Ajker Patrika

ইসলামপুরে ফরিদুল হক ও বহিষ্কৃত মেয়রের বাসভবনে হামলার ক্ষতচিহ্ন

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ২২: ৩০
Thumbnail image

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরপরই আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে বাদ যায়নি ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের বাসভবনও। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইসলামপুর পৌর শহরের বাজার রোডে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল হক খান দুলালের বাসভবনে ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। কারুকাজে নির্মিত চারতলা ভবনের কাচের জানালাগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাময়িক বহিষ্কৃত ইসলামপুর পৌর মেয়র আব্দুল কাদের সেখের পৌর শহরের ধর্মকুড়া এলাকায় বহুতল ভবনেও দেখা গেছে ভাঙচুরের চিহ্ন। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাময়িক বহিষ্কৃত পৌর মেয়র আব্দুল কাদের সেখ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার খবর টেলিভিশনে শোনার পরপরই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বসতবাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। একদল জনতা অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাবেক ধর্মমন্ত্রীর বাসভবন এবং আমার বাসভবনে তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা এসে ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালাতে বাধা দেওয়ায় অনেকটাই ক্ষতি কম হয়েছে।’ 

উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু বলেন, ‘আমরা ভাঙচুর ও লুটপাটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ যাতে কারোর বাসভবনসহ স্থাপনায় ভাঙচুরসহ ক্ষতি করতে না পারে, সে জন্য সজাগ থাকতে হবে। কোনো ধরনের সহিংসতা কিংবা বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করছি। আশা রাখি পরিস্থিতি উন্নতি করা হবে। মানুষ নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারবে।’ 

ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিত দাস বলেন, ‘কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছেন। ক্রমেই পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে।’ 

এদিকে ইসলামপুর পৌর শহরের বিভিন্ন দোকানপাট খোলা থাকায় অনেকে জরুরি কেনাকাটা করছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে এবং পরিস্থিতি থমথমে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয়দের ধারণা, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জনরোষ থেকে রেহাই পেতে আত্মগোপনে আছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের শান্ত পরিবেশ বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত