নেত্রকোনা প্রতিনিধি
খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিসের চেয়ার ও কম্পিউটার সব সময় দখল করে রাখেন উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা। এ নিয়ে বিবাদে জড়ান দুই কর্মকর্তা। সেই বিবাদ লিখিত অভিযোগ পর্যন্ত গড়িয়েছে। অবশ্য অভিযোগ দেওয়া হয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে। যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত দুই কর্মকর্তার একটি অফিসরুম। সেখানে চেয়ার ও কম্পিউটার একটি। চেয়ারে বসা ও কম্পিউটার দখল করে রাখা নিয়েই দুজনের মধ্যে বিবাদ।
ঘটনাটি নেত্রকোনার কলমাকান্দায় উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি–এলএসডি) কৃষ্ণা মজুমদার ও উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কায়সার আহমেদের মধ্যকার।
এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কাছে গত ১৭ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি ওসি–এলএসডি কৃষ্ণা মজুমদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় ডিলারদের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এর প্রতিবাদ করায় কৃষ্ণা মজুমদার তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
আজ শুক্রবার জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দুয়া উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহকে অভিযোগ তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কলমাকান্দা উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসি–এলএসডি কৃষ্ণা মজুমদার স্থানীয় ডিলারদের চাল ওজনে কম দেন। আমি এসবের প্রতিবাদ করি। সে কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমার সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেছেন। এ বিষয়ে জেলা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষ্ণা মজুমদার বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ ভবনে খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কায়সার আহমেদের নিজের অফিস থাকার পরও খাদ্যগুদামে আমার অফিস দখল করে রাখেন। এমনকি আমার কম্পিউটারও তিনি সব সময় ব্যবহার করেন। তাঁর অফিসের সমস্ত লোক সারাক্ষণ আমার অফিসে বসে থাকে। কর্মকর্তা নিজেও প্রায় সময় আমার চেয়ারে এসে বসে থাকেন। সে কারণে নিজের অফিসে আমি আমার মতো করে কাজ করতে পারি না। একটা অস্বস্তিকর অবস্থায় থাকি সব সময়। অথচ ওনার নিজের অফিস তিনি ব্যবহার করেন না। বিষয়টি তাঁকে বলতেই চালে কম দেওয়ার মিথ্যা গল্প বানিয়ে জেলা কর্মকর্তার কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অথচ গত ১৭ অক্টোবর যেদিন তিনি অভিযোগ দিয়েছেন, সেদিন কোনো চাল বিতরণ ছিল না। তা ছাড়া অভিযোগপত্রের লিখিত ভাষাও বিচ্ছিরি নোংরা!’
তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দুয়া উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘গত মঙ্গলবার জেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে বুধবার সরেজমিন তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ প্রতিবেদন আগামী রোববার জমা দেব।’
উপজেলা পরিষদ ভবনে খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার অফিস আছে কি না, জানতে চাইলে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম বলেন, ‘আমাদের নবনির্মিত ভবনে খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাকে একটি অফিসরুম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে এখনো বসার মতো ব্যবস্থা করা হয়নি। এ ছাড়া পুরাতন ভবনে তাঁর কোনো অফিস নেই। ফলে খাদ্যগুদামের ওসি–এলএসডির অফিসটিই দুজনে ব্যবহার করেন।’
জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিসের চেয়ার ও কম্পিউটার সব সময় দখল করে রাখেন উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা। এ নিয়ে বিবাদে জড়ান দুই কর্মকর্তা। সেই বিবাদ লিখিত অভিযোগ পর্যন্ত গড়িয়েছে। অবশ্য অভিযোগ দেওয়া হয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে। যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত দুই কর্মকর্তার একটি অফিসরুম। সেখানে চেয়ার ও কম্পিউটার একটি। চেয়ারে বসা ও কম্পিউটার দখল করে রাখা নিয়েই দুজনের মধ্যে বিবাদ।
ঘটনাটি নেত্রকোনার কলমাকান্দায় উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি–এলএসডি) কৃষ্ণা মজুমদার ও উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কায়সার আহমেদের মধ্যকার।
এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কাছে গত ১৭ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি ওসি–এলএসডি কৃষ্ণা মজুমদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় ডিলারদের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এর প্রতিবাদ করায় কৃষ্ণা মজুমদার তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
আজ শুক্রবার জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দুয়া উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহকে অভিযোগ তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কলমাকান্দা উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসি–এলএসডি কৃষ্ণা মজুমদার স্থানীয় ডিলারদের চাল ওজনে কম দেন। আমি এসবের প্রতিবাদ করি। সে কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমার সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেছেন। এ বিষয়ে জেলা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষ্ণা মজুমদার বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ ভবনে খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কায়সার আহমেদের নিজের অফিস থাকার পরও খাদ্যগুদামে আমার অফিস দখল করে রাখেন। এমনকি আমার কম্পিউটারও তিনি সব সময় ব্যবহার করেন। তাঁর অফিসের সমস্ত লোক সারাক্ষণ আমার অফিসে বসে থাকে। কর্মকর্তা নিজেও প্রায় সময় আমার চেয়ারে এসে বসে থাকেন। সে কারণে নিজের অফিসে আমি আমার মতো করে কাজ করতে পারি না। একটা অস্বস্তিকর অবস্থায় থাকি সব সময়। অথচ ওনার নিজের অফিস তিনি ব্যবহার করেন না। বিষয়টি তাঁকে বলতেই চালে কম দেওয়ার মিথ্যা গল্প বানিয়ে জেলা কর্মকর্তার কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অথচ গত ১৭ অক্টোবর যেদিন তিনি অভিযোগ দিয়েছেন, সেদিন কোনো চাল বিতরণ ছিল না। তা ছাড়া অভিযোগপত্রের লিখিত ভাষাও বিচ্ছিরি নোংরা!’
তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দুয়া উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘গত মঙ্গলবার জেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে বুধবার সরেজমিন তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ প্রতিবেদন আগামী রোববার জমা দেব।’
উপজেলা পরিষদ ভবনে খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার অফিস আছে কি না, জানতে চাইলে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম বলেন, ‘আমাদের নবনির্মিত ভবনে খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাকে একটি অফিসরুম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে এখনো বসার মতো ব্যবস্থা করা হয়নি। এ ছাড়া পুরাতন ভবনে তাঁর কোনো অফিস নেই। ফলে খাদ্যগুদামের ওসি–এলএসডির অফিসটিই দুজনে ব্যবহার করেন।’
জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে আজ সন্ধ্যায় তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মঙ্গলবার থেকে ক্লাস শুরু হবে ইনশা আল্লাহ। এ জন্য তিনি মঙ্গলবারের আগে শিক্ষার্থীদের হলসহ যাঁর যাঁর আবাসনে এসে অবস্থান নেওয়ার আহবান জানান।
৪ মিনিট আগেবাড়ির মালিক শহিদ মিয়া বলেন, ‘আমি বিদেশে থেকে সারা জীবন কষ্ট করে এই ভবন তৈরি করেছি। এটাই আমার শেষ সম্বল। কোনো ধরনের নির্মাণ ত্রুটি ছিল না ভবন নির্মাণে। এখন আমি কী করব, বুঝতে পারছি না।’
৭ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুর মডার্ন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে টনসিল অপারেশনে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কম
১১ মিনিট আগেবরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সভায় দাওয়াত না পাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার দুপুরে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে