Ajker Patrika

স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা শুনে শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূ, হাত-পা বেঁধে নির্যাতন 

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ২২: ৪০
Thumbnail image

স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা শুনে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে আসেন রুমানা ইয়াসমিন রত্না (৩৫)। এরপর সেখানে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের উচ্চগ্রামে। এই ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে রত্নার বড় ভাই সাইদুর রহমান সাজু বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মহাদান ইউনিয়নের কুদুলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মজিবর রহমানের সঙ্গে প্রায় ১৮ বছর আগে একই ইউনিয়নের উচ্চগ্রামের মুন্তাজ আলীর মেয়ে রত্নার বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মজিবর। একপর্যায়ে রত্নাকে কৌশলে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তিনি। 

রত্নাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার চার-পাঁচ দিন পর সম্পর্ক করা নারীকে বিয়ে করে ঘরে তোলেন মজিবর। খবর পেয়ে স্বামীর বাড়িতে আসেন রত্না। এ নিয়ে মজিবর ও তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে রত্নার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে রত্নার হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা। রত্নার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জানতে পেরে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে বলে অভিযোগ থেকে জানা গেছে।

রত্নার বড় ভাই সাইদুর রহমান সাজু বলেন, ‘মজিবর ও রত্নার সাত-আট মাস আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর প্রায় দেড় মাস আগে তাঁদের আবারও বিয়ে হয়। কিন্তু মজিবর চার-পাঁচ দিন আগে আরেকটি নারীকে বিয়ে করেছেন। তা জানতে পেরে শ্বশুরবাড়িতে যান রত্না। সেখানে মজিবর ও তাঁর পরিবারের লোকজন রত্নার হাত-পা বেঁধে মারধর করেছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।’ 

এ বিষয়ে জানতে মজিবর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত