্বলহীন আলেয়া এখন দুই সন্তান নিয়ে কাছিপাড়া সড়কের পাশে খড়ের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।
নদীভাঙন শুধু আলেয়ার ঘর কেড়ে নেয়নি—গোপালিয়া বাঘা গ্রামের কৃষক আয়নাল হোসেনের জীবনেও এনেছে অমোচনীয় শোক। নিজের চোখের সামনে ভাই হারানোর স্মৃতি বলতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। আয়নাল বলেন, ‘বর্গা জমির আধা পাকা ধান কেটে গরুকে খাওয়ামু। ধানের আঁটি লইয়া আগে আইলাম আমি। কিন্তু বড় ভাই জয়নাল আর আইল না। পরে দেখি ধানের আঁটি ভাসে, ভাই ভাঙনে (মাটির নিচে চাপা পড়ে) মারা গেছে।’
কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইয়াকুব আলী রুবেল মোল্লা জানান, তেঁতুলিয়া নদী থেকে বাকেরগঞ্জের গোমা হয়ে এই কারখানা-ঝিলনা নদী লোহালিয়া হয়ে পায়রায় মিলেছে। নদীর তীরবর্তী কাছিপাড়া, কনকদিয়া ও বগা ইউনিয়নের ছয়-সাতটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখন পুরোপুরি ঝুঁকির মধ্যে। তিনি বলেন, ‘বাহের চর, হাজিরপুর, গোপালিয়া, কলতা, সন্ন্যাসীকান্দা—এসব গ্রামের মানুষের কোথাও বেড়িবাঁধ নেই। এ কারণে বছরজুড়ে নদীভাঙন, বর্ষায় জলোচ্ছ্বাসে গরু-ছাগল থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি পর্যন্ত ভেসে যাচ্ছে। হাজিপুর গ্রাম তো পুরোপুরি নদীগর্ভে গেছে।’

চররঘুনাদ্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে এখন অরক্ষিত।
হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ এম মামুন হোসেন বলেন, ‘আমি যোগদানের সময় নদী ছিল গ্রামের উত্তর পাশে। পাঁচ বছরে দেড় কিলোমিটার ভেঙে এখন বিদ্যালয়ের মাত্র দেড় শ মিটার দূরে এসে গেছে। জোয়ার এলেই শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে হয়—জোয়ারের গর্জনেই আমরা আতঙ্কে থাকি।’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নদীর ১০-১৫ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গ্রামগুলো টিকিয়ে রাখতে অবিলম্বে বাঁধ বা বস্তা ফেলে নদীশাসন জরুরি।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় বড় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার জিও ব্যাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পুরো এলাকায় স্থায়ী রক্ষাব্যবস্থা গড়তে প্রকল্প দাখিল করা হবে। অনুমোদন পেলে ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করা সম্ভব।
এদিকে প্রতিদিন নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে নতুন নতুন ভূমি, ভাঙনের আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ভাঙনের থাবা যদি দ্রুত ঠেকানো না যায়, তবে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে বাউফলের আরও কয়েকটি গ্রাম।
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কারখানা নদীর লাগাতার ভাঙনে দিশেহারা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। একসময়ের কৃষিভিত্তিক সমৃদ্ধ গ্রাম এখন পরিণত হয়েছে বিলাপের জনপদে। একেকটি ঘর, জমি আর গৃহস্থালি যেন গিলে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত নদী। এই নদীর করাল থাবায় নিঃস্ব হয়ে আজ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।
কাছিপাড়া ইউপির হাজিপুর গ্রামের আলেয়া বেগম (৫৫) সেই নির্মমতার এক প্রতীক। বিয়ের সময় শশুরবাড়ির গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান, পুকুরে মাছ আর উর্বর জমি দেখে স্বজনেরা তাঁকে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নদীভাঙন তাঁর চোখের সামনে গিলে খেয়েছে স্বপ্নের সেই ঘর, উঠান, ফসলি জমি আর স্বামীর উত্তরাধিকারের সম্পদ।
আলেয়া বলেন, ‘সর্বনাশা এই কারখানা নদী মোর স্বামীর ঘরবাড়ি, জমি সব খাইছে। খালি মোগো খায় না—পুরা হাজিরপুর গ্রামটা গিল্লা খাইছে। যেই জমি আছিল, তা পাশের উপজেলায় চর হইয়া বড়লোকরা খায় এখন।’
তিনবার ভাঙনের কবলে পড়ে সহায়-সম্বলহীন আলেয়া এখন দুই সন্তান নিয়ে কাছিপাড়া সড়কের পাশে খড়ের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।
নদীভাঙন শুধু আলেয়ার ঘর কেড়ে নেয়নি—গোপালিয়া বাঘা গ্রামের কৃষক আয়নাল হোসেনের জীবনেও এনেছে অমোচনীয় শোক। নিজের চোখের সামনে ভাই হারানোর স্মৃতি বলতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। আয়নাল বলেন, ‘বর্গা জমির আধা পাকা ধান কেটে গরুকে খাওয়ামু। ধানের আঁটি লইয়া আগে আইলাম আমি। কিন্তু বড় ভাই জয়নাল আর আইল না। পরে দেখি ধানের আঁটি ভাসে, ভাই ভাঙনে (মাটির নিচে চাপা পড়ে) মারা গেছে।’
কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইয়াকুব আলী রুবেল মোল্লা জানান, তেঁতুলিয়া নদী থেকে বাকেরগঞ্জের গোমা হয়ে এই কারখানা-ঝিলনা নদী লোহালিয়া হয়ে পায়রায় মিলেছে। নদীর তীরবর্তী কাছিপাড়া, কনকদিয়া ও বগা ইউনিয়নের ছয়-সাতটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখন পুরোপুরি ঝুঁকির মধ্যে। তিনি বলেন, ‘বাহের চর, হাজিরপুর, গোপালিয়া, কলতা, সন্ন্যাসীকান্দা—এসব গ্রামের মানুষের কোথাও বেড়িবাঁধ নেই। এ কারণে বছরজুড়ে নদীভাঙন, বর্ষায় জলোচ্ছ্বাসে গরু-ছাগল থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি পর্যন্ত ভেসে যাচ্ছে। হাজিপুর গ্রাম তো পুরোপুরি নদীগর্ভে গেছে।’

চররঘুনাদ্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে এখন অরক্ষিত।
হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ এম মামুন হোসেন বলেন, ‘আমি যোগদানের সময় নদী ছিল গ্রামের উত্তর পাশে। পাঁচ বছরে দেড় কিলোমিটার ভেঙে এখন বিদ্যালয়ের মাত্র দেড় শ মিটার দূরে এসে গেছে। জোয়ার এলেই শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে হয়—জোয়ারের গর্জনেই আমরা আতঙ্কে থাকি।’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নদীর ১০-১৫ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গ্রামগুলো টিকিয়ে রাখতে অবিলম্বে বাঁধ বা বস্তা ফেলে নদীশাসন জরুরি।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় বড় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার জিও ব্যাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পুরো এলাকায় স্থায়ী রক্ষাব্যবস্থা গড়তে প্রকল্প দাখিল করা হবে। অনুমোদন পেলে ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করা সম্ভব।
এদিকে প্রতিদিন নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে নতুন নতুন ভূমি, ভাঙনের আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ভাঙনের থাবা যদি দ্রুত ঠেকানো না যায়, তবে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে বাউফলের আরও কয়েকটি গ্রাম।

কারখানা নদীর লাগাতার ভাঙনে দিশেহারা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। একসময়ের কৃষিভিত্তিক সমৃদ্ধ গ্রাম এখন পরিণত হয়েছে বিলাপের জনপদে। একেকটি ঘর, জমি আর গৃহস্থালি যেন গিলে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত নদী। এই নদীর করাল থাবায় নিঃস্ব হয়ে আজ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।
কাছিপাড়া ইউপির হাজিপুর গ্রামের আলেয়া বেগম (৫৫) সেই নির্মমতার এক প্রতীক। বিয়ের সময় শশুরবাড়ির গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান, পুকুরে মাছ আর উর্বর জমি দেখে স্বজনেরা তাঁকে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নদীভাঙন তাঁর চোখের সামনে গিলে খেয়েছে স্বপ্নের সেই ঘর, উঠান, ফসলি জমি আর স্বামীর উত্তরাধিকারের সম্পদ।
আলেয়া বলেন, ‘সর্বনাশা এই কারখানা নদী মোর স্বামীর ঘরবাড়ি, জমি সব খাইছে। খালি মোগো খায় না—পুরা হাজিরপুর গ্রামটা গিল্লা খাইছে। যেই জমি আছিল, তা পাশের উপজেলায় চর হইয়া বড়লোকরা খায় এখন।’
তিনবার ভাঙনের কবলে পড়ে সহায়-সম্বলহীন আলেয়া এখন দুই সন্তান নিয়ে কাছিপাড়া সড়কের পাশে খড়ের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।
নদীভাঙন শুধু আলেয়ার ঘর কেড়ে নেয়নি—গোপালিয়া বাঘা গ্রামের কৃষক আয়নাল হোসেনের জীবনেও এনেছে অমোচনীয় শোক। নিজের চোখের সামনে ভাই হারানোর স্মৃতি বলতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। আয়নাল বলেন, ‘বর্গা জমির আধা পাকা ধান কেটে গরুকে খাওয়ামু। ধানের আঁটি লইয়া আগে আইলাম আমি। কিন্তু বড় ভাই জয়নাল আর আইল না। পরে দেখি ধানের আঁটি ভাসে, ভাই ভাঙনে (মাটির নিচে চাপা পড়ে) মারা গেছে।’
কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইয়াকুব আলী রুবেল মোল্লা জানান, তেঁতুলিয়া নদী থেকে বাকেরগঞ্জের গোমা হয়ে এই কারখানা-ঝিলনা নদী লোহালিয়া হয়ে পায়রায় মিলেছে। নদীর তীরবর্তী কাছিপাড়া, কনকদিয়া ও বগা ইউনিয়নের ছয়-সাতটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখন পুরোপুরি ঝুঁকির মধ্যে। তিনি বলেন, ‘বাহের চর, হাজিরপুর, গোপালিয়া, কলতা, সন্ন্যাসীকান্দা—এসব গ্রামের মানুষের কোথাও বেড়িবাঁধ নেই। এ কারণে বছরজুড়ে নদীভাঙন, বর্ষায় জলোচ্ছ্বাসে গরু-ছাগল থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি পর্যন্ত ভেসে যাচ্ছে। হাজিপুর গ্রাম তো পুরোপুরি নদীগর্ভে গেছে।’

চররঘুনাদ্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে এখন অরক্ষিত।
হিস্যাজাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফ এম মামুন হোসেন বলেন, ‘আমি যোগদানের সময় নদী ছিল গ্রামের উত্তর পাশে। পাঁচ বছরে দেড় কিলোমিটার ভেঙে এখন বিদ্যালয়ের মাত্র দেড় শ মিটার দূরে এসে গেছে। জোয়ার এলেই শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে হয়—জোয়ারের গর্জনেই আমরা আতঙ্কে থাকি।’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নদীর ১০-১৫ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গ্রামগুলো টিকিয়ে রাখতে অবিলম্বে বাঁধ বা বস্তা ফেলে নদীশাসন জরুরি।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় বড় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার জিও ব্যাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পুরো এলাকায় স্থায়ী রক্ষাব্যবস্থা গড়তে প্রকল্প দাখিল করা হবে। অনুমোদন পেলে ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করা সম্ভব।
এদিকে প্রতিদিন নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে নতুন নতুন ভূমি, ভাঙনের আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ভাঙনের থাবা যদি দ্রুত ঠেকানো না যায়, তবে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে বাউফলের আরও কয়েকটি গ্রাম।

নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদক কারবারি অভিযোগে দম্পতি ও তাঁদের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন শহিদুল ইসলাম ওরফে ভম্বু (৪৫), তাঁর স্ত্রী তানিয়া আক্তার এবং সহযোগী রুবেল আলী (২৯)। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগে
বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
৩৯ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগেগুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি

নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদক কারবারি অভিযোগে দম্পতি ও তাঁদের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন শহিদুল ইসলাম ওরফে ভম্বু (৪৫), তাঁর স্ত্রী তানিয়া আক্তার এবং সহযোগী রুবেল আলী (২৯)। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, দম্পতিটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার করে আসছিল। শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২১টি এবং তাঁর স্ত্রী তানিয়ার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোতে তাঁরা জামিনে ছিলেন। সহযোগী রুবেল আলী তাঁদের মাদক কারবারে সহায়তা করতেন।
ওসি জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাঁদের কাছ থেকে ১০৭টি ইয়াবা, ২৪৫ পুরিয়া হেরোইন এবং মাদক কারবারের ৫৬ হাজার ৫৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে পরিবারটি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ও কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বহুবার আটক হলেও তাঁরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবার মাদক কারবারে ফেরেন। এলাকায় মাদক ছড়িয়ে পড়লেও ভয়ের কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেত না। আবারও মাদকসহ দম্পতিকে আটক করায় স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ওসি দুলাল হোসেন আরও বলেন, ‘আগে যেভাবেই রক্ষা পেয়ে থাকুক, এখন মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদক কারবারি অভিযোগে দম্পতি ও তাঁদের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন শহিদুল ইসলাম ওরফে ভম্বু (৪৫), তাঁর স্ত্রী তানিয়া আক্তার এবং সহযোগী রুবেল আলী (২৯)। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, দম্পতিটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার করে আসছিল। শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২১টি এবং তাঁর স্ত্রী তানিয়ার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোতে তাঁরা জামিনে ছিলেন। সহযোগী রুবেল আলী তাঁদের মাদক কারবারে সহায়তা করতেন।
ওসি জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাঁদের কাছ থেকে ১০৭টি ইয়াবা, ২৪৫ পুরিয়া হেরোইন এবং মাদক কারবারের ৫৬ হাজার ৫৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে পরিবারটি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ও কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বহুবার আটক হলেও তাঁরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবার মাদক কারবারে ফেরেন। এলাকায় মাদক ছড়িয়ে পড়লেও ভয়ের কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেত না। আবারও মাদকসহ দম্পতিকে আটক করায় স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ওসি দুলাল হোসেন আরও বলেন, ‘আগে যেভাবেই রক্ষা পেয়ে থাকুক, এখন মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কারখানা নদীর লাগাতার ভাঙনে দিশেহারা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। একসময়ের কৃষিভিত্তিক সমৃদ্ধ গ্রাম এখন পরিণত হয়েছে বিলাপের জনপদে। একেকটি ঘর, জমি আর গৃহস্থালি যেন গিলে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত নদী। এই নদীর করাল থাবায় নিঃস্ব হয়ে আজ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।
৫ দিন আগে
সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগে
বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
৩৯ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্পিডবোটটিতে নারী, পুরুষ, শিশুসহ মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। সাগরের ঢেউয়ের কারণে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পরে পাশের অন্য একটি স্পিডবোট দ্রুত পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে।
স্পিডবোটের চালক মো. আরিফ জানান, সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিফ আলভী জানান, দুজনকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে।

সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্পিডবোটটিতে নারী, পুরুষ, শিশুসহ মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। সাগরের ঢেউয়ের কারণে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পরে পাশের অন্য একটি স্পিডবোট দ্রুত পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে।
স্পিডবোটের চালক মো. আরিফ জানান, সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিফ আলভী জানান, দুজনকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে।

কারখানা নদীর লাগাতার ভাঙনে দিশেহারা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। একসময়ের কৃষিভিত্তিক সমৃদ্ধ গ্রাম এখন পরিণত হয়েছে বিলাপের জনপদে। একেকটি ঘর, জমি আর গৃহস্থালি যেন গিলে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত নদী। এই নদীর করাল থাবায় নিঃস্ব হয়ে আজ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।
৫ দিন আগে
নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদক কারবারি অভিযোগে দম্পতি ও তাঁদের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন শহিদুল ইসলাম ওরফে ভম্বু (৪৫), তাঁর স্ত্রী তানিয়া আক্তার এবং সহযোগী রুবেল আলী (২৯)। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
৩৯ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় আজ বেলা ১১টা দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আফসার শেখ বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এসে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নোমান রাসেল জানান, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।
কাটাখালী হাইওয়ে থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এ কে এম হাসনুজ্জামান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছে।

বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় আজ বেলা ১১টা দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আফসার শেখ বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এসে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নোমান রাসেল জানান, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।
কাটাখালী হাইওয়ে থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এ কে এম হাসনুজ্জামান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছে।

কারখানা নদীর লাগাতার ভাঙনে দিশেহারা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। একসময়ের কৃষিভিত্তিক সমৃদ্ধ গ্রাম এখন পরিণত হয়েছে বিলাপের জনপদে। একেকটি ঘর, জমি আর গৃহস্থালি যেন গিলে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত নদী। এই নদীর করাল থাবায় নিঃস্ব হয়ে আজ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।
৫ দিন আগে
নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদক কারবারি অভিযোগে দম্পতি ও তাঁদের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন শহিদুল ইসলাম ওরফে ভম্বু (৪৫), তাঁর স্ত্রী তানিয়া আক্তার এবং সহযোগী রুবেল আলী (২৯)। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সাল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়নের চর ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের মো. এসকেন্দারের ছেলে।
গোপীনাথপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম জানান, চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকার একটি তুলার মিলে ঝুট থেকে তুলা তৈরির কাজ করতেন ফয়সাল। সকালে তুলা তৈরি করার সময় গলায় থাকা গামছা মেশিনের হলারে পেঁচিয়ে গেলে গলায় ফাঁস লেগে মারাত্মক আহত হন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সাল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়নের চর ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের মো. এসকেন্দারের ছেলে।
গোপীনাথপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম জানান, চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকার একটি তুলার মিলে ঝুট থেকে তুলা তৈরির কাজ করতেন ফয়সাল। সকালে তুলা তৈরি করার সময় গলায় থাকা গামছা মেশিনের হলারে পেঁচিয়ে গেলে গলায় ফাঁস লেগে মারাত্মক আহত হন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কারখানা নদীর লাগাতার ভাঙনে দিশেহারা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। একসময়ের কৃষিভিত্তিক সমৃদ্ধ গ্রাম এখন পরিণত হয়েছে বিলাপের জনপদে। একেকটি ঘর, জমি আর গৃহস্থালি যেন গিলে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত নদী। এই নদীর করাল থাবায় নিঃস্ব হয়ে আজ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।
৫ দিন আগে
নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদক কারবারি অভিযোগে দম্পতি ও তাঁদের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন শহিদুল ইসলাম ওরফে ভম্বু (৪৫), তাঁর স্ত্রী তানিয়া আক্তার এবং সহযোগী রুবেল আলী (২৯)। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগে
বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
৩৯ মিনিট আগে