মুন্সিরহাট খাদ্যগুদাম
মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার মুন্সিরহাট সরকারি খাদ্যগুদামে চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের পরিবর্তে সিন্ডিকেট থেকে ধান কেনার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন অনলাইনে নিবন্ধন করেও ধান বিক্রি করতে না পারা প্রান্তিক কৃষকেরা।
ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে বহিরাগত ব্যবসায়ীদের কাছে ধান কিনেছে খাদ্য বিভাগ। এতে কৃষকেরা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে ধান গুদামে নিয়েও বিক্রি করতে না পেরে ফেরত এনেছেন। তাঁদের দাবি, গুদামে ধান না দিতে পারায় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে মুন্সিরহাট খাদ্যগুদামের আওতায় ধোবাউড়া সদর, ঘোষগাঁও ও বাঘবেড় ইউনিয়নের ৬৯৬ কৃষক অনলাইনে নিবন্ধন করেন। গুদামে ধান কেনার বরাদ্দ পায় ৬১০ টন। ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান নেওয়া ২৮ মে থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় ২৮ জুন।
অভিযোগ রয়েছে, মুন্সিরহাট এলএসডি (লোকাল সাইলো ডিপো) গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বাইরের ধান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে তাঁদের কাছ থেকে ধান কিনে নিজে মুনাফা লুটেছেন। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত কৃষকেরা গুদামে একাধিকবার ধান বিক্রি করতে গেলে কেনা শেষ বলে জানিয়ে দেন।
বাঘবেড় ইউনিয়নের মান্দালিয়া এলাকার কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমিসহ আমার পরিবারের পাঁচটি নাম তালিকায় রয়েছে। সরকারি গুদামে ধান বিক্রি শুরু হলে শর্ত পূরণ করে আমি ধান প্রস্তুত করে গুদামে যাওয়ার পর বলা হলো, কেনা শেষ; পরে আবার বরাদ্দ পেলে নেওয়া হবে। এদিকে দেখি রাতের আঁধারে গুদামে গাড়িভর্তি ধান যাচ্ছে অথচ আমাদের ধান নিচ্ছে না। পরে জানতে পারলাম, একটি প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে গুদামের কর্মকর্তারা ধান কিনছেন।’
মুন্সিরহাট এলাকার ওলি মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ধান নিয়ে গেলে বলে, কেনা শেষ। অথচ প্রতিদিন রাতে ধান যায়, সেগুলো কি কিনে খাবে? আমরা তালিকাভুক্ত থাকা সত্ত্বেও ধান দিতে পারলাম না। অথচ ধান কেনা শেষ হয়ে গেল। তাহলে আমার বরাদ্দের ধান দিল কে? এই বিচার কে করবে?’
আরেক কৃষক শাহ আলম বলেন, ‘কয়েক দিন ধান নিয়ে আসলাম, এতে খরচও হলো। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবি আশা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের অভিযোগ অস্বীকার করেন মুন্সিরহাট এলএসডি খাদ্যগুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যাঁরা অনলাইনে আবেদন করেছেন, সবারই তালিকায় নাম আসায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। বরাদ্দের পরিমাণ কম ও কৃষক বেশি থাকায় যাঁরা আগে ধান নিয়ে আসছেন, তাঁদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন বলেন, ‘এ বছর নিবন্ধিত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। যাঁরা আগে আসছেন, তাঁরা আগে ধান বিক্রি করতে পারবেন। মুন্সিরহাটের এ ঘটনা জানার পর খাদ্য কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি ধান কেনায় কোনো অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেউ অনিয়ম করলে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার মুন্সিরহাট সরকারি খাদ্যগুদামে চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের পরিবর্তে সিন্ডিকেট থেকে ধান কেনার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন অনলাইনে নিবন্ধন করেও ধান বিক্রি করতে না পারা প্রান্তিক কৃষকেরা।
ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে বহিরাগত ব্যবসায়ীদের কাছে ধান কিনেছে খাদ্য বিভাগ। এতে কৃষকেরা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে ধান গুদামে নিয়েও বিক্রি করতে না পেরে ফেরত এনেছেন। তাঁদের দাবি, গুদামে ধান না দিতে পারায় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে মুন্সিরহাট খাদ্যগুদামের আওতায় ধোবাউড়া সদর, ঘোষগাঁও ও বাঘবেড় ইউনিয়নের ৬৯৬ কৃষক অনলাইনে নিবন্ধন করেন। গুদামে ধান কেনার বরাদ্দ পায় ৬১০ টন। ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান নেওয়া ২৮ মে থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় ২৮ জুন।
অভিযোগ রয়েছে, মুন্সিরহাট এলএসডি (লোকাল সাইলো ডিপো) গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বাইরের ধান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে তাঁদের কাছ থেকে ধান কিনে নিজে মুনাফা লুটেছেন। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত কৃষকেরা গুদামে একাধিকবার ধান বিক্রি করতে গেলে কেনা শেষ বলে জানিয়ে দেন।
বাঘবেড় ইউনিয়নের মান্দালিয়া এলাকার কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমিসহ আমার পরিবারের পাঁচটি নাম তালিকায় রয়েছে। সরকারি গুদামে ধান বিক্রি শুরু হলে শর্ত পূরণ করে আমি ধান প্রস্তুত করে গুদামে যাওয়ার পর বলা হলো, কেনা শেষ; পরে আবার বরাদ্দ পেলে নেওয়া হবে। এদিকে দেখি রাতের আঁধারে গুদামে গাড়িভর্তি ধান যাচ্ছে অথচ আমাদের ধান নিচ্ছে না। পরে জানতে পারলাম, একটি প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে গুদামের কর্মকর্তারা ধান কিনছেন।’
মুন্সিরহাট এলাকার ওলি মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ধান নিয়ে গেলে বলে, কেনা শেষ। অথচ প্রতিদিন রাতে ধান যায়, সেগুলো কি কিনে খাবে? আমরা তালিকাভুক্ত থাকা সত্ত্বেও ধান দিতে পারলাম না। অথচ ধান কেনা শেষ হয়ে গেল। তাহলে আমার বরাদ্দের ধান দিল কে? এই বিচার কে করবে?’
আরেক কৃষক শাহ আলম বলেন, ‘কয়েক দিন ধান নিয়ে আসলাম, এতে খরচও হলো। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবি আশা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের অভিযোগ অস্বীকার করেন মুন্সিরহাট এলএসডি খাদ্যগুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যাঁরা অনলাইনে আবেদন করেছেন, সবারই তালিকায় নাম আসায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। বরাদ্দের পরিমাণ কম ও কৃষক বেশি থাকায় যাঁরা আগে ধান নিয়ে আসছেন, তাঁদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন বলেন, ‘এ বছর নিবন্ধিত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। যাঁরা আগে আসছেন, তাঁরা আগে ধান বিক্রি করতে পারবেন। মুন্সিরহাটের এ ঘটনা জানার পর খাদ্য কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি ধান কেনায় কোনো অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেউ অনিয়ম করলে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবার কৃত্রিম উপায়ে ইনকিউবেটরে ২৫টি, ২০২১ সালে ২৮টি, ২০২২ সালে ১১টি, ২০২৩ সালে ১৬টি, ২০২৪ সালে ৩৫টিসহ মোট ১১৫টি অজগরের ছানা ফোটানো হয়। গত ০৪ ও ১৪ এপ্রিল দুইটি অজগর থেকে পাওয়া ৪৫টি ডিম সংগ্রহ করে হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে বসানো হয়।
১৩ মিনিট আগেতিনি বলেন, “দেশে ইদানীং কিছু রাজনৈতিক দলের দখল ও লুটপাট জনগণ প্রত্যক্ষ করছে। সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে বলব—নিজেদের সামলান, না হলে জনগণই আপনাদের সামলে দেবে।”
৩৮ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে থাকা একটি বন্ধ গণপাঠাগারে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাঠাগারে নামমাত্র একটি চেয়ার এবং দুটি স্টিলের বুকশেলফ কিনে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পের বাকি টাকা পিআইও দপ্তর ও পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসড়কটির স্থায়িত্ব ও সৌন্দর্য রক্ষায় ২০১৯ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এর আওতায় ৬৬৩ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধের এক পাশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ এবং মাটি ভরাট করে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। একইসঙ্গে ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয় রোডস লেক ভিউ গার্ডেন।
২ ঘণ্টা আগে