মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ

‘সারা বছরে দুই-চাইর দিনও গরু গুস্ত কিইন্ন্যা খাওনের সাঙ্গেস্তা (সামর্থ্য) অয়না। কোরবানি ঈদে এর-হের বাড়িততে যে গুস্ত দেয়, বউ-পুলাপান লইয়া আপিত্তি (তৃপ্তি) মিডাইয়া খাইতাম পারি। খালি কি গুস্ত অইলেই অইবো? গুস্ত রানলে মসলাপাতি লাগে না? বাজারে আইছিলাম মসলাপাতি কিনতাম, দাম হুইন্ন্যা মাথা চক্কর মারছে।’
আজ শুক্রবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার সাপ্তাহিক হাটের দিন। হাটবারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি ঈদের জন্য মসলাপাতি কিনতে আসেন সত্তরোর্ধ্ব মো. দুলাল মিয়া। তিনিই আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন। দুলালের বাড়ি পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামে।
গরমে ঘেমে হাটের মানুষগুলোর হাঁসফাঁস অবস্থা। এক মুদি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁধের গামছা টেনে শরীরের ঘাম মুছছিলেন এক ব্যক্তি। একটু কাছে গিয়ে কথা বলতে জানা গেল, তাঁর নাম আবুল বাশার মিয়া। পেশায় রাজমিস্ত্রির সহকারী। তিনি বলেন, ‘আইছিলাম ঈদের লাইগ্যা দুইলা বাজার করতাম, কিন্তু জিনিসপাতির যে দাম, কিবা কিতা করবাম, বুঝতাছিনা’।
আক্ষেপের স্বরে বাশার আরও বললেন, ‘ব্যাক (সব) কিছুর দাম বাড়ে, খালি বাড়েনা আমরার মতো গরিব মাইনসের মুজুরি। দুই বছর আগেও কাম কইরা ৪০০ টেহা পাইতাম, অহনও হেইডাই পাই। বাজারে জিনিসপাতির যে দাম, সারা বছর এমনিতেই টাইন্ন্যা-টুইন্ন্যা (টেনেটুনে) চলি, তার মধ্যে ঈদের বাজার-সদাইডা মাথাত বাড়ি পড়ছে।’
এ দিন ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন মুদি দোকানসহ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক ঘেঁষে গড়ে ওঠা অস্থায়ী মসলা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার।
তারা জানালেন, কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে আকাশ ছোঁয়া দাম বেড়েছে সব ধরনের মসলার। ক্রেতারা বলছেন-ঈদ আসায় ব্যবসায়ীরা মনগড়া দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন-চাহিদার তুলনায় আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাস দু-একের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচি এবং দারুচিনির। প্রকারভেদে কেজি প্রতি এলাচির দাম ছিল ১ হাজার হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার, যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। কেজিপ্রতি দারুচিনি ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, দাম বেড়ে হয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
শুধু তা-ই নয়, মাসখানেকের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০০ থেকে শুরু হয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা, শুকনা হলুদ-মরিচেও। এ ছাড়াও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ বাজারের একাধিক মুদি ব্যবসায়ী জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মসলাপাতির দাম অনেক বেড়েছে। কারণ হিসেবে বলেন-আমদানি করা এসব মসলা কয়েক হাত বদলে তাঁদের কাছে আসে। ওই ধাপগুলো পার হতে হতেই দাম বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে তাদের কিছু করার থাকে না।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিম্নবিত্তসহ সব পরিবারেই মসলার চাহিদা বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে মনগড়া দাম বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তা ছাড়া কোনো মুদি দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা না থাকলে, ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘সারা বছরে দুই-চাইর দিনও গরু গুস্ত কিইন্ন্যা খাওনের সাঙ্গেস্তা (সামর্থ্য) অয়না। কোরবানি ঈদে এর-হের বাড়িততে যে গুস্ত দেয়, বউ-পুলাপান লইয়া আপিত্তি (তৃপ্তি) মিডাইয়া খাইতাম পারি। খালি কি গুস্ত অইলেই অইবো? গুস্ত রানলে মসলাপাতি লাগে না? বাজারে আইছিলাম মসলাপাতি কিনতাম, দাম হুইন্ন্যা মাথা চক্কর মারছে।’
আজ শুক্রবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার সাপ্তাহিক হাটের দিন। হাটবারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি ঈদের জন্য মসলাপাতি কিনতে আসেন সত্তরোর্ধ্ব মো. দুলাল মিয়া। তিনিই আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন। দুলালের বাড়ি পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামে।
গরমে ঘেমে হাটের মানুষগুলোর হাঁসফাঁস অবস্থা। এক মুদি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁধের গামছা টেনে শরীরের ঘাম মুছছিলেন এক ব্যক্তি। একটু কাছে গিয়ে কথা বলতে জানা গেল, তাঁর নাম আবুল বাশার মিয়া। পেশায় রাজমিস্ত্রির সহকারী। তিনি বলেন, ‘আইছিলাম ঈদের লাইগ্যা দুইলা বাজার করতাম, কিন্তু জিনিসপাতির যে দাম, কিবা কিতা করবাম, বুঝতাছিনা’।
আক্ষেপের স্বরে বাশার আরও বললেন, ‘ব্যাক (সব) কিছুর দাম বাড়ে, খালি বাড়েনা আমরার মতো গরিব মাইনসের মুজুরি। দুই বছর আগেও কাম কইরা ৪০০ টেহা পাইতাম, অহনও হেইডাই পাই। বাজারে জিনিসপাতির যে দাম, সারা বছর এমনিতেই টাইন্ন্যা-টুইন্ন্যা (টেনেটুনে) চলি, তার মধ্যে ঈদের বাজার-সদাইডা মাথাত বাড়ি পড়ছে।’
এ দিন ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন মুদি দোকানসহ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক ঘেঁষে গড়ে ওঠা অস্থায়ী মসলা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার।
তারা জানালেন, কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে আকাশ ছোঁয়া দাম বেড়েছে সব ধরনের মসলার। ক্রেতারা বলছেন-ঈদ আসায় ব্যবসায়ীরা মনগড়া দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন-চাহিদার তুলনায় আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাস দু-একের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচি এবং দারুচিনির। প্রকারভেদে কেজি প্রতি এলাচির দাম ছিল ১ হাজার হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার, যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। কেজিপ্রতি দারুচিনি ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, দাম বেড়ে হয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
শুধু তা-ই নয়, মাসখানেকের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০০ থেকে শুরু হয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা, শুকনা হলুদ-মরিচেও। এ ছাড়াও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ বাজারের একাধিক মুদি ব্যবসায়ী জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মসলাপাতির দাম অনেক বেড়েছে। কারণ হিসেবে বলেন-আমদানি করা এসব মসলা কয়েক হাত বদলে তাঁদের কাছে আসে। ওই ধাপগুলো পার হতে হতেই দাম বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে তাদের কিছু করার থাকে না।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিম্নবিত্তসহ সব পরিবারেই মসলার চাহিদা বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে মনগড়া দাম বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তা ছাড়া কোনো মুদি দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা না থাকলে, ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ

‘সারা বছরে দুই-চাইর দিনও গরু গুস্ত কিইন্ন্যা খাওনের সাঙ্গেস্তা (সামর্থ্য) অয়না। কোরবানি ঈদে এর-হের বাড়িততে যে গুস্ত দেয়, বউ-পুলাপান লইয়া আপিত্তি (তৃপ্তি) মিডাইয়া খাইতাম পারি। খালি কি গুস্ত অইলেই অইবো? গুস্ত রানলে মসলাপাতি লাগে না? বাজারে আইছিলাম মসলাপাতি কিনতাম, দাম হুইন্ন্যা মাথা চক্কর মারছে।’
আজ শুক্রবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার সাপ্তাহিক হাটের দিন। হাটবারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি ঈদের জন্য মসলাপাতি কিনতে আসেন সত্তরোর্ধ্ব মো. দুলাল মিয়া। তিনিই আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন। দুলালের বাড়ি পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামে।
গরমে ঘেমে হাটের মানুষগুলোর হাঁসফাঁস অবস্থা। এক মুদি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁধের গামছা টেনে শরীরের ঘাম মুছছিলেন এক ব্যক্তি। একটু কাছে গিয়ে কথা বলতে জানা গেল, তাঁর নাম আবুল বাশার মিয়া। পেশায় রাজমিস্ত্রির সহকারী। তিনি বলেন, ‘আইছিলাম ঈদের লাইগ্যা দুইলা বাজার করতাম, কিন্তু জিনিসপাতির যে দাম, কিবা কিতা করবাম, বুঝতাছিনা’।
আক্ষেপের স্বরে বাশার আরও বললেন, ‘ব্যাক (সব) কিছুর দাম বাড়ে, খালি বাড়েনা আমরার মতো গরিব মাইনসের মুজুরি। দুই বছর আগেও কাম কইরা ৪০০ টেহা পাইতাম, অহনও হেইডাই পাই। বাজারে জিনিসপাতির যে দাম, সারা বছর এমনিতেই টাইন্ন্যা-টুইন্ন্যা (টেনেটুনে) চলি, তার মধ্যে ঈদের বাজার-সদাইডা মাথাত বাড়ি পড়ছে।’
এ দিন ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন মুদি দোকানসহ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক ঘেঁষে গড়ে ওঠা অস্থায়ী মসলা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার।
তারা জানালেন, কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে আকাশ ছোঁয়া দাম বেড়েছে সব ধরনের মসলার। ক্রেতারা বলছেন-ঈদ আসায় ব্যবসায়ীরা মনগড়া দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন-চাহিদার তুলনায় আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাস দু-একের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচি এবং দারুচিনির। প্রকারভেদে কেজি প্রতি এলাচির দাম ছিল ১ হাজার হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার, যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। কেজিপ্রতি দারুচিনি ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, দাম বেড়ে হয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
শুধু তা-ই নয়, মাসখানেকের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০০ থেকে শুরু হয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা, শুকনা হলুদ-মরিচেও। এ ছাড়াও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ বাজারের একাধিক মুদি ব্যবসায়ী জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মসলাপাতির দাম অনেক বেড়েছে। কারণ হিসেবে বলেন-আমদানি করা এসব মসলা কয়েক হাত বদলে তাঁদের কাছে আসে। ওই ধাপগুলো পার হতে হতেই দাম বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে তাদের কিছু করার থাকে না।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিম্নবিত্তসহ সব পরিবারেই মসলার চাহিদা বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে মনগড়া দাম বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তা ছাড়া কোনো মুদি দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা না থাকলে, ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘সারা বছরে দুই-চাইর দিনও গরু গুস্ত কিইন্ন্যা খাওনের সাঙ্গেস্তা (সামর্থ্য) অয়না। কোরবানি ঈদে এর-হের বাড়িততে যে গুস্ত দেয়, বউ-পুলাপান লইয়া আপিত্তি (তৃপ্তি) মিডাইয়া খাইতাম পারি। খালি কি গুস্ত অইলেই অইবো? গুস্ত রানলে মসলাপাতি লাগে না? বাজারে আইছিলাম মসলাপাতি কিনতাম, দাম হুইন্ন্যা মাথা চক্কর মারছে।’
আজ শুক্রবার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার সাপ্তাহিক হাটের দিন। হাটবারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি ঈদের জন্য মসলাপাতি কিনতে আসেন সত্তরোর্ধ্ব মো. দুলাল মিয়া। তিনিই আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন। দুলালের বাড়ি পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামে।
গরমে ঘেমে হাটের মানুষগুলোর হাঁসফাঁস অবস্থা। এক মুদি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁধের গামছা টেনে শরীরের ঘাম মুছছিলেন এক ব্যক্তি। একটু কাছে গিয়ে কথা বলতে জানা গেল, তাঁর নাম আবুল বাশার মিয়া। পেশায় রাজমিস্ত্রির সহকারী। তিনি বলেন, ‘আইছিলাম ঈদের লাইগ্যা দুইলা বাজার করতাম, কিন্তু জিনিসপাতির যে দাম, কিবা কিতা করবাম, বুঝতাছিনা’।
আক্ষেপের স্বরে বাশার আরও বললেন, ‘ব্যাক (সব) কিছুর দাম বাড়ে, খালি বাড়েনা আমরার মতো গরিব মাইনসের মুজুরি। দুই বছর আগেও কাম কইরা ৪০০ টেহা পাইতাম, অহনও হেইডাই পাই। বাজারে জিনিসপাতির যে দাম, সারা বছর এমনিতেই টাইন্ন্যা-টুইন্ন্যা (টেনেটুনে) চলি, তার মধ্যে ঈদের বাজার-সদাইডা মাথাত বাড়ি পড়ছে।’
এ দিন ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন মুদি দোকানসহ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক ঘেঁষে গড়ে ওঠা অস্থায়ী মসলা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার।
তারা জানালেন, কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে আকাশ ছোঁয়া দাম বেড়েছে সব ধরনের মসলার। ক্রেতারা বলছেন-ঈদ আসায় ব্যবসায়ীরা মনগড়া দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন-চাহিদার তুলনায় আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাস দু-একের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচি এবং দারুচিনির। প্রকারভেদে কেজি প্রতি এলাচির দাম ছিল ১ হাজার হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার, যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। কেজিপ্রতি দারুচিনি ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, দাম বেড়ে হয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
শুধু তা-ই নয়, মাসখানেকের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০০ থেকে শুরু হয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা, শুকনা হলুদ-মরিচেও। এ ছাড়াও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ বাজারের একাধিক মুদি ব্যবসায়ী জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মসলাপাতির দাম অনেক বেড়েছে। কারণ হিসেবে বলেন-আমদানি করা এসব মসলা কয়েক হাত বদলে তাঁদের কাছে আসে। ওই ধাপগুলো পার হতে হতেই দাম বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে তাদের কিছু করার থাকে না।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিম্নবিত্তসহ সব পরিবারেই মসলার চাহিদা বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে মনগড়া দাম বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তা ছাড়া কোনো মুদি দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা না থাকলে, ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। জব্দ করা এসব মাদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি)
৪৩ মিনিট আগে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত আজেদা বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
এদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনার কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কখন চালু হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর উভয় পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা কাজ করছি। এর বেশি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
এদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনার কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কখন চালু হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর উভয় পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা কাজ করছি। এর বেশি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

মাসখানেকের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০০ থেকে শুরু হয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা, শুকনা হলুদ-মরিচেও। এ ছাড়াও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে...
০৭ জুন ২০২৪
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। জব্দ করা এসব মাদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি)
৪৩ মিনিট আগে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত আজেদা বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’
১ ঘণ্টা আগেদুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। জব্দ করা এসব মাদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম কারুজ্জামান।
এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফান্দা নামক এলাকা থেকে এসব মাদক জব্দ করেন বিজিবির সদস্যরা।
বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ বিজিবির অধিনায়ক জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বারমারী বিওপির (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট) ছয় সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১১৬২ নম্বর হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফান্দা নামক এলাকা থেকে টহল দলটি মালিকবিহীন ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করতে সক্ষম হয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। জব্দ করা এসব মাদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম কারুজ্জামান।
এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফান্দা নামক এলাকা থেকে এসব মাদক জব্দ করেন বিজিবির সদস্যরা।
বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ বিজিবির অধিনায়ক জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বারমারী বিওপির (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট) ছয় সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১১৬২ নম্বর হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফান্দা নামক এলাকা থেকে টহল দলটি মালিকবিহীন ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করতে সক্ষম হয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

মাসখানেকের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০০ থেকে শুরু হয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা, শুকনা হলুদ-মরিচেও। এ ছাড়াও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে...
০৭ জুন ২০২৪
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত আজেদা বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত আজেদা বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে গত মঙ্গলবার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের এমপি পাড়ায় ছুরিকাঘাতের এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামী শামীম মিয়া (৪২) গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ইউনিয়নের বেতগারড়া গ্রামের মাফু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক।
নিহত আজেদা বেগম উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার মেয়ে। আট বছর বয়সী ছেলে আতিক ও ১৬ বছর বয়সী মেয়ে সোনিয়াকে নিয়ে তাঁরা কোনোমতে জীবন যাপন করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভাবের সংসারে আজেদা অন্যের বাসায় কাজ করতেন। শামীম হোটেলে কাজ করলেও নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্তি ও মোবাইল ফোনে জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত নারীর মৃত্যুর খবর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত আজেদা বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে গত মঙ্গলবার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের এমপি পাড়ায় ছুরিকাঘাতের এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামী শামীম মিয়া (৪২) গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ইউনিয়নের বেতগারড়া গ্রামের মাফু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক।
নিহত আজেদা বেগম উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার মেয়ে। আট বছর বয়সী ছেলে আতিক ও ১৬ বছর বয়সী মেয়ে সোনিয়াকে নিয়ে তাঁরা কোনোমতে জীবন যাপন করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভাবের সংসারে আজেদা অন্যের বাসায় কাজ করতেন। শামীম হোটেলে কাজ করলেও নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্তি ও মোবাইল ফোনে জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত নারীর মৃত্যুর খবর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মাসখানেকের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০০ থেকে শুরু হয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা, শুকনা হলুদ-মরিচেও। এ ছাড়াও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে...
০৭ জুন ২০২৪
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। জব্দ করা এসব মাদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি)
৪৩ মিনিট আগে
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’
১ ঘণ্টা আগেরাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর)

কার্তিকের এই সময়ে যখন কৃষকের মাঠভরা ধান দেখে আনন্দের নিশ্বাস ফেলার কথা, তখন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর-তেরাইল মাঠের রোপা আমনচাষি মিরাজুল ইসলামকে হতাশা নিয়েই ছুটতে হচ্ছে মাঠে। কারেন্ট পোকার (ঘাসফড়িং) আক্রমণে তাঁর দেড় বিঘা জমির ধান একেবারে শেষ হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে তেমন সঠিক কোনো দিকনির্দেশনাও পাইনি। কৃষি অফিস থেকে যদি সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যেত কোন কীটনাশক ব্যবহার করলে ভালো হবে, তাহলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মজুরি খরচ, সার ও কীটনাশকের বাড়তি দামে কৃষকের নাভিশ্বাস উঠেছে। এর মধ্যেই আমনে কারেন্ট পোকার আক্রমণ মারাত্মক রূপ নিয়েছে। পোকার আক্রমণে কৃষক মিরাজুল ইসলামের ধানের গাছ শুকিয়ে সাদা হয়ে শুধু খড় দেখা যাচ্ছে। যেটুকু আছে, তা-ও দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় চাষি আব্দুল মজিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আগে থাইডন, বাসোডিনের মতো বিষ ছিল, যা প্রয়োগ করলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ হতো। কিন্তু এখনকার বিষে কোনো কাজ হয় না, এগুলো ভেজালে পরিপূর্ণ। বিষ কোম্পানিগুলো আসলে কী বিষ দেয়? এভাবে চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোথায় যাবে?’
আরেক ধানচাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মিরাজ নামের এই চাষির ধান কারেন্ট পোকার আক্রমণে এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে বিচালি (খড়) করাও সম্ভব না। ধানের জমি খড়ের মতো হয়ে গেছে। এই মাঠে তার ধান অত্যন্ত সুন্দর হয়েছিল এবং সে তার ধানের প্রতি খুবই যত্নবান ছিল। সে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত মিয়া বলেন, ‘রোপা আমন মৌসুমে স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের রোগ দেখা দেয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে এনেছি পুরোপুরি। বাজারে বিভিন্ন ভেজাল কীটনাশক রয়েছে। এর মধ্য থেকে আসলটা বাছাই করে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব উপসহকারী রয়েছে, তাদের বলা আছে কৃষকদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য।’

কার্তিকের এই সময়ে যখন কৃষকের মাঠভরা ধান দেখে আনন্দের নিশ্বাস ফেলার কথা, তখন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর-তেরাইল মাঠের রোপা আমনচাষি মিরাজুল ইসলামকে হতাশা নিয়েই ছুটতে হচ্ছে মাঠে। কারেন্ট পোকার (ঘাসফড়িং) আক্রমণে তাঁর দেড় বিঘা জমির ধান একেবারে শেষ হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে তেমন সঠিক কোনো দিকনির্দেশনাও পাইনি। কৃষি অফিস থেকে যদি সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যেত কোন কীটনাশক ব্যবহার করলে ভালো হবে, তাহলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মজুরি খরচ, সার ও কীটনাশকের বাড়তি দামে কৃষকের নাভিশ্বাস উঠেছে। এর মধ্যেই আমনে কারেন্ট পোকার আক্রমণ মারাত্মক রূপ নিয়েছে। পোকার আক্রমণে কৃষক মিরাজুল ইসলামের ধানের গাছ শুকিয়ে সাদা হয়ে শুধু খড় দেখা যাচ্ছে। যেটুকু আছে, তা-ও দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় চাষি আব্দুল মজিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আগে থাইডন, বাসোডিনের মতো বিষ ছিল, যা প্রয়োগ করলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ হতো। কিন্তু এখনকার বিষে কোনো কাজ হয় না, এগুলো ভেজালে পরিপূর্ণ। বিষ কোম্পানিগুলো আসলে কী বিষ দেয়? এভাবে চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোথায় যাবে?’
আরেক ধানচাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মিরাজ নামের এই চাষির ধান কারেন্ট পোকার আক্রমণে এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে বিচালি (খড়) করাও সম্ভব না। ধানের জমি খড়ের মতো হয়ে গেছে। এই মাঠে তার ধান অত্যন্ত সুন্দর হয়েছিল এবং সে তার ধানের প্রতি খুবই যত্নবান ছিল। সে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত মিয়া বলেন, ‘রোপা আমন মৌসুমে স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের রোগ দেখা দেয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে এনেছি পুরোপুরি। বাজারে বিভিন্ন ভেজাল কীটনাশক রয়েছে। এর মধ্য থেকে আসলটা বাছাই করে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব উপসহকারী রয়েছে, তাদের বলা আছে কৃষকদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য।’

মাসখানেকের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০০ থেকে শুরু হয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা, শুকনা হলুদ-মরিচেও। এ ছাড়াও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে...
০৭ জুন ২০২৪
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। জব্দ করা এসব মাদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি)
৪৩ মিনিট আগে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত আজেদা বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে