ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সৌদি আরবে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের তিন যুবক। দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন ওই যুবকেরা দেশে জীবিত ফিরতে বারবার পরিবারের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছেন। এতে ধারদেনা করে সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়ে হতাশায় ভুগছেন স্বজনেরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সতর্কতার সঙ্গে বিদেশে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ ডিআইজি।
কাজের সন্ধানে সম্প্রতি সৌদি আরবে পাড়ি জমান ময়মনসিংহের নান্দাইলের দেউল ডেংরা গ্রামের আব্দুল হেলিমের ছেলে আনোয়ার হোসেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কুমারুল গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে শাহ আলম এবং ধোবাউড়া উপজেলার পশ্চিম সোহাগী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মাসুম আহমেদ।
ভালো বেতনে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬-৭ লাখ টাকা নিয়ে সৌদি আরবে পাঠান ঢাকার বনানীর সৈনিক ক্লাবে অবস্থিত খান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিস্ট। দুই মাস আগে তাঁরা বিদেশে গেলেও এখনো কথা অনুযায়ী দেওয়া হয়নি কোনো কাজ। খেয়ে না খেয়ে সেখানে তাঁরা পার করছেন মানবেতর জীবন। পরিবারের কাছে প্রতিনিয়ত বার্তা পাঠাচ্ছেন দেশে জীবিত আসার ব্যবস্থা করতে। এদিকে ধারদেনা করে ছেলেদের বিদেশে পাঠিয়ে চরম অশান্তিতে ভুগছেন স্বজনেরা।
ভুক্তভোগী শাহ আলমের বাবা জালাল উদ্দিন বলেন, ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলেন পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে। এখন ছেলেকে জীবিত পেলেই বাঁচেন, প্রায় দুই মাস ধরে তাঁরা সেখানে গেলেও কোনো কাজে যোগ দিতে পারেননি। এজেন্সির লোকজনের মোবাইলও বন্ধ রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ছেলেরা খেয়ে না খেয়ে খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছে, সরকারের কাছে শুধু ছেলেকে দেশে ফেরানোর সহযোগিতা চাই।
আরেক ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেনের বাবা আব্দুল হেলিম বলেন, ‘ধার করে ৭ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে সৌদি পাঠিয়েছি। পাঠানোর পর থেকেই সংসারে কোনো খাওয়াদাওয়া নেই। কারণ, ছেলে আমার ভালো নেই। কোম্পানি মাসে ১ হাজার ৪০০ রিয়াল বেতন দেওয়ার কথা বললেও কোনো কাজই তাদের দেয়নি। যারা মানুষের সরলতা নিয়ে খেলছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি।’
ভিডিও বার্তায় ভুক্তভোগী যুবকেরা জানান, খান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিস্টের মালিক খান সালাউদ্দীন সোহাগের বৈধ কোনো লাইসেন্স নেই। সে অন্যের একটি এজেন্সির মাধ্যমে আমাদের বিদেশ পাঠিয়েছে। সে মূলত বিদেশগামী মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণা করে আসছে। এখানে আমাদের থাকা-খাওয়ায় খুব কষ্ট হচ্ছে, কয়েক দিন থাকলে মরেও যেতে পারি। প্রশাসনের সহযোগিতায় দেশে জীবিত ফিরতে চাই।’
মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে খান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিস্টের মালিক খান সালাউদ্দীন সোহাগ বলেন, ‘আমি এই এজেন্সির মূল মালিক না হলেও একজন অংশীদার। যার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। চুক্তি অনুযায়ী ভিসার সব শর্ত মানা হয়েছে। তাঁরা কাজ না করলে আমার কিছু করার নেই।’
ময়মনসিংহের জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের প্রধান সহকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি বিদেশে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. আশরাফুর রহমান বলেন, বিদেশে গিয়ে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নিলে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া যাঁরা বিদেশে যাবেন বা যাচ্ছেন, তাঁদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ, কোন এজেন্সির মাধ্যমে আমি যাচ্ছি, তার কোনো বৈধতা আছে কি না, সেগুলোর খুঁটিনাটি দেখা প্রয়োজন। যেন কোনো কারণে সারা জীবনের অর্জিত অর্থ বিফলে না যায়।
প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সৌদি আরবে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের তিন যুবক। দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন ওই যুবকেরা দেশে জীবিত ফিরতে বারবার পরিবারের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছেন। এতে ধারদেনা করে সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়ে হতাশায় ভুগছেন স্বজনেরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সতর্কতার সঙ্গে বিদেশে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ ডিআইজি।
কাজের সন্ধানে সম্প্রতি সৌদি আরবে পাড়ি জমান ময়মনসিংহের নান্দাইলের দেউল ডেংরা গ্রামের আব্দুল হেলিমের ছেলে আনোয়ার হোসেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কুমারুল গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে শাহ আলম এবং ধোবাউড়া উপজেলার পশ্চিম সোহাগী গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মাসুম আহমেদ।
ভালো বেতনে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬-৭ লাখ টাকা নিয়ে সৌদি আরবে পাঠান ঢাকার বনানীর সৈনিক ক্লাবে অবস্থিত খান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিস্ট। দুই মাস আগে তাঁরা বিদেশে গেলেও এখনো কথা অনুযায়ী দেওয়া হয়নি কোনো কাজ। খেয়ে না খেয়ে সেখানে তাঁরা পার করছেন মানবেতর জীবন। পরিবারের কাছে প্রতিনিয়ত বার্তা পাঠাচ্ছেন দেশে জীবিত আসার ব্যবস্থা করতে। এদিকে ধারদেনা করে ছেলেদের বিদেশে পাঠিয়ে চরম অশান্তিতে ভুগছেন স্বজনেরা।
ভুক্তভোগী শাহ আলমের বাবা জালাল উদ্দিন বলেন, ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলেন পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে। এখন ছেলেকে জীবিত পেলেই বাঁচেন, প্রায় দুই মাস ধরে তাঁরা সেখানে গেলেও কোনো কাজে যোগ দিতে পারেননি। এজেন্সির লোকজনের মোবাইলও বন্ধ রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ছেলেরা খেয়ে না খেয়ে খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছে, সরকারের কাছে শুধু ছেলেকে দেশে ফেরানোর সহযোগিতা চাই।
আরেক ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেনের বাবা আব্দুল হেলিম বলেন, ‘ধার করে ৭ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে সৌদি পাঠিয়েছি। পাঠানোর পর থেকেই সংসারে কোনো খাওয়াদাওয়া নেই। কারণ, ছেলে আমার ভালো নেই। কোম্পানি মাসে ১ হাজার ৪০০ রিয়াল বেতন দেওয়ার কথা বললেও কোনো কাজই তাদের দেয়নি। যারা মানুষের সরলতা নিয়ে খেলছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি।’
ভিডিও বার্তায় ভুক্তভোগী যুবকেরা জানান, খান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিস্টের মালিক খান সালাউদ্দীন সোহাগের বৈধ কোনো লাইসেন্স নেই। সে অন্যের একটি এজেন্সির মাধ্যমে আমাদের বিদেশ পাঠিয়েছে। সে মূলত বিদেশগামী মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণা করে আসছে। এখানে আমাদের থাকা-খাওয়ায় খুব কষ্ট হচ্ছে, কয়েক দিন থাকলে মরেও যেতে পারি। প্রশাসনের সহযোগিতায় দেশে জীবিত ফিরতে চাই।’
মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে খান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিস্টের মালিক খান সালাউদ্দীন সোহাগ বলেন, ‘আমি এই এজেন্সির মূল মালিক না হলেও একজন অংশীদার। যার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। চুক্তি অনুযায়ী ভিসার সব শর্ত মানা হয়েছে। তাঁরা কাজ না করলে আমার কিছু করার নেই।’
ময়মনসিংহের জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের প্রধান সহকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি বিদেশে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. আশরাফুর রহমান বলেন, বিদেশে গিয়ে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নিলে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া যাঁরা বিদেশে যাবেন বা যাচ্ছেন, তাঁদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ, কোন এজেন্সির মাধ্যমে আমি যাচ্ছি, তার কোনো বৈধতা আছে কি না, সেগুলোর খুঁটিনাটি দেখা প্রয়োজন। যেন কোনো কারণে সারা জীবনের অর্জিত অর্থ বিফলে না যায়।
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৭ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৭ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৭ ঘণ্টা আগে