Ajker Patrika

শাহজালালের কার্গো ভিলেজে এখনো ধোঁয়া উড়ছে

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৫০
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে এখনো বের হচ্ছে কালো ধোঁয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে এখনো বের হচ্ছে কালো ধোঁয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে গতকাল শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আজ রোববার সকালে এই দৃশ্য দেখা যায়।

গেটের সামনে ভিড় করছেন কার্গো ভিলেজের কর্মচারীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরো আমদানি কার্গো ভিলেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আমদানি কার্গো ভিলেজের গেট দিয়ে ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনাস্থলে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুন পুরো নিভে গেছে। আমাদের শুধু র‍্যাম্পিং ডাউনের (অগ্নিনির্বাপণ তৎপরতা গুটিয়ে আনা) কাজ চলছে।’

আবদুর রহমান আরও বলেন, কার্গো ভিলেজে কোথাও কোনোভাবে আগুন ধরতে পারে এমন কিছু আছে কি না, সে জন্য ভেতরে সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে আগুন লাগে। আগুনে কার্গো ভিলেজের আমদানি কমপ্লেক্সের পুরোটা পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় বেলা সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের সব উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকে। যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। রাত সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে এখনো বের হচ্ছে কালো ধোঁয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে এখনো বের হচ্ছে কালো ধোঁয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ২২ জন। ক্ষয়ক্ষতির বিষয় এখনো নিরূপণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আমদানিকারকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। বিমানবন্দরের ভেতরে নজিরবিহীন এই অগ্নিকাণ্ডকে অনেকে রহস্যজনক বলছেন। অনেকে বলছেন, বিমানবন্দরে সার্বক্ষণিক ফায়ার ইউনিট থাকার পরও আগুন এভাবে ছড়িয়ে পড়ায় প্রশ্ন উঠেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সাত সদস্যের ও কাস্টমস পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত