পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
‘আমি ভারতীয়। আমার বাবা, দাদাজি ভারতীয়। দুই বড় ভাই—তাঁরাও ভারতীয়। সেখানে আমার পরিবার, জমি-জায়গা, বসতবাড়ি সবই আছে। আমার চারটা বাচ্চা পোলাপান আছে। আমি তাদের কাছে যেতে চাই।’ ভারতে ফেরার আকুতি জানিয়ে এসব কথা বলেন রহম আলী (৪৫)।
গতকাল বুধবার (২৫ জুন) রাত ১১টায় লালমনিরহাটের পাটগ্রামের রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে রহম আলীর সঙ্গে কথা হয়। রহম আলীর দাবি, ভারতের আসাম রাজ্যের নগাঁও জেলার জুরিয়া থানার বাসিন্দা তিনি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এক মাস আগে তাঁকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।
এ সময় আজকের পত্রিকাকে রহম আলী বলেন, ‘পুলিশ আমারে ঘর থেকে তুলে এনে বিএসএফের কাছে দিয়েছে। আমি এ দেশের (বাংলাদেশের) লোক না। আমি দেশে ফিরে যেতে চাই। আমি এখানে থাকতে চাই না। বহু কষ্টে ঘুরতেছি। থাকতে পাই না, খেতে পাই না। কোন দিকে যাব বলতে পারি না। জায়গার নামও চিনি না। দেশবাসী, আপনারা আমাকে হেল্প করেন। যাতে আমি আসামে আমার ঘরে যেতে পারি। বাচ্চা পোলাপানের সঙ্গে থাকতে পারি। বাড়িতে আমার জন্ম সার্টিফিকেট, আধার কার্ড, জমির কাগজ আছে। সব থাকা সত্ত্বেও আমাকে ঘর থেকে উঠিয়ে এনে বিএসএফ ক্যাম্পে রেখে কোন এলাকা দিয়ে ঢুকায়ে দিয়েছে জানি না। আমি খুব বিপদে আছি। আমি এখানকার স্টেশনে স্টেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমারে দেশে পাঠান। আমি বাচ্চা পোলাপানদের কাছে যেতে চাই। আমারে খালি শরীরে ঠেলে দিয়ে আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে।’
পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মের নিকটবর্তী চা-দোকানদার রমজান আলী বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরে এই লোকটাকে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অসহায়ভাবে পড়ে থাকতে দেখছি। শুনেছি উনার বাড়ি ভারতে আর তিনি ভারতের নাগরিক। খেয়ে না খেয়ে বসে থাকেন, কান্না করেন। বিভিন্নজনের মুখের দিকে তাকান। খুবই খারাপ লাগে। বাড়ি আর বাচ্চাদের কাছে যেতে চেয়ে সব সময় কান্না করেন।’
আজ বৃহস্পতিবার পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার নুর আলম বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আজ ১১টার পর থেকে কোথায় যেন গেছেন, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
ভারতীয় নাগরিক থাকার ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস বলেন, ‘এ ব্যাপারে জেনেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘শুনেছি। এ ব্যাপারে বিজিবি ব্যবস্থা নেবে।’ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫১ ব্যাটালিয়নের পাটগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আলমগীর কবির বলেন, ‘ভারতীয় নাগরিক রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থাকার বিষয়টি জানি না। এ ব্যাপারে কেউ আমাদেরকে কিছু জানায়নি।’
‘আমি ভারতীয়। আমার বাবা, দাদাজি ভারতীয়। দুই বড় ভাই—তাঁরাও ভারতীয়। সেখানে আমার পরিবার, জমি-জায়গা, বসতবাড়ি সবই আছে। আমার চারটা বাচ্চা পোলাপান আছে। আমি তাদের কাছে যেতে চাই।’ ভারতে ফেরার আকুতি জানিয়ে এসব কথা বলেন রহম আলী (৪৫)।
গতকাল বুধবার (২৫ জুন) রাত ১১টায় লালমনিরহাটের পাটগ্রামের রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে রহম আলীর সঙ্গে কথা হয়। রহম আলীর দাবি, ভারতের আসাম রাজ্যের নগাঁও জেলার জুরিয়া থানার বাসিন্দা তিনি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এক মাস আগে তাঁকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।
এ সময় আজকের পত্রিকাকে রহম আলী বলেন, ‘পুলিশ আমারে ঘর থেকে তুলে এনে বিএসএফের কাছে দিয়েছে। আমি এ দেশের (বাংলাদেশের) লোক না। আমি দেশে ফিরে যেতে চাই। আমি এখানে থাকতে চাই না। বহু কষ্টে ঘুরতেছি। থাকতে পাই না, খেতে পাই না। কোন দিকে যাব বলতে পারি না। জায়গার নামও চিনি না। দেশবাসী, আপনারা আমাকে হেল্প করেন। যাতে আমি আসামে আমার ঘরে যেতে পারি। বাচ্চা পোলাপানের সঙ্গে থাকতে পারি। বাড়িতে আমার জন্ম সার্টিফিকেট, আধার কার্ড, জমির কাগজ আছে। সব থাকা সত্ত্বেও আমাকে ঘর থেকে উঠিয়ে এনে বিএসএফ ক্যাম্পে রেখে কোন এলাকা দিয়ে ঢুকায়ে দিয়েছে জানি না। আমি খুব বিপদে আছি। আমি এখানকার স্টেশনে স্টেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমারে দেশে পাঠান। আমি বাচ্চা পোলাপানদের কাছে যেতে চাই। আমারে খালি শরীরে ঠেলে দিয়ে আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে।’
পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন প্ল্যাটফর্মের নিকটবর্তী চা-দোকানদার রমজান আলী বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরে এই লোকটাকে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অসহায়ভাবে পড়ে থাকতে দেখছি। শুনেছি উনার বাড়ি ভারতে আর তিনি ভারতের নাগরিক। খেয়ে না খেয়ে বসে থাকেন, কান্না করেন। বিভিন্নজনের মুখের দিকে তাকান। খুবই খারাপ লাগে। বাড়ি আর বাচ্চাদের কাছে যেতে চেয়ে সব সময় কান্না করেন।’
আজ বৃহস্পতিবার পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার নুর আলম বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আজ ১১টার পর থেকে কোথায় যেন গেছেন, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
ভারতীয় নাগরিক থাকার ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস বলেন, ‘এ ব্যাপারে জেনেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘শুনেছি। এ ব্যাপারে বিজিবি ব্যবস্থা নেবে।’ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫১ ব্যাটালিয়নের পাটগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আলমগীর কবির বলেন, ‘ভারতীয় নাগরিক রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থাকার বিষয়টি জানি না। এ ব্যাপারে কেউ আমাদেরকে কিছু জানায়নি।’
ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে বাবরা রেলগেটে অজ্ঞাতনামা (৬০) এক নারী ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে তিনি কাটা পড়েন। চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে তাঁর শরীর দুই খণ্ড হয়ে যায়।
১৩ মিনিট আগেগেটের সামনে ভিড় করছেন কার্গো ভিলেজের কর্মচারীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরো আমদানি কার্গো ভিলেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
৩৩ মিনিট আগেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ভোররাতে পরিবারের লোকজন বাইরে বের হয়ে মুসার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। নিহত ব্যক্তির বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
৩৬ মিনিট আগেফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাচ্চু মোল্লার মার্কেটে এই আগুন লাগে। এতে মুদি, কাপড়, ওষুধ, জুতা, বীজসহ কমপক্ষে ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে