Ajker Patrika

মৃত্যুর ২ মাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন

প্রতিনিধি, পূর্বধলা (নেত্রকোনা)
মৃত্যুর ২ মাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন

নেত্রকোনা পূর্বধলা উপজেলায় মৃত্যুর দুই মাস পর হাবিবুর রহমান (৪২) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ভুল চিকিৎসায় তাঁর মৃত্যুর অভিযোগে স্বজনদের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালত তাঁর লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশে নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে পূর্বধলা থানা–পুলিশ আজ রোববার বিকেলে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। 

মৃত হাবিবুর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের দুগাছি গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।

মৃত হাবিবুরের ছোট ভাই স্বপন মিয়া জানান, গত দুই মাস আগে তাঁর বড় ভাইয়ের থুতনির নিচে একটি টিউমার দেখা দেয়। এটির চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে অপারেশনের পরামর্শ দেন। পরে টাকা জোগাড় করে অপারেশনের জন্য নিয়ে যাবেন ভেবে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত ১৮মে পার্শ্ববর্তী কাপাশিয়া গ্রামের মৃত ফজু মুন্সির ছেলে পল্লি চিকিৎসক নূরুল আমিন অপারেশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রথমে তাঁকে কাপাশিয়া বাজারের তাঁর চেম্বারে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহের চরপাড়ায় অবস্থিত বি এন ক্লিনিক নামে তাঁর এক আত্মীয়ের ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে বিশেষজ্ঞ সার্জন ছাড়াই অপারেশন করানো হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে নূরুল আমিন সেখান থেকে পালিয়ে যান। 
 
জানা যায় এ ঘটনার পর নুরুল আমিনের লোকজনের চাপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করেন তাঁরা। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে এলাকাবাসী বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তাই এক মাস আগে নূরুল আমিনকে প্রধান আসামি করে স্বপন মিয়া বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। 

হাবিবুরের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী নূরজাহান বেগম জানান, নূরুল আমিন নিজেই অপারেশনের নামে ভুল চিকিৎসার করে তাঁর স্বামীকে মেরে ফেলেছেন। নূরুল আমিনের লোকজনের হুমকি ও স্থানীয় লোকজনের আশ্বাসে প্রথমে মামলা করা হয়নি। বর্তমানে তিনি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ করেন। 

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে আজ মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

পূর্বধলা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম নাসরিন বেগম সেতু বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্টসহ নেত্রকোনায় পাঠানো হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত