Ajker Patrika

সাত কন্যা গল্প কুঠিরে হাজারো দর্শনার্থীর ভিড়

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
সাত কন্যা গল্প কুঠিরে হাজারো দর্শনার্থীর ভিড়

গফরগাঁওয়ে ঈদের দিন থেকে হাজারো দর্শনার্থী ভিড় করছেন দত্তেরবাজার ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার সাত কন্যা গল্প কুঠিরে। নব নির্মিত এই বিনোদন কেন্দ্র দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে আসছেন ভ্রমণপিপাসুরা। 

কুঠিরের উদ্যোক্তা নিগুয়ারী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য চার ভাই মিলে তাঁদের সাত কন্যার নামে এই বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলেন। নাগরিক জীবনের ব্যস্ততার মাঝে অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরিবিলি এক খণ্ড অবসর কাটাতে চায়। সেই ভাবনা থেকে এই সাত কন্যা গল্প কুঠির। 

এবারের ঈদুল ফিতরে জন সাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয় নব নির্মিত এই বিনোদন কেন্দ্র। সাতটি কুঠিরই সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানোর ফাঁকে ক্লান্তিতে বিশ্রামের জন্য কংক্রিটের ছাতা ও বেঞ্চ রয়েছে। খাবার মেন্যুতে রয়েছে ফাস্ট ফুড, দেশি ও চায়নিজ। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ হবে ভরা বর্ষায় থই থই পানির মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা এই সাত কন্যা কুঠিরের অবকাশ কেন্দ্রগুলো। 

নতুন বাজার এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী আব্দুল হাই রতন বলেন, ঈদের দিন থেকে প্রতিদিনই শত শত মানুষ ঘুরতে আসছে। উপজেলা সদর থেকে দূরে হলেও যাতায়াত সুবিধা ও মনোরম পরিবেশের কারণে দর্শনার্থীরা আকর্ষিত হচ্ছে। 

পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর এলাকা থেকে ঘুরতে আসা সদরুল আমিন ও ফারহানা দম্পতি বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিলাম। দমবন্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে ঈদের ছুটিতে আনন্দ করতে এখানে বেড়াতে আসা।’ 

ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন গফরগাঁওয়ের দত্তেরবাজার ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার সাত কন্যা গল্প কুঠিরে।বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসা পৌর এলাকার মিতুল জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাত কন্যা গল্প কুঠিরের কথা জানতে পেরে তাঁরা সাত বন্ধু এখানে ঘুরতে আসেন। তবে খাবারের দাম আর পর্যাপ্ত বাথরুম না থাকার বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। 

সাত কন্যা গল্প কুঠিরের উদ্যোক্তা লুৎফুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ভাইদের সাত মেয়ের নামে এই বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছি। এখনো অনেক কিছু অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। আগামী দিনে শিশুদের মজার রাইডসহ, পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য ইঞ্জিনচালিত নৌকা, প্যাডেল বোট, সাম্পান ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হবে।’ 

দত্তেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রোকসানা বেগম বলেন, ‘আমার এলাকায় এই বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ, সেই সঙ্গে মানুষ যাতে নিরাপদে আনন্দ ভ্রমণ করতে পারে এ বিষয়ে আমাদের সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’ 

পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকসহ পুলিশের একটি টিম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এখানে গড়ে ওঠা সাত কন্যা গল্প কুঠিরে ভ্রমণ পিপাসুরা নিরাপদে যেন ঘুরে বেড়াতে পারেন সে জন্য পুলিশ নিরাপত্তাসহ সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবিদুর রহমান বলেন, ‘প্রকৃতির সান্নিধ্যে গড়ে ওঠা নতুন এই বিনোদন কেন্দ্র ভ্রমণ প্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ করবে। আশা করছি আগামী দিনে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এই সাত কন্যা গল্প কুঠির।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত