ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
প্রায় ৩৫ বছর আগে ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মাণ করা হয় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। কিন্তু নাব্যতা ফেরাতে নদ খননের নামে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে ৭২ কোটি টাকার সেতুটি। এ ছাড়া জয় বাংলা চত্বর, বেড়িবাঁধ এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারাও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
খনন প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফেরাতে ২০১৯ সালের শেষের দিকে ২২৭ কিলোমিটার নদ খননের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি খনন করার কথা রয়েছে। চলতি বছরের জুনে খননকাজ শেষ করার কথা থাকলে মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
এদিকে, নদ খননে তেমন তোড়জোড় দেখা না গেলেও বালু লুটের মহোৎসব চলছে। বালু তদারকির দায়িত্বে থাকা ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত তোলা ৭ কোটি ৫৫ লাখ ঘনফুটের মতো বালু বিক্রি হয়েছে। অবিক্রীত বালুর পরিমাণ তাদের জানা নেই।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, একই স্থানে একাধিকবার বালু উত্তোলন করে নিলাম ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। হুমকিতে পড়ছে অনেক স্থাপনা।
গত বছর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুসংলগ্ন নগরীর পাটগুদাম এলাকায় লক্ষাধিক ঘনফুট বালু উত্তোলন করে বিআইডব্লিউটিএ। সেই বালু বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় অবিক্রীত থেকে যায়। কিন্তু স্তূপ করে রাখা বালু কে বা কারা নিয়ে যায়, জানে না প্রশাসন।
সম্প্রতি আবারও একই স্থানে বালু উত্তোলন করার জন্য খননযন্ত্র বসানো হয়েছে; কিছু বালু তোলাও হয়। পিলারের নিচ থেকে বালু উত্তোলন করায় ঝুঁকিতে পড়েছে সেতুটি।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘এখন যে জায়গায় খননযন্ত্র বসানো হয়েছে, গত বছরও সেই জায়গা থেকে বালু তোলা হয়েছিল। সেতুর নিচ থেকে একাধিকবার বালু তোলায় পিলারের নিচের অংশ থেকে বালু সরে যাচ্ছে। এতে সেতুটি ঝুঁকিতে পড়েছে।’
অন্যদিকে, গৌরীপুর উপজেলার কাশিয়ারচরে অপরিকল্পিতভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মধ্যে রয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। বালুবাহী যানবাহনের দৌরাত্ম্যে নষ্ট হচ্ছে সড়ক। এ ছাড়া ভাঙনে নদের গর্ভে বিলীনের ঝুঁকিতে রয়েছে বসতভিটাসহ ফসলি জমি।
ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদ খননের চার বছরের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে চললেও কাজ শেষ না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। খননের নামে নদটিকে মেরে ফেলা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে; তাতেও খুব একটা সফলতা আসবে বলে মনে হচ্ছে না। নদ খননে সফলতা না এলেও সেখানে বালু লুট চলছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা।’
ময়মনসিংহ বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোহসিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ ভাগ খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বেড়েছে, আশা করছি এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা ফিরবে।’
বালু উত্তোলনে চীন-মৈত্রী সেতু ঝুঁকিতে পড়ার বিষয়ে মোহাম্মদ মোহসিন বলেন, সেতু থেকে ১০০ মিটার দূরে ড্রেজার বসানো হয়েছে, তাই সেতুর কোনো ঝুঁকির শঙ্কা নেই।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুস বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, তারা নিয়ম মেনেই ড্রেজার বসিয়েছে, এতে ঝুঁকির কোনো কারণ নেই।’
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে মোহাম্মদ মাকসুদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘বালু উত্তোলনে সেতু ঝুঁকিতে পড়ার কোনো কারণ দেখছি না। তার পরেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’
প্রায় ৩৫ বছর আগে ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মাণ করা হয় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। কিন্তু নাব্যতা ফেরাতে নদ খননের নামে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে ৭২ কোটি টাকার সেতুটি। এ ছাড়া জয় বাংলা চত্বর, বেড়িবাঁধ এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারাও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
খনন প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফেরাতে ২০১৯ সালের শেষের দিকে ২২৭ কিলোমিটার নদ খননের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি খনন করার কথা রয়েছে। চলতি বছরের জুনে খননকাজ শেষ করার কথা থাকলে মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
এদিকে, নদ খননে তেমন তোড়জোড় দেখা না গেলেও বালু লুটের মহোৎসব চলছে। বালু তদারকির দায়িত্বে থাকা ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত তোলা ৭ কোটি ৫৫ লাখ ঘনফুটের মতো বালু বিক্রি হয়েছে। অবিক্রীত বালুর পরিমাণ তাদের জানা নেই।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, একই স্থানে একাধিকবার বালু উত্তোলন করে নিলাম ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। হুমকিতে পড়ছে অনেক স্থাপনা।
গত বছর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুসংলগ্ন নগরীর পাটগুদাম এলাকায় লক্ষাধিক ঘনফুট বালু উত্তোলন করে বিআইডব্লিউটিএ। সেই বালু বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় অবিক্রীত থেকে যায়। কিন্তু স্তূপ করে রাখা বালু কে বা কারা নিয়ে যায়, জানে না প্রশাসন।
সম্প্রতি আবারও একই স্থানে বালু উত্তোলন করার জন্য খননযন্ত্র বসানো হয়েছে; কিছু বালু তোলাও হয়। পিলারের নিচ থেকে বালু উত্তোলন করায় ঝুঁকিতে পড়েছে সেতুটি।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘এখন যে জায়গায় খননযন্ত্র বসানো হয়েছে, গত বছরও সেই জায়গা থেকে বালু তোলা হয়েছিল। সেতুর নিচ থেকে একাধিকবার বালু তোলায় পিলারের নিচের অংশ থেকে বালু সরে যাচ্ছে। এতে সেতুটি ঝুঁকিতে পড়েছে।’
অন্যদিকে, গৌরীপুর উপজেলার কাশিয়ারচরে অপরিকল্পিতভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মধ্যে রয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। বালুবাহী যানবাহনের দৌরাত্ম্যে নষ্ট হচ্ছে সড়ক। এ ছাড়া ভাঙনে নদের গর্ভে বিলীনের ঝুঁকিতে রয়েছে বসতভিটাসহ ফসলি জমি।
ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদ খননের চার বছরের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে চললেও কাজ শেষ না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। খননের নামে নদটিকে মেরে ফেলা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে; তাতেও খুব একটা সফলতা আসবে বলে মনে হচ্ছে না। নদ খননে সফলতা না এলেও সেখানে বালু লুট চলছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা।’
ময়মনসিংহ বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোহসিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ ভাগ খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বেড়েছে, আশা করছি এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা ফিরবে।’
বালু উত্তোলনে চীন-মৈত্রী সেতু ঝুঁকিতে পড়ার বিষয়ে মোহাম্মদ মোহসিন বলেন, সেতু থেকে ১০০ মিটার দূরে ড্রেজার বসানো হয়েছে, তাই সেতুর কোনো ঝুঁকির শঙ্কা নেই।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুস বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, তারা নিয়ম মেনেই ড্রেজার বসিয়েছে, এতে ঝুঁকির কোনো কারণ নেই।’
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে মোহাম্মদ মাকসুদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘বালু উত্তোলনে সেতু ঝুঁকিতে পড়ার কোনো কারণ দেখছি না। তার পরেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা থেকে ৫টি বন্দুক ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বিজিবি। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে এসব উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
৬ মিনিট আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে মুসল্লিবাড়িতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে মাইনুল ইসলামকে আটক করা হয়। ওই বাড়িসংলগ্ন মসজিদে আগে ইমামতি করতেন মাইনুল। বাড়ি উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম শোলক গ্রামে...
১৫ মিনিট আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আছিয়ার ঘটনায় মামলার বিচারে যে ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু সতর্ক করে দিতে চাই, এটা ৯১ দিন হলে আমরা মানব না।’
২৬ মিনিট আগেবগুড়ার কাহালুতে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে নুর ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে নির্যাতনের শিকার এক শিশুর মা বাদী হয়ে কাহালু থানায় মামলাটি করেন।
২ ঘণ্টা আগে