ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ঈদুল ফিতর উদ্যাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে ময়মনসিংহে বিড়ম্বনায় পড়েছেন যাত্রীরা। ২০০ টাকার জায়গায় ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়েও বাসে আসন মিলছে না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ তাঁরা। তবে চালকদের দাবি, যাত্রীরা অখুশি নন।
আজ শনিবার সকালে নগরীর পাটগুদাম সেতু মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, কর্মস্থলে ফিরতে শত শত মানুষের ভিড়। তাঁরা গাজীপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও শেরপুর থেকে এসেছেন। ময়মনসিংহ আসতেও বাস, পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশায় দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে তাঁদের। একই চিত্র নগরীর মাসকান্দা বাস টার্মিনাল ও বাইপাস মোড়ে ছিল।
যাত্রীদের অভিযোগ, এবারের মতো ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য আগে কোনো বছর হয়নি। এ বছর বাসসেবাসংশ্লিষ্ট লোকজন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় নৈরাজ্য বেড়ে গেছে। তবে চালক ও তাঁদের সহকারীদের দাবি, যাত্রী নামিয়ে দিয়ে তাঁদের খালি ফিরতে হয়, যে কারণে তাঁরা কিছু ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। এটা শুধু আজকের দিনের জন্য। আগামীকাল থেকে সবকিছু আগের মতো হবে।
পাটগুদাম সেতু মোড়ে নেমে দুটি ব্যাগ হাতে ঢাকার বাস কাউন্টারের দিকে যাচ্ছিলেন মধ্যবয়সী আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, ‘শেরপুরের নকলা থেকে সাধারণত ময়মনসিংহের ভাড়া ১২০ টাকা। আমাকে বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে ২৫০ টাকা দিয়ে। একটি টাকাও কম নেয়নি। এ নিয়ে কোথায় কার কাছে অভিযোগ দেব বলেন? সবকিছু তো একটি নিয়মের মধ্যে চলা উচিত।’
শুধু ময়মনসিংহের আঞ্চলিক সড়কে ভাড়া বাড়েনি। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদেরও জিম্মি করে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
আবু সাঈদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘যাব ঢাকা। লোকাল বাসে যেখানে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হতো, আজ তারা ৪০০ টাকার কমে নেবে না। তাও আবার দাঁড়িয়ে যেতে হবে। সিট ফাঁকা নেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রশাসন মনিটরিং করলে শত শত যাত্রী হয়রানি থেকে মুক্তি পেত।’
একই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করে যাত্রী পাপিয়া আক্তার বলেন, ‘নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আসতে ৪০০ টাকা নাই। এখন যাব আবদুল্লাহপুর (ঢাকা)। সেখানে ভাড়া চাচ্ছে ৪০০ টাকা। তাহলে দেশটা কেমন চলছে আপনারাই বলুন। এ জন্য স্ট্যান্ডে এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি।’
শরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘কোন দেশে বাস করি নিজেও বলতে পারি না। আজও ডাবলের চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে যাচ্ছে, করার কিছু নেই। এমন অরাজকতা অন্তত পুলিশ থাকলে কিছুটা কম হতো।’
জানতে চাইলে শ্যামলী বাংলা বাসের চালকের সহকারী সোহেল রানা বলেন, ‘ঢাকা যাওয়ার পথে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ঢাকা থেকে খালি ফিরতে হচ্ছে। এ জন্য আমরা একটু ভাড়া বেশি নিচ্ছি। এটা স্বাভাবিক।’
ইমাম পরিবহনের চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীর চাপ বেশি। কারণ, সবাই কর্মস্থলে ফিরছে। সারা বছর তো আমরা গাড়ি চালাই বলা চলে লস দিয়ে। তাই ঈদ আসলে কিছু ভাড়া অতিরিক্ত নেই। তবে যাত্রীরা এতে অখুশি না।’
এ নিয়ে কথা হলে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এম এম মোহাইমেনুর রশিদ বলেন, ‘যাত্রায় মানুষকে স্বস্তি দিতে যানজট নিয়ন্ত্রণে মূলত আমরা কাজ করে থাকি। ভাড়া বেশি নিচ্ছে চালকেরা, সেটা আমরাও জানি। তবে কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের কাজ না। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে পাটগুদাম ও বাইপাস মোড়ে ঈদের আগে-পরে ম্যাজিস্ট্রেট রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা ঈদের আগে এক দিন শুধু বাইপাস মোড়ে ২০ মিনিটের জন্য গিয়ে যানজট তৈরি করে চলে আসছে। যাই হোক, ভালো-মন্দ সবাইকে ভাগ করে নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের তৎপরতা থাকলে যাত্রীরা আরও স্বস্তি পেত।’
যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, ‘ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। তাই আমার ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছে। নিয়মিত চেষ্টা করছি, কেউ যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে পারে।’
ঈদুল ফিতর উদ্যাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে ময়মনসিংহে বিড়ম্বনায় পড়েছেন যাত্রীরা। ২০০ টাকার জায়গায় ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়েও বাসে আসন মিলছে না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ তাঁরা। তবে চালকদের দাবি, যাত্রীরা অখুশি নন।
আজ শনিবার সকালে নগরীর পাটগুদাম সেতু মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, কর্মস্থলে ফিরতে শত শত মানুষের ভিড়। তাঁরা গাজীপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও শেরপুর থেকে এসেছেন। ময়মনসিংহ আসতেও বাস, পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশায় দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে তাঁদের। একই চিত্র নগরীর মাসকান্দা বাস টার্মিনাল ও বাইপাস মোড়ে ছিল।
যাত্রীদের অভিযোগ, এবারের মতো ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য আগে কোনো বছর হয়নি। এ বছর বাসসেবাসংশ্লিষ্ট লোকজন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় নৈরাজ্য বেড়ে গেছে। তবে চালক ও তাঁদের সহকারীদের দাবি, যাত্রী নামিয়ে দিয়ে তাঁদের খালি ফিরতে হয়, যে কারণে তাঁরা কিছু ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। এটা শুধু আজকের দিনের জন্য। আগামীকাল থেকে সবকিছু আগের মতো হবে।
পাটগুদাম সেতু মোড়ে নেমে দুটি ব্যাগ হাতে ঢাকার বাস কাউন্টারের দিকে যাচ্ছিলেন মধ্যবয়সী আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, ‘শেরপুরের নকলা থেকে সাধারণত ময়মনসিংহের ভাড়া ১২০ টাকা। আমাকে বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে ২৫০ টাকা দিয়ে। একটি টাকাও কম নেয়নি। এ নিয়ে কোথায় কার কাছে অভিযোগ দেব বলেন? সবকিছু তো একটি নিয়মের মধ্যে চলা উচিত।’
শুধু ময়মনসিংহের আঞ্চলিক সড়কে ভাড়া বাড়েনি। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদেরও জিম্মি করে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
আবু সাঈদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘যাব ঢাকা। লোকাল বাসে যেখানে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হতো, আজ তারা ৪০০ টাকার কমে নেবে না। তাও আবার দাঁড়িয়ে যেতে হবে। সিট ফাঁকা নেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রশাসন মনিটরিং করলে শত শত যাত্রী হয়রানি থেকে মুক্তি পেত।’
একই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করে যাত্রী পাপিয়া আক্তার বলেন, ‘নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আসতে ৪০০ টাকা নাই। এখন যাব আবদুল্লাহপুর (ঢাকা)। সেখানে ভাড়া চাচ্ছে ৪০০ টাকা। তাহলে দেশটা কেমন চলছে আপনারাই বলুন। এ জন্য স্ট্যান্ডে এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি।’
শরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘কোন দেশে বাস করি নিজেও বলতে পারি না। আজও ডাবলের চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে যাচ্ছে, করার কিছু নেই। এমন অরাজকতা অন্তত পুলিশ থাকলে কিছুটা কম হতো।’
জানতে চাইলে শ্যামলী বাংলা বাসের চালকের সহকারী সোহেল রানা বলেন, ‘ঢাকা যাওয়ার পথে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ঢাকা থেকে খালি ফিরতে হচ্ছে। এ জন্য আমরা একটু ভাড়া বেশি নিচ্ছি। এটা স্বাভাবিক।’
ইমাম পরিবহনের চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীর চাপ বেশি। কারণ, সবাই কর্মস্থলে ফিরছে। সারা বছর তো আমরা গাড়ি চালাই বলা চলে লস দিয়ে। তাই ঈদ আসলে কিছু ভাড়া অতিরিক্ত নেই। তবে যাত্রীরা এতে অখুশি না।’
এ নিয়ে কথা হলে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এম এম মোহাইমেনুর রশিদ বলেন, ‘যাত্রায় মানুষকে স্বস্তি দিতে যানজট নিয়ন্ত্রণে মূলত আমরা কাজ করে থাকি। ভাড়া বেশি নিচ্ছে চালকেরা, সেটা আমরাও জানি। তবে কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের কাজ না। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে পাটগুদাম ও বাইপাস মোড়ে ঈদের আগে-পরে ম্যাজিস্ট্রেট রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা ঈদের আগে এক দিন শুধু বাইপাস মোড়ে ২০ মিনিটের জন্য গিয়ে যানজট তৈরি করে চলে আসছে। যাই হোক, ভালো-মন্দ সবাইকে ভাগ করে নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের তৎপরতা থাকলে যাত্রীরা আরও স্বস্তি পেত।’
যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, ‘ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। তাই আমার ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছে। নিয়মিত চেষ্টা করছি, কেউ যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে পারে।’
আখাউড়া স্থলবন্দরের শুল্ক অফিস ও ইমিগ্রেশন ভবনের সামনের চত্বরে পানি প্রবেশ করেছে। বন্দরের কাছে আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কের প্রায় ১০০ মিটারজুড়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
৪ মিনিট আগেসোমবার সকালে হঠাৎ পাবেল নৌকা থেকে পড়ে নদীতে নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ ও জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালান।
১১ মিনিট আগেনাটোরের লালপুরে নিজ শয়নকক্ষে স্ত্রীর আর বাড়ির অদূরে তামাক পোড়ানো ঘরে স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
১১ মিনিট আগেসোমবার (১ জুন) ঢাকাইয়া কলোনির ১৪টি পরিবারের ৫০ জন সদস্য কাপ্তাই উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ। আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে