মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)

উঁচু গাছের মগডালে বাদুড়ের ঝুলে থাকা একসময় ছিল গ্রামগঞ্জের স্বাভাবিক দৃশ্য। রাতের বেলায় ভয় জাগানো আঁধারে হঠাৎ কিচিরমিচির ডাকে বাদুড়ের ওড়াউড়ি আতঙ্ক আরও বাড়াত। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও দেখা মেলে না উড়তে জানা একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণীটির। গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়া আর খাবারের সংকটের কারণে বাদুড় আজ বিলুপ্তপ্রায়, বলছেন গবেষকেরা। কিন্তু ব্যতিক্রম ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সন্ধ্যাকুড়া এলাকা। এখানে হাজার দু-এক বাদুড়ের বসতি পঞ্চাশ বছরেরও বেশি। বাদুড়ের ওড়াউড়ির শব্দ না শুনলে যেন ঘুম আসে না গ্রামবাসীর।
কোত্থেকে এল এত বাদুড়, এমন প্রশ্নের জবাবে বাঁশঝাড়ের মালিক বিজয় রিছিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছর পাঁচেক ধরে এরা স্থায়ীভাবে এখানেই আছে। তার আগে দীর্ঘ সময় তারা আসা-যাওয়াতেই ছিল। অর্থাৎ একবার গেলে খবর থাকত না বছর, দু বছর। আবার দলবেঁধে হাজির এক সময়।
প্রবীণ গ্রামবাসী আবদুর রহিম জানালেন, প্রায় পঞ্চাশ বছর এসব বাদুড় আছে বাঁশবাগানে। এক সময় আরও বেশি ছিল। এখন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার পথ পেরোলেই জয়রামকুড়া মিলন বাজার। বাজার পেরিয়ে সামনে গেলেই সুনসান নীরবতায় গ্রাম সন্ধ্যাকুড়া, যেখানে মুসলিম আর গাড়ো মানুষদের সম্প্রীতির বসবাস। এই বসতির এক একর জায়গাজুড়ে রয়েছে বিশাল বিশাল বাঁশঝাড়, যাতে আস্তানা গেড়েছে দেখতে কুৎসিত প্রাণীগুলো। বাঁশের পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা শত শত বাদুড় দেখে মনে হয় অজ্ঞাতনামা কোনো ফল ধরেছে এসব বাঁশগাছে।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলাকাটি নিরিবিলির, আর লোকজনও এসব বাদুড়কে কোনো ধরনের খোঁচাখুঁচি করে না। আশপাশে বেশ ফল-ফলাদি গাছও আছে। কাছাকাছি জায়গায় খাবার পাওয়া যায়, তাই এরা আর এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে না। সন্ধ্যা হলেই দলে দলে ছুটে যায় তারা খাবারের সন্ধানে। ঘুরে বেড়ায় এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়, চলে দূর-দূরান্তে। বাঁশঝাড়ে পাতার ফাঁকে বাঁশের কঞ্চিতে হুকের মতো পা দুটো আটকে নিস্তব্ধতায় ঝুলতে দেখা যায় দিনের বেলায়। দেখে মনে হবে, রাতের শ্রমে ক্লান্ত হয়ে তারা যেন একটু প্রশান্তির ঘুম খুঁজছে। নিশাচর এই প্রাণীর আবাসস্থলটি যে কাউকেই মুগ্ধ করবে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই দলবেঁধে আবার বাঁশঝাড়ে ফিরতে শুরু করে এই স্তন্যপায়ী প্রাণী। আবারও কোলহলপূর্ণ হয়ে ওঠে কিচিরমিচির শব্দে চারপাশ। দেখে মনে হয় এ যেন বাদুড়দের এক রাজ্য। আর বাঁশঝাড়ে একটু শব্দ হলেই কিচিরমিচির শব্দে খোলা আকাশে দলবেঁধে উড়তে থাকে তারা। সারা বছর এখানে নিশ্চিন্তে বাস করে বাদুড়েরা।
তবে উদ্বেগের কথাও শোনা গেল স্থানীয়দের মুখে। এলাকায় লিচু, আম, বরই ইত্যাদি মৌসুমি ফলের সময় বাদুড় বা অন্য পাখি থেকে ফল রক্ষা করতে গাছের চারপাশে বিশেষভাবে তৈরি করা জালের ফাঁদ পাতা হয়। এতে অন্য পাখির সঙ্গে প্রচুর বাদুড়ও ফাঁদে আটকা পড়ে মারা যায়। রয়েছে কীটনাশকের প্রভাবও। সব মিলিয়ে বাদুড় ও বিভিন্ন পাখির জন্য এগুলো ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা কবি পরাগ রিছিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাদুড় মানবকল্যাণকারী ও পরিবেশবান্ধব একটি প্রাণী। এরা মানুষের উপকারই করে থাকে। বিশেষ করে কলা ও অ্যাভোকাডোসহ প্রায় ৩০০ রকমের গাছের বীজ ছড়াতে সাহায্য করে এরা। আবার কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল রক্ষা করে। তাই বাদুড় রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
‘হালুয়াঘাট দর্পণ’ সম্পাদক মাহমুদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাদুড় নিয়ে আমাদের মাঝে কল্পকাহিনি আর কুসংস্কারের শেষ নেই। মানুষের প্রতিকূলতার মধ্যেও জয়রামকুড়া গ্রামের বিজয় রিছিলের বাড়ির নিভৃত বাঁশঝাড়ে নির্ভয়ে আবাস গড়ে তুলেছে শত শত বাদুড়। এগুলো রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এ জন্য প্রশাসনের উদ্যোগ খুবই জরুরি।’
আনন্দমোহন কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই বাদুড় থাকতে ভালোবাসে। বাদুড়কে অনেক সময় ক্ষতিকর প্রাণী মনে করা হলেও আসলে এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় প্রাণী।

উঁচু গাছের মগডালে বাদুড়ের ঝুলে থাকা একসময় ছিল গ্রামগঞ্জের স্বাভাবিক দৃশ্য। রাতের বেলায় ভয় জাগানো আঁধারে হঠাৎ কিচিরমিচির ডাকে বাদুড়ের ওড়াউড়ি আতঙ্ক আরও বাড়াত। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও দেখা মেলে না উড়তে জানা একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণীটির। গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়া আর খাবারের সংকটের কারণে বাদুড় আজ বিলুপ্তপ্রায়, বলছেন গবেষকেরা। কিন্তু ব্যতিক্রম ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সন্ধ্যাকুড়া এলাকা। এখানে হাজার দু-এক বাদুড়ের বসতি পঞ্চাশ বছরেরও বেশি। বাদুড়ের ওড়াউড়ির শব্দ না শুনলে যেন ঘুম আসে না গ্রামবাসীর।
কোত্থেকে এল এত বাদুড়, এমন প্রশ্নের জবাবে বাঁশঝাড়ের মালিক বিজয় রিছিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছর পাঁচেক ধরে এরা স্থায়ীভাবে এখানেই আছে। তার আগে দীর্ঘ সময় তারা আসা-যাওয়াতেই ছিল। অর্থাৎ একবার গেলে খবর থাকত না বছর, দু বছর। আবার দলবেঁধে হাজির এক সময়।
প্রবীণ গ্রামবাসী আবদুর রহিম জানালেন, প্রায় পঞ্চাশ বছর এসব বাদুড় আছে বাঁশবাগানে। এক সময় আরও বেশি ছিল। এখন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার পথ পেরোলেই জয়রামকুড়া মিলন বাজার। বাজার পেরিয়ে সামনে গেলেই সুনসান নীরবতায় গ্রাম সন্ধ্যাকুড়া, যেখানে মুসলিম আর গাড়ো মানুষদের সম্প্রীতির বসবাস। এই বসতির এক একর জায়গাজুড়ে রয়েছে বিশাল বিশাল বাঁশঝাড়, যাতে আস্তানা গেড়েছে দেখতে কুৎসিত প্রাণীগুলো। বাঁশের পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা শত শত বাদুড় দেখে মনে হয় অজ্ঞাতনামা কোনো ফল ধরেছে এসব বাঁশগাছে।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলাকাটি নিরিবিলির, আর লোকজনও এসব বাদুড়কে কোনো ধরনের খোঁচাখুঁচি করে না। আশপাশে বেশ ফল-ফলাদি গাছও আছে। কাছাকাছি জায়গায় খাবার পাওয়া যায়, তাই এরা আর এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে না। সন্ধ্যা হলেই দলে দলে ছুটে যায় তারা খাবারের সন্ধানে। ঘুরে বেড়ায় এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়, চলে দূর-দূরান্তে। বাঁশঝাড়ে পাতার ফাঁকে বাঁশের কঞ্চিতে হুকের মতো পা দুটো আটকে নিস্তব্ধতায় ঝুলতে দেখা যায় দিনের বেলায়। দেখে মনে হবে, রাতের শ্রমে ক্লান্ত হয়ে তারা যেন একটু প্রশান্তির ঘুম খুঁজছে। নিশাচর এই প্রাণীর আবাসস্থলটি যে কাউকেই মুগ্ধ করবে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই দলবেঁধে আবার বাঁশঝাড়ে ফিরতে শুরু করে এই স্তন্যপায়ী প্রাণী। আবারও কোলহলপূর্ণ হয়ে ওঠে কিচিরমিচির শব্দে চারপাশ। দেখে মনে হয় এ যেন বাদুড়দের এক রাজ্য। আর বাঁশঝাড়ে একটু শব্দ হলেই কিচিরমিচির শব্দে খোলা আকাশে দলবেঁধে উড়তে থাকে তারা। সারা বছর এখানে নিশ্চিন্তে বাস করে বাদুড়েরা।
তবে উদ্বেগের কথাও শোনা গেল স্থানীয়দের মুখে। এলাকায় লিচু, আম, বরই ইত্যাদি মৌসুমি ফলের সময় বাদুড় বা অন্য পাখি থেকে ফল রক্ষা করতে গাছের চারপাশে বিশেষভাবে তৈরি করা জালের ফাঁদ পাতা হয়। এতে অন্য পাখির সঙ্গে প্রচুর বাদুড়ও ফাঁদে আটকা পড়ে মারা যায়। রয়েছে কীটনাশকের প্রভাবও। সব মিলিয়ে বাদুড় ও বিভিন্ন পাখির জন্য এগুলো ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা কবি পরাগ রিছিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাদুড় মানবকল্যাণকারী ও পরিবেশবান্ধব একটি প্রাণী। এরা মানুষের উপকারই করে থাকে। বিশেষ করে কলা ও অ্যাভোকাডোসহ প্রায় ৩০০ রকমের গাছের বীজ ছড়াতে সাহায্য করে এরা। আবার কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল রক্ষা করে। তাই বাদুড় রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
‘হালুয়াঘাট দর্পণ’ সম্পাদক মাহমুদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাদুড় নিয়ে আমাদের মাঝে কল্পকাহিনি আর কুসংস্কারের শেষ নেই। মানুষের প্রতিকূলতার মধ্যেও জয়রামকুড়া গ্রামের বিজয় রিছিলের বাড়ির নিভৃত বাঁশঝাড়ে নির্ভয়ে আবাস গড়ে তুলেছে শত শত বাদুড়। এগুলো রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এ জন্য প্রশাসনের উদ্যোগ খুবই জরুরি।’
আনন্দমোহন কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই বাদুড় থাকতে ভালোবাসে। বাদুড়কে অনেক সময় ক্ষতিকর প্রাণী মনে করা হলেও আসলে এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় প্রাণী।
মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)

উঁচু গাছের মগডালে বাদুড়ের ঝুলে থাকা একসময় ছিল গ্রামগঞ্জের স্বাভাবিক দৃশ্য। রাতের বেলায় ভয় জাগানো আঁধারে হঠাৎ কিচিরমিচির ডাকে বাদুড়ের ওড়াউড়ি আতঙ্ক আরও বাড়াত। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও দেখা মেলে না উড়তে জানা একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণীটির। গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়া আর খাবারের সংকটের কারণে বাদুড় আজ বিলুপ্তপ্রায়, বলছেন গবেষকেরা। কিন্তু ব্যতিক্রম ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সন্ধ্যাকুড়া এলাকা। এখানে হাজার দু-এক বাদুড়ের বসতি পঞ্চাশ বছরেরও বেশি। বাদুড়ের ওড়াউড়ির শব্দ না শুনলে যেন ঘুম আসে না গ্রামবাসীর।
কোত্থেকে এল এত বাদুড়, এমন প্রশ্নের জবাবে বাঁশঝাড়ের মালিক বিজয় রিছিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছর পাঁচেক ধরে এরা স্থায়ীভাবে এখানেই আছে। তার আগে দীর্ঘ সময় তারা আসা-যাওয়াতেই ছিল। অর্থাৎ একবার গেলে খবর থাকত না বছর, দু বছর। আবার দলবেঁধে হাজির এক সময়।
প্রবীণ গ্রামবাসী আবদুর রহিম জানালেন, প্রায় পঞ্চাশ বছর এসব বাদুড় আছে বাঁশবাগানে। এক সময় আরও বেশি ছিল। এখন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার পথ পেরোলেই জয়রামকুড়া মিলন বাজার। বাজার পেরিয়ে সামনে গেলেই সুনসান নীরবতায় গ্রাম সন্ধ্যাকুড়া, যেখানে মুসলিম আর গাড়ো মানুষদের সম্প্রীতির বসবাস। এই বসতির এক একর জায়গাজুড়ে রয়েছে বিশাল বিশাল বাঁশঝাড়, যাতে আস্তানা গেড়েছে দেখতে কুৎসিত প্রাণীগুলো। বাঁশের পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা শত শত বাদুড় দেখে মনে হয় অজ্ঞাতনামা কোনো ফল ধরেছে এসব বাঁশগাছে।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলাকাটি নিরিবিলির, আর লোকজনও এসব বাদুড়কে কোনো ধরনের খোঁচাখুঁচি করে না। আশপাশে বেশ ফল-ফলাদি গাছও আছে। কাছাকাছি জায়গায় খাবার পাওয়া যায়, তাই এরা আর এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে না। সন্ধ্যা হলেই দলে দলে ছুটে যায় তারা খাবারের সন্ধানে। ঘুরে বেড়ায় এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়, চলে দূর-দূরান্তে। বাঁশঝাড়ে পাতার ফাঁকে বাঁশের কঞ্চিতে হুকের মতো পা দুটো আটকে নিস্তব্ধতায় ঝুলতে দেখা যায় দিনের বেলায়। দেখে মনে হবে, রাতের শ্রমে ক্লান্ত হয়ে তারা যেন একটু প্রশান্তির ঘুম খুঁজছে। নিশাচর এই প্রাণীর আবাসস্থলটি যে কাউকেই মুগ্ধ করবে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই দলবেঁধে আবার বাঁশঝাড়ে ফিরতে শুরু করে এই স্তন্যপায়ী প্রাণী। আবারও কোলহলপূর্ণ হয়ে ওঠে কিচিরমিচির শব্দে চারপাশ। দেখে মনে হয় এ যেন বাদুড়দের এক রাজ্য। আর বাঁশঝাড়ে একটু শব্দ হলেই কিচিরমিচির শব্দে খোলা আকাশে দলবেঁধে উড়তে থাকে তারা। সারা বছর এখানে নিশ্চিন্তে বাস করে বাদুড়েরা।
তবে উদ্বেগের কথাও শোনা গেল স্থানীয়দের মুখে। এলাকায় লিচু, আম, বরই ইত্যাদি মৌসুমি ফলের সময় বাদুড় বা অন্য পাখি থেকে ফল রক্ষা করতে গাছের চারপাশে বিশেষভাবে তৈরি করা জালের ফাঁদ পাতা হয়। এতে অন্য পাখির সঙ্গে প্রচুর বাদুড়ও ফাঁদে আটকা পড়ে মারা যায়। রয়েছে কীটনাশকের প্রভাবও। সব মিলিয়ে বাদুড় ও বিভিন্ন পাখির জন্য এগুলো ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা কবি পরাগ রিছিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাদুড় মানবকল্যাণকারী ও পরিবেশবান্ধব একটি প্রাণী। এরা মানুষের উপকারই করে থাকে। বিশেষ করে কলা ও অ্যাভোকাডোসহ প্রায় ৩০০ রকমের গাছের বীজ ছড়াতে সাহায্য করে এরা। আবার কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল রক্ষা করে। তাই বাদুড় রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
‘হালুয়াঘাট দর্পণ’ সম্পাদক মাহমুদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাদুড় নিয়ে আমাদের মাঝে কল্পকাহিনি আর কুসংস্কারের শেষ নেই। মানুষের প্রতিকূলতার মধ্যেও জয়রামকুড়া গ্রামের বিজয় রিছিলের বাড়ির নিভৃত বাঁশঝাড়ে নির্ভয়ে আবাস গড়ে তুলেছে শত শত বাদুড়। এগুলো রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এ জন্য প্রশাসনের উদ্যোগ খুবই জরুরি।’
আনন্দমোহন কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই বাদুড় থাকতে ভালোবাসে। বাদুড়কে অনেক সময় ক্ষতিকর প্রাণী মনে করা হলেও আসলে এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় প্রাণী।

উঁচু গাছের মগডালে বাদুড়ের ঝুলে থাকা একসময় ছিল গ্রামগঞ্জের স্বাভাবিক দৃশ্য। রাতের বেলায় ভয় জাগানো আঁধারে হঠাৎ কিচিরমিচির ডাকে বাদুড়ের ওড়াউড়ি আতঙ্ক আরও বাড়াত। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও দেখা মেলে না উড়তে জানা একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণীটির। গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়া আর খাবারের সংকটের কারণে বাদুড় আজ বিলুপ্তপ্রায়, বলছেন গবেষকেরা। কিন্তু ব্যতিক্রম ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সন্ধ্যাকুড়া এলাকা। এখানে হাজার দু-এক বাদুড়ের বসতি পঞ্চাশ বছরেরও বেশি। বাদুড়ের ওড়াউড়ির শব্দ না শুনলে যেন ঘুম আসে না গ্রামবাসীর।
কোত্থেকে এল এত বাদুড়, এমন প্রশ্নের জবাবে বাঁশঝাড়ের মালিক বিজয় রিছিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছর পাঁচেক ধরে এরা স্থায়ীভাবে এখানেই আছে। তার আগে দীর্ঘ সময় তারা আসা-যাওয়াতেই ছিল। অর্থাৎ একবার গেলে খবর থাকত না বছর, দু বছর। আবার দলবেঁধে হাজির এক সময়।
প্রবীণ গ্রামবাসী আবদুর রহিম জানালেন, প্রায় পঞ্চাশ বছর এসব বাদুড় আছে বাঁশবাগানে। এক সময় আরও বেশি ছিল। এখন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার পথ পেরোলেই জয়রামকুড়া মিলন বাজার। বাজার পেরিয়ে সামনে গেলেই সুনসান নীরবতায় গ্রাম সন্ধ্যাকুড়া, যেখানে মুসলিম আর গাড়ো মানুষদের সম্প্রীতির বসবাস। এই বসতির এক একর জায়গাজুড়ে রয়েছে বিশাল বিশাল বাঁশঝাড়, যাতে আস্তানা গেড়েছে দেখতে কুৎসিত প্রাণীগুলো। বাঁশের পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা শত শত বাদুড় দেখে মনে হয় অজ্ঞাতনামা কোনো ফল ধরেছে এসব বাঁশগাছে।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলাকাটি নিরিবিলির, আর লোকজনও এসব বাদুড়কে কোনো ধরনের খোঁচাখুঁচি করে না। আশপাশে বেশ ফল-ফলাদি গাছও আছে। কাছাকাছি জায়গায় খাবার পাওয়া যায়, তাই এরা আর এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে না। সন্ধ্যা হলেই দলে দলে ছুটে যায় তারা খাবারের সন্ধানে। ঘুরে বেড়ায় এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়, চলে দূর-দূরান্তে। বাঁশঝাড়ে পাতার ফাঁকে বাঁশের কঞ্চিতে হুকের মতো পা দুটো আটকে নিস্তব্ধতায় ঝুলতে দেখা যায় দিনের বেলায়। দেখে মনে হবে, রাতের শ্রমে ক্লান্ত হয়ে তারা যেন একটু প্রশান্তির ঘুম খুঁজছে। নিশাচর এই প্রাণীর আবাসস্থলটি যে কাউকেই মুগ্ধ করবে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই দলবেঁধে আবার বাঁশঝাড়ে ফিরতে শুরু করে এই স্তন্যপায়ী প্রাণী। আবারও কোলহলপূর্ণ হয়ে ওঠে কিচিরমিচির শব্দে চারপাশ। দেখে মনে হয় এ যেন বাদুড়দের এক রাজ্য। আর বাঁশঝাড়ে একটু শব্দ হলেই কিচিরমিচির শব্দে খোলা আকাশে দলবেঁধে উড়তে থাকে তারা। সারা বছর এখানে নিশ্চিন্তে বাস করে বাদুড়েরা।
তবে উদ্বেগের কথাও শোনা গেল স্থানীয়দের মুখে। এলাকায় লিচু, আম, বরই ইত্যাদি মৌসুমি ফলের সময় বাদুড় বা অন্য পাখি থেকে ফল রক্ষা করতে গাছের চারপাশে বিশেষভাবে তৈরি করা জালের ফাঁদ পাতা হয়। এতে অন্য পাখির সঙ্গে প্রচুর বাদুড়ও ফাঁদে আটকা পড়ে মারা যায়। রয়েছে কীটনাশকের প্রভাবও। সব মিলিয়ে বাদুড় ও বিভিন্ন পাখির জন্য এগুলো ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা কবি পরাগ রিছিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাদুড় মানবকল্যাণকারী ও পরিবেশবান্ধব একটি প্রাণী। এরা মানুষের উপকারই করে থাকে। বিশেষ করে কলা ও অ্যাভোকাডোসহ প্রায় ৩০০ রকমের গাছের বীজ ছড়াতে সাহায্য করে এরা। আবার কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল রক্ষা করে। তাই বাদুড় রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
‘হালুয়াঘাট দর্পণ’ সম্পাদক মাহমুদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাদুড় নিয়ে আমাদের মাঝে কল্পকাহিনি আর কুসংস্কারের শেষ নেই। মানুষের প্রতিকূলতার মধ্যেও জয়রামকুড়া গ্রামের বিজয় রিছিলের বাড়ির নিভৃত বাঁশঝাড়ে নির্ভয়ে আবাস গড়ে তুলেছে শত শত বাদুড়। এগুলো রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এ জন্য প্রশাসনের উদ্যোগ খুবই জরুরি।’
আনন্দমোহন কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই বাদুড় থাকতে ভালোবাসে। বাদুড়কে অনেক সময় ক্ষতিকর প্রাণী মনে করা হলেও আসলে এটি জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় প্রাণী।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
১২ মিনিট আগে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
২৩ মিনিট আগে
মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা...
৩৪ মিনিট আগে
কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ জোড়াপাম্প ও চন্দ্রা এলাকায় বিক্ষুব্ধ চালকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
এলাকাবাসী, অটোরিকশাচালক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গমুখী হাজারো যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ওই মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। এসব অটোরিকশার কারণে বাড়ছে মহাসড়কে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এদিকে মহাসড়কের সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে হাটবাজার বসছে। উপজেলার মৌচাক, সফিপুর, পল্লী বিদ্যুৎ, জোড়াপাম্প, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সবচেয়ে বেশি হাটবাজার বসছে। অটোরিকশাচালকদের অভিযোগ, অবৈধ হাটবাজারে কারণে সার্ভিস রোড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে উঠছেন তাঁরা। আর মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়ছেন তাঁরা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অটোরিকশা আটকে মামলা দিচ্ছে। অটোরিকশা থামিয়ে চাঁদাবাজিও করছেন পুলিশের অসাধু কিছু সদস্য।
অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আরমান মিয়া, নুরু মিয়া, বাবুল হোসেনসহ অনেকে বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ, এটা আমরা জানি। কিন্তু আমরা চলব কীভাবে? পেটের দায়ে অটোরিকশা চালাই। আমরা সার্ভিস রোড দিয়ে অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ চাই। আর মহাসড়কে পুলিশ অটোরিকশা ধরলেই ২ হাজার ৬০০ টাকার মামলা দিচ্ছে। ওই মামলার টাকা পরিশোধে অক্ষম হয়ে অনেকেই পুলিশকে চাঁদা দিতে বাধ্য হন। চাঁদা না দিয়ে চলতে গেলেও নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। অটোরিকশা চলার জন্য সার্ভিস রোড আছে। কিন্তু সেটা দখল করে হাটবাজার বসায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা মহাসড়কে ওঠাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাওগাত উল আলম বলেন, ‘কয়েকজন অটোরিকশাচালক মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ ছাড়া সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে যাঁরা আছেন, তাঁরাও অবৈধভাবে আছেন। খুব তাড়াতাড়ি দখলকারীদের উচ্ছেদ করে সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। কিন্তু ওই সার্ভিস রোডেও অটোরিকশা ওঠার নিয়ম নেই।’ অটোরিকশা আটকে পুলিশের টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ এভাবে টাকা নিলে তার তথ্যপ্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ জোড়াপাম্প ও চন্দ্রা এলাকায় বিক্ষুব্ধ চালকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
এলাকাবাসী, অটোরিকশাচালক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গমুখী হাজারো যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ওই মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। এসব অটোরিকশার কারণে বাড়ছে মহাসড়কে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। এদিকে মহাসড়কের সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে হাটবাজার বসছে। উপজেলার মৌচাক, সফিপুর, পল্লী বিদ্যুৎ, জোড়াপাম্প, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সবচেয়ে বেশি হাটবাজার বসছে। অটোরিকশাচালকদের অভিযোগ, অবৈধ হাটবাজারে কারণে সার্ভিস রোড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে উঠছেন তাঁরা। আর মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়ছেন তাঁরা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অটোরিকশা আটকে মামলা দিচ্ছে। অটোরিকশা থামিয়ে চাঁদাবাজিও করছেন পুলিশের অসাধু কিছু সদস্য।
অটোরিকশাচালক আলমগীর হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আরমান মিয়া, নুরু মিয়া, বাবুল হোসেনসহ অনেকে বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ, এটা আমরা জানি। কিন্তু আমরা চলব কীভাবে? পেটের দায়ে অটোরিকশা চালাই। আমরা সার্ভিস রোড দিয়ে অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ চাই। আর মহাসড়কে পুলিশ অটোরিকশা ধরলেই ২ হাজার ৬০০ টাকার মামলা দিচ্ছে। ওই মামলার টাকা পরিশোধে অক্ষম হয়ে অনেকেই পুলিশকে চাঁদা দিতে বাধ্য হন। চাঁদা না দিয়ে চলতে গেলেও নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। অটোরিকশা চলার জন্য সার্ভিস রোড আছে। কিন্তু সেটা দখল করে হাটবাজার বসায় বাধ্য হয়ে অটোরিকশা মহাসড়কে ওঠাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাওগাত উল আলম বলেন, ‘কয়েকজন অটোরিকশাচালক মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ ছাড়া সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে যাঁরা আছেন, তাঁরাও অবৈধভাবে আছেন। খুব তাড়াতাড়ি দখলকারীদের উচ্ছেদ করে সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। কিন্তু ওই সার্ভিস রোডেও অটোরিকশা ওঠার নিয়ম নেই।’ অটোরিকশা আটকে পুলিশের টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ এভাবে টাকা নিলে তার তথ্যপ্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উঁচু গাছের মগডালে বাদুড়ের ঝুলে থাকা একসময় ছিল গ্রামগঞ্জের স্বাভাবিক দৃশ্য। রাতের বেলায় ভয় জাগানো আঁধারে হঠাৎ কিচিরমিচির ডাকে বাদুড়ের ওড়াউড়ি আতঙ্ক আরও বাড়াত। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও দেখা মেলে না উড়তে জানা একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণীটির। গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়া আর খাবারের সংকটের কারণে বাদুড় আ
০৯ আগস্ট ২০২১
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
২৩ মিনিট আগে
মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা...
৩৪ মিনিট আগে
কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলে মো. মামুন মিয়া গতকাল শনিবার খালিয়াজুরী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে শ্রমিক দল নেতা কামরুলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত কামরুল মিয়া উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি। তিনি উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের বাসিন্দা। অন্য অভিযুক্তরাও একই গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগকারী জেলে মামুন মিয়াও একই গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামুন মিয়া ধনু নদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাঁচহাট গ্রামে ধনু নদে কামরুল মিয়াসহ কয়েক ব্যক্তি অবৈধভাবে বাঁশের ঘের দিয়ে মিম (মাছের আবাসস্থল) তৈরি করে রেখেছেন। স্থানীয় জেলেরা সেখানে মাছ ধরতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। গতকাল দুপুরে মামুন নৌকা, জাল ও বড়শি নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গেলে অভিযুক্তরা তাঁকে বাধা দিয়ে ঘের থেকে ৩০০ মিটার দূরে গিয়ে মাছ ধরতে বলেন। তিনি এতে আপত্তি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর ইঞ্জিনচালিত নৌকা, জাল ও বড়শি জোর করে নিয়ে যান এবং নিজেদের ঘাটে আটক রাখেন। এ সময় তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে নৌকা ফেরত দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। এ ছাড়া, ঘটনার আগের দিন একই এলাকায় মামুন মিয়ার সহযোগী এক বড়শিওয়ালাকেও মারধর করে তাঁর কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বড়শি ছিনিয়ে নেন কামরুল ও সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত কামরুল মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এদিকে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আলী উসমান বলেন, ‘অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। মামুন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। অনেক বছর তিনি ধনু নদে চাঁদাবাজিসহ আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছেন। মামুনের কাছে এক ব্যক্তি টাকা পান, সেই কারণে ওই ব্যক্তি তাঁর নৌকা আটক করেছিলেন। এখন তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমাদের শ্রমিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এই মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সবাই অবগত রয়েছেন।’
অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন খালিয়াজুরী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস রহমান। আজ রোববার তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলে মো. মামুন মিয়া গতকাল শনিবার খালিয়াজুরী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে শ্রমিক দল নেতা কামরুলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত কামরুল মিয়া উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি। তিনি উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের বাসিন্দা। অন্য অভিযুক্তরাও একই গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগকারী জেলে মামুন মিয়াও একই গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামুন মিয়া ধনু নদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাঁচহাট গ্রামে ধনু নদে কামরুল মিয়াসহ কয়েক ব্যক্তি অবৈধভাবে বাঁশের ঘের দিয়ে মিম (মাছের আবাসস্থল) তৈরি করে রেখেছেন। স্থানীয় জেলেরা সেখানে মাছ ধরতে গেলে তাঁরা বাধা দেন। গতকাল দুপুরে মামুন নৌকা, জাল ও বড়শি নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গেলে অভিযুক্তরা তাঁকে বাধা দিয়ে ঘের থেকে ৩০০ মিটার দূরে গিয়ে মাছ ধরতে বলেন। তিনি এতে আপত্তি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর ইঞ্জিনচালিত নৌকা, জাল ও বড়শি জোর করে নিয়ে যান এবং নিজেদের ঘাটে আটক রাখেন। এ সময় তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে নৌকা ফেরত দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। এ ছাড়া, ঘটনার আগের দিন একই এলাকায় মামুন মিয়ার সহযোগী এক বড়শিওয়ালাকেও মারধর করে তাঁর কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বড়শি ছিনিয়ে নেন কামরুল ও সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত কামরুল মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এদিকে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আলী উসমান বলেন, ‘অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। মামুন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। অনেক বছর তিনি ধনু নদে চাঁদাবাজিসহ আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছেন। মামুনের কাছে এক ব্যক্তি টাকা পান, সেই কারণে ওই ব্যক্তি তাঁর নৌকা আটক করেছিলেন। এখন তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমাদের শ্রমিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এই মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সবাই অবগত রয়েছেন।’
অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন খালিয়াজুরী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস রহমান। আজ রোববার তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উঁচু গাছের মগডালে বাদুড়ের ঝুলে থাকা একসময় ছিল গ্রামগঞ্জের স্বাভাবিক দৃশ্য। রাতের বেলায় ভয় জাগানো আঁধারে হঠাৎ কিচিরমিচির ডাকে বাদুড়ের ওড়াউড়ি আতঙ্ক আরও বাড়াত। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও দেখা মেলে না উড়তে জানা একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণীটির। গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়া আর খাবারের সংকটের কারণে বাদুড় আ
০৯ আগস্ট ২০২১
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
১২ মিনিট আগে
মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা...
৩৪ মিনিট আগে
কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা দুটি গুলি একই ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় পড়ে। এতে ছেনুয়ারা (২৭) নামের এক নারী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান ওই সংঘর্ষে গুলি ছোড়া হয়, যা বাংলাদেশে এসে পড়ছে।
সর্বশেষ গুলির বিষয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া একটি গুলি স্থানীয় একটি বাড়িতে এসে পড়েছে। ভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত হননি। তবে সীমান্তের মানুষজন আতঙ্কে রয়েছেন।’
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে সীমান্তের দিক থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পর ঘরের টিনের চালে কিছু একটা পড়ার শব্দ পাই। বাইরে গিয়ে দেখি, টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। পরে ঘরের দেয়াল থেকে গুলিটি উদ্ধার করি। আমাদের বাড়ি সীমান্ত থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে। এত দূর থেকেও গুলি এসে লাগায় আমরা ভয়ে আছি।’
হোয়াইক্যং ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, ‘আমতলী গ্রামের আইয়ুব ইসলামের বাড়িতে গুলি এসে পড়েছে বলে জেনেছি। ভাগ্যক্রমে কেউ আহত হননি। সীমান্তে প্রায়ই এমন গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ ধরনের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সীমান্তবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন।’
গতকালের ঘটনার বিষয়ে জানা গেছে, ওই দিন বিকেলে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কিছু সময় পর ওপার থেকে ছোড়া দুটি গুলি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার বসতবাড়ি ও কম্পিউটারের দোকানে এসে পড়ে। এতে ঘরের টিন ও দেয়াল ছিদ্র হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি গুলিতে ছেনুয়ারা নামের এক নারী আহত হন। ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় অনেক পরিবার শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেন।

মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা দুটি গুলি একই ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় পড়ে। এতে ছেনুয়ারা (২৭) নামের এক নারী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান ওই সংঘর্ষে গুলি ছোড়া হয়, যা বাংলাদেশে এসে পড়ছে।
সর্বশেষ গুলির বিষয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া একটি গুলি স্থানীয় একটি বাড়িতে এসে পড়েছে। ভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত হননি। তবে সীমান্তের মানুষজন আতঙ্কে রয়েছেন।’
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে সীমান্তের দিক থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পর ঘরের টিনের চালে কিছু একটা পড়ার শব্দ পাই। বাইরে গিয়ে দেখি, টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। পরে ঘরের দেয়াল থেকে গুলিটি উদ্ধার করি। আমাদের বাড়ি সীমান্ত থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে। এত দূর থেকেও গুলি এসে লাগায় আমরা ভয়ে আছি।’
হোয়াইক্যং ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, ‘আমতলী গ্রামের আইয়ুব ইসলামের বাড়িতে গুলি এসে পড়েছে বলে জেনেছি। ভাগ্যক্রমে কেউ আহত হননি। সীমান্তে প্রায়ই এমন গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ ধরনের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সীমান্তবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন।’
গতকালের ঘটনার বিষয়ে জানা গেছে, ওই দিন বিকেলে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কিছু সময় পর ওপার থেকে ছোড়া দুটি গুলি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তেচ্ছি ব্রিজ এলাকার বসতবাড়ি ও কম্পিউটারের দোকানে এসে পড়ে। এতে ঘরের টিন ও দেয়াল ছিদ্র হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি গুলিতে ছেনুয়ারা নামের এক নারী আহত হন। ঘটনার পর সীমান্ত এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় অনেক পরিবার শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেন।

উঁচু গাছের মগডালে বাদুড়ের ঝুলে থাকা একসময় ছিল গ্রামগঞ্জের স্বাভাবিক দৃশ্য। রাতের বেলায় ভয় জাগানো আঁধারে হঠাৎ কিচিরমিচির ডাকে বাদুড়ের ওড়াউড়ি আতঙ্ক আরও বাড়াত। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও দেখা মেলে না উড়তে জানা একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণীটির। গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়া আর খাবারের সংকটের কারণে বাদুড় আ
০৯ আগস্ট ২০২১
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
১২ মিনিট আগে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
২৩ মিনিট আগে
কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল ডোনা পাত্তিছড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি গত সপ্তাহে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শাকিলসহ দুজন আজ রোববার দুপুরে ডোনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডোনা খাসিয়াপুঞ্জিতে প্রবেশ করে সুপারি পাড়তে যান। এ সময় অস্ত্রধারী খাসিয়ারা তাঁদের ওপর গুলি করলে শাকিল গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে সহযোগীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক মো. জুবায়ের আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরে ৫০০ গজ ভেতরে খাসিয়াদের গুলিতে আহত হয়ে শাকিল নামের এক যুবক মারা গেছে। ওখানে পাহারাদার ছিল, তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় বর্ডারে ঢোকে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যায়।’
এ বিষয়ে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আজ দুপুরে শাকিলসহ আরও দুজন ডোনা সীমান্তে ১৩৩৪ পিলারের কাছাকাছি জায়গায় ভারতীয় সুপারি আনতে গেলে খাসিয়ারা তাদের লক্ষ করে গুলি চালায়। এতে শাকিল গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সীমানায় এসে মাটিতে পড়ে। পরে তার সহযোগীরা সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু বরণ করে। বর্তমানে তার মরদেহ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে আছে।’

সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে শাকিল আহমদ (২১) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তবর্তী ১৩৩৪ নম্বর মেইন পিলারসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল ডোনা পাত্তিছড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি গত সপ্তাহে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শাকিলসহ দুজন আজ রোববার দুপুরে ডোনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডোনা খাসিয়াপুঞ্জিতে প্রবেশ করে সুপারি পাড়তে যান। এ সময় অস্ত্রধারী খাসিয়ারা তাঁদের ওপর গুলি করলে শাকিল গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে সহযোগীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক মো. জুবায়ের আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরে ৫০০ গজ ভেতরে খাসিয়াদের গুলিতে আহত হয়ে শাকিল নামের এক যুবক মারা গেছে। ওখানে পাহারাদার ছিল, তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় বর্ডারে ঢোকে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যায়।’
এ বিষয়ে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আজ দুপুরে শাকিলসহ আরও দুজন ডোনা সীমান্তে ১৩৩৪ পিলারের কাছাকাছি জায়গায় ভারতীয় সুপারি আনতে গেলে খাসিয়ারা তাদের লক্ষ করে গুলি চালায়। এতে শাকিল গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সীমানায় এসে মাটিতে পড়ে। পরে তার সহযোগীরা সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু বরণ করে। বর্তমানে তার মরদেহ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে আছে।’

উঁচু গাছের মগডালে বাদুড়ের ঝুলে থাকা একসময় ছিল গ্রামগঞ্জের স্বাভাবিক দৃশ্য। রাতের বেলায় ভয় জাগানো আঁধারে হঠাৎ কিচিরমিচির ডাকে বাদুড়ের ওড়াউড়ি আতঙ্ক আরও বাড়াত। এখন গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও দেখা মেলে না উড়তে জানা একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণীটির। গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়া আর খাবারের সংকটের কারণে বাদুড় আ
০৯ আগস্ট ২০২১
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস রোড দখল এবং পুলিশের চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা।
১২ মিনিট আগে
নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে ধনু নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলের নৌকা আটকিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিক দল নেতা কামরুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
২৩ মিনিট আগে
মিয়ানমার থেকে আবারও একটি গুলি এসে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে বসতঘরে পড়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব ইসলামের বসতঘরের টিনের চালা ভেদ করে গুলিটি। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমার থেকে আসা...
৩৪ মিনিট আগে