ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসচাপায় তিন দিনের ব্যবধানে সাত পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে আজই নিহত হয়েছেন পাঁচজন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেলেরঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনায় এক কসাই ও পাঁচ পোশাকশ্রমিকসহ ছয়জন মারা যান। এতে গুরুতর আহত হন আরও অন্তত পাঁচজন। গুরুতর আহত ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আজ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই এলাকার খায়রুজ্জামান লিটন (২৮), বাড়েরারপাড় ভাটিপাড়া এলাকার শিমুল আহমেদ জয় (২০), ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের হদ্দের ভিটা গ্রামের মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২০), সাখুয়া ইউনিয়নের গন্ডখোলা এলাকার বখতিয়ার হোসাইন সোহেল (৩৫), ঈশ্বরগঞ্জের মারোয়াখালী এলাকার আলতাব হোসেন (৬০) এবং অন্য এক নারীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতদের মধ্যে আলতাব হোসেন গাজীপুরে কসাইয়ের কাজ করেন এবং বাকিরা ভালুকায় বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
গত সোমবার পিকআপ ভ্যানের চাপায় পৃষ্ঠ হয়ে নিহত দুই পোশাকশ্রমিক হলেন উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের উজান বৈলর গ্রামের মো. রাসেল মিয়ার স্ত্রী সুমি আক্তার (২০) এবং একই গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (৩৫)।
নিহত সুমি আক্তার পাশের উপজেলা ভালুকার ক্রাউন গার্মেন্টস কোম্পানিতে এবং আম্বিয়া খাতুন একই উপজেলার লাবিব সোয়েটার কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, আজ সকালে সদরের চুরখাই ও ত্রিশাল থেকে শেরপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এসএস ট্রাভেলস নামের একটি বাসে ওঠেন পোশাকশ্রমিকেরা। চেলেরঘাট এলাকায় যেতে বাসটির চাকা প্যাংচার হয়। এ সময় বাসটি সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে মেরামত করছিল। এতে পোশাকশ্রমিকেরা নেমে অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এরই মধ্যে বাসের কয়েকজন যাত্রী ইসলাম পরিবহনের আরেকটি বাসকে সিগনাল দিয়ে দাঁড় করান। এ সময় রাসেল গার্মেন্টসের একটি বাস এসে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী ও বাসে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং পরে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও ময়মনসিংহ মেডিকেলে দুজনের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় ও নিহতদের স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, পোশাককর্মীদের জীবনের যেন কোনো মূল্যই নেই কারও কাছে। একই উপজেলায় গত তিন দিনে গাড়ি চাপায় সাত পোশাককর্মীর মৃত্যু হলো। অথচ এঁরা নিতান্তই জীবনের প্রয়োজনে অদক্ষ চালক দ্বারা চালিত ফিটনেসবিহীন গাড়িতে করেই নিয়মিত এসব পোশাক কারখানায় যাতায়াত করে থাকেন। বিভিন্ন রোডে চলাচলে অনুপযোগী বাসগুলোকে পোশাক কারখানার শ্রমিক আনা-নেওয়ায় ব্যবহার করা হয় বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
জানা যায়, পোশাককর্মীদের বহন করা বাসটি সড়কে চলাচলের অনুমতি হারিয়েছে ২০১৯ সালের ১ জুন। ফিটনেস হারিয়েছে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। ফিটনেসবিহীন এ বাসটিকে ধাক্কা দেওয়া শেরপুর থেকে ঢাকাগামী এসএস ট্রাভেলসের (ঢাকা মেট্রো ব-১১-০৫২৩) নম্বরের গাড়িটির বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, এ দুর্ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
বিআরটিএ ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা বিষয়টি নিয়ে ঘটনাস্থলে কাজ করছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তবুও সড়কে চললে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসচাপায় তিন দিনের ব্যবধানে সাত পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে আজই নিহত হয়েছেন পাঁচজন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেলেরঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনায় এক কসাই ও পাঁচ পোশাকশ্রমিকসহ ছয়জন মারা যান। এতে গুরুতর আহত হন আরও অন্তত পাঁচজন। গুরুতর আহত ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আজ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই এলাকার খায়রুজ্জামান লিটন (২৮), বাড়েরারপাড় ভাটিপাড়া এলাকার শিমুল আহমেদ জয় (২০), ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের হদ্দের ভিটা গ্রামের মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২০), সাখুয়া ইউনিয়নের গন্ডখোলা এলাকার বখতিয়ার হোসাইন সোহেল (৩৫), ঈশ্বরগঞ্জের মারোয়াখালী এলাকার আলতাব হোসেন (৬০) এবং অন্য এক নারীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতদের মধ্যে আলতাব হোসেন গাজীপুরে কসাইয়ের কাজ করেন এবং বাকিরা ভালুকায় বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
গত সোমবার পিকআপ ভ্যানের চাপায় পৃষ্ঠ হয়ে নিহত দুই পোশাকশ্রমিক হলেন উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের উজান বৈলর গ্রামের মো. রাসেল মিয়ার স্ত্রী সুমি আক্তার (২০) এবং একই গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (৩৫)।
নিহত সুমি আক্তার পাশের উপজেলা ভালুকার ক্রাউন গার্মেন্টস কোম্পানিতে এবং আম্বিয়া খাতুন একই উপজেলার লাবিব সোয়েটার কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, আজ সকালে সদরের চুরখাই ও ত্রিশাল থেকে শেরপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এসএস ট্রাভেলস নামের একটি বাসে ওঠেন পোশাকশ্রমিকেরা। চেলেরঘাট এলাকায় যেতে বাসটির চাকা প্যাংচার হয়। এ সময় বাসটি সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে মেরামত করছিল। এতে পোশাকশ্রমিকেরা নেমে অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এরই মধ্যে বাসের কয়েকজন যাত্রী ইসলাম পরিবহনের আরেকটি বাসকে সিগনাল দিয়ে দাঁড় করান। এ সময় রাসেল গার্মেন্টসের একটি বাস এসে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী ও বাসে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং পরে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও ময়মনসিংহ মেডিকেলে দুজনের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় ও নিহতদের স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, পোশাককর্মীদের জীবনের যেন কোনো মূল্যই নেই কারও কাছে। একই উপজেলায় গত তিন দিনে গাড়ি চাপায় সাত পোশাককর্মীর মৃত্যু হলো। অথচ এঁরা নিতান্তই জীবনের প্রয়োজনে অদক্ষ চালক দ্বারা চালিত ফিটনেসবিহীন গাড়িতে করেই নিয়মিত এসব পোশাক কারখানায় যাতায়াত করে থাকেন। বিভিন্ন রোডে চলাচলে অনুপযোগী বাসগুলোকে পোশাক কারখানার শ্রমিক আনা-নেওয়ায় ব্যবহার করা হয় বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
জানা যায়, পোশাককর্মীদের বহন করা বাসটি সড়কে চলাচলের অনুমতি হারিয়েছে ২০১৯ সালের ১ জুন। ফিটনেস হারিয়েছে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। ফিটনেসবিহীন এ বাসটিকে ধাক্কা দেওয়া শেরপুর থেকে ঢাকাগামী এসএস ট্রাভেলসের (ঢাকা মেট্রো ব-১১-০৫২৩) নম্বরের গাড়িটির বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, এ দুর্ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
বিআরটিএ ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা বিষয়টি নিয়ে ঘটনাস্থলে কাজ করছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তবুও সড়কে চললে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২৪ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৪১ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে