Ajker Patrika

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: গাজীপুরে দৌড়ঝাঁপ সম্ভাব্য প্রার্থীদের

মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, গাজীপুর
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ০৭
সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, শাহ আলম বকশি, মুহাম্মদ হোসেন আলী, শাহ রিয়াজুল হান্নান, আলী নাছের খান, ফজলুল হক মিলন, সালাহউদ্দিন আইউবী, হাসান উদ্দিন সরকার ও নাবীল ইউসুফ। ছবি: সংগৃহীত
সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, শাহ আলম বকশি, মুহাম্মদ হোসেন আলী, শাহ রিয়াজুল হান্নান, আলী নাছের খান, ফজলুল হক মিলন, সালাহউদ্দিন আইউবী, হাসান উদ্দিন সরকার ও নাবীল ইউসুফ। ছবি: সংগৃহীত

দেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।

শহর থেকে গ্রাম—সবখানে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার আর মিছিলের প্রতিযোগিতা। চলছে প্রচারপত্র বিতরণ, উঠান বৈঠক, সমাবেশ-পথসভা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক প্রচারও জমজমাট।

সীমানা পুর্নির্ধারণের পর জেলায় সংসদীয় আসন বেড়ে হয়েছে ছয়টি। আসন বাড়ানোয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটারদেরও আগ্রহ বেড়েছে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপি চারটি আসনে প্রার্থী ঠিক করেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ছয়টি আসনেই একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেসব সম্ভাব্য প্রার্থী দাঁড়িপাল্লা নিয়ে এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাঁচটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে হাতপাখা প্রতীকে প্রচার শুরু করেছে। আর পাঁচ আসনে এনসিপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাঠে রয়েছেন গণঅধিকারের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও।

গাজীপুর-১ আসন

কালিয়াকৈর উপজেলা এবং মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড (কোনাবাড়ী থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি শ্রীপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমবার এটিকে শ্রীপুর থেকে আলাদা করে মহানগরীর কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর থানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এবার এখান থেকে কোনাবাড়ী থানা কেটে নিয়ে গাজীপুর-২-এ যুক্ত করা হয়েছে।

এই আসনে বিএনপি থেকে চারজন নতুন মুখ মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁদের কেউই আগে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ব্যারিস্টার ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী।

এখানে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী মানারাত ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সচিব মু. শাহ আলম বকশী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জি এম রুহুল আমিন নিজ প্রতীক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন।

সাইয়্যেদুল আলম বাবুল বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে সংগঠন ধরে রেখেছি। এবার মনোনয়ন পেলে কালিয়াকৈরের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করব।’

শাহ আলম বকশী বলেন, ‘আমি এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ, চাঁদাবাজি বন্ধ করব এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করব।’

গাজীপুর-২ আসন

এই আসনটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি বর্তমানে মহানগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬ নম্বর এবং ১৩ নম্বর থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড (মহানগরীর সদর মেট্রো থানা, বাসন, গাছা ও কাশিমপুর থানা) ও গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

এই আসন শ্রমিক-অধ্যুষিত ও সবচেয়ে আলোচিত। এখানে বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সবাই জাতীয় নির্বাচনে নতুন মুখ। তবে ভোটারদের কাছে সুপরিচিত। তাঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. শওকত হোসেন সরকার, এই আসনের সাবেক এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের সন্তান ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি।

এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মুহাম্মদ হোসেন আলী। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা এম এ হানিফ সরকার। এখানে গণঅধিকার পরিষদ থেকে লড়বেন দলের জেলা আহ্বায়ক পাঠান আজহার।

এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, ‘আমি পাড়ায় পাড়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। দলের ৩১ দফার প্রচার, সভা-সমাবেশ করছি। বিএনপি ও আমার বাবার ভালোবাসায় মানুষ উজ্জীবিত। আশা করি, সবাই আমার পাশে থাকবেন।’

ডা. মাজহারুল বলেন, ‘চাঁদাবাজি-দখলবাজিমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নেমেছি।’

গাজীপুর-৩ আসন

আসনটি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা, গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাওয়াল গড় ও পিরুজালী ইউনিয়ন এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি কালিয়াকৈর থেকে আলাদা হওয়ার পর শ্রীপুর থেকে জাতীয় নির্বাচনে কেউ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।

এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সবুজ।

এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন জেলা আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন। এনসিপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুন।

ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। দল মনোনয়ন দিলে এবং নির্বাচিত হলে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত এলাকা গড়বেন।

গাজীপুর-৪ আসন

আসনটি কাপাসিয়া উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত। এই আসন এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত। কারণ এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাপাসিয়ায় এক স্মরণসভায় রিয়াজুল হান্নানকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।

এখানে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন মাওলানা কাজীম উদ্দীন এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান।

রিয়াজুল হান্নান বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অনেকবার মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, গ্রেপ্তার হয়েছি। আমি বাবার আদর্শ নিয়ে কাজ করছি।’

সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, ‘মানুষ আর দুঃশাসন-অনিয়ম দেখতে চায় না। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি। কাপাসিয়ার মানুষ জামায়াতকেই বেছে নেবে বলে আশা করছি।’

গাজীপুর-৫ আসন

আসনটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪০, ৪১ এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা নিয়ে গঠিত। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন। তিনি এর আগেও এখান থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এই আসনে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর শাখার নায়েবে আমির ও কালীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি খায়রুল হাসান। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরার সদস্য। তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। এ ছাড়া এনসিপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এম এম শোয়াইব।

ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কালীগঞ্জবাসী আমাকে আগেও যেভাবে ভালোবেসেছেন, এবারও তেমন সাড়া দিচ্ছেন।’

গাজীপুর-৬ আসন

আসনটি নতুন। জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় সম্প্রতি এটি বাড়ানো হয়েছে। আসনটি গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৯ নম্বর এবং ৪৩ নম্বর থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানা এবং পুবাইল থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত।

এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, শ্রমিকনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং টঙ্গী পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এখানে বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জাতীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহাম্মেদ সুমন ও সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন।

জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী দলের তুরস্ক শাখার সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান। এখানে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হতে পারেন আব্দুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী এম এ হানিফ সরকার। এনসিপির একক প্রার্থী হতে পারেন নাবীল ইউসুফ।

হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘গাজীপুর-৬ বিএনপির দুর্গ হবে। ৩১ দফার বাস্তবায়ন ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষাই আমার লক্ষ্য।’

নাবীল ইউসুফ বলেন, ‘গাজীপুর-৬-কে আমি একটি মডেল আসন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই—যেখানে থাকবে আধুনিক অবকাঠামো, মাদকমুক্ত সমাজ ও নিরাপদ শহর।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: বোরকা পরে ঢুকে স্কুলড্রেসে বেরিয়ে যান একজন, গৃহকর্মী বলে সন্দেহ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

‘নারীশাসিত পুরুষ’: সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বল—আসিফকে ওমর সানীর চ্যালেঞ্জ

২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে জামায়াত: শফিকুর রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক, হাসপাতালে বক্তার মৃত্যু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
মাওলানা ফরিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
মাওলানা ফরিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম নামের এক বক্তা। জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রামে মাহফিল চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। উপস্থিত হাজারো মানুষের সামনে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করে স্টেজেই লুটিয়ে পড়েন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম (৩৫)। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তিনি মারা যান।

‎স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার চরবালুয়া গ্রামের একটি জামে মসজিদের উদ্যোগে আয়োজিত তাফসির মাহফিলের তৃতীয় বক্তা হিসেবে বয়ান শুরু করেন মাওলানা ফরিদুল ইসলাম। বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি স্টেজে ঢলে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাঁকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

‎মাওলানা ফরিদুল ইসলাম গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খামার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মহিমাগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমিক স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক এবং স্থানীয় ঘোষপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি আড়াই বছর বয়সী এক সন্তানের জনক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: বোরকা পরে ঢুকে স্কুলড্রেসে বেরিয়ে যান একজন, গৃহকর্মী বলে সন্দেহ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

‘নারীশাসিত পুরুষ’: সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বল—আসিফকে ওমর সানীর চ্যালেঞ্জ

২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে জামায়াত: শফিকুর রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাজাহানপুরে পিস্তলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা আটক

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি  
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৮
: উদ্ধারকৃত পিস্তল। ছবি: আজকের পত্রিকা
: উদ্ধারকৃত পিস্তল। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া এলাকায় পিস্তলসহ স্থানীয় জনগণের হাতে আটক হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা ফেরদৌস করিম সনি। একটি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দাওয়াত না পাওয়ার জেরে তিনি গুলি করার চেষ্টা করলে জনতা তাঁকে আটক করে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার বেজোড়া দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ‘বেজোড়া যুবসংঘ’ শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল।

আয়োজক কমিটির সদস্য রুবেল হোসেন বলেন, ‘দাওয়াত না পাওয়ায় রাত ১১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা সনি এসে মোটরসাইকেল আমাদের সাউন্ড বক্সের ওপরে তুলে দেন। তখন উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে সনি পাশেই নিজের বাড়িতে গিয়ে পিস্তল হাতে ফিরে এসে আমাকে গুলি করার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় শত শত জনতা সনিকে পিস্তলসহ আটক করে পিটুনি দেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার কৈগাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধে জড়িত।

ঘটনাস্থলে থাকা কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিস্তলসহ সনিকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। পিস্তলটি সম্ভবত আসল না। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: বোরকা পরে ঢুকে স্কুলড্রেসে বেরিয়ে যান একজন, গৃহকর্মী বলে সন্দেহ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

‘নারীশাসিত পুরুষ’: সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বল—আসিফকে ওমর সানীর চ্যালেঞ্জ

২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে জামায়াত: শফিকুর রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পৌরসভার বর্জ্যে নদী পরিণত হচ্ছে নর্দমায়

গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ৪৮
পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নাটোরের গুরুদাসপুরের নন্দকুঁজা নদীতে। সম্প্রতি তোলা ছবি। 	আজকের পত্রিকা
পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নাটোরের গুরুদাসপুরের নন্দকুঁজা নদীতে। সম্প্রতি তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা

নদী যেন দিন দিন মরে যাচ্ছে পৌরসভার ফেলে যাওয়া ময়লা-আবর্জনায়। যে নদীর পানিতে একসময় শিশুদের হাসি ও খেলাধুলার শব্দ ভেসে উঠত, সেই নদী আজ দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসা এক বিষাক্ত নর্দমায় পরিণত হচ্ছে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবহেলায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা চাঁচকৈড় রসুনহাট, গরুর হাট ও গুরুদাসপুর বাজারঘাট এলাকার আবর্জনা গাড়িতে তুলে এনে নদীর তীরে বা সরাসরি পানিতে ফেলে দিচ্ছে। শুধু ঘরবাড়ির বর্জ্য নয়, বিভিন্ন কারখানা ও ক্লিনিক থেকে আসা রাসায়নিক বর্জ্য এবং পয়োনিষ্কাশনের নালা-পাইপের বর্জ্যও নন্দকুঁজা নদীতে পড়ছে। এতে নদীর পানি যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। তবু পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।

রসুনহাটসংলগ্ন নদীপাড়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, শহরজুড়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের ফেলা নানান আবর্জনা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জমে থাকে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেসব বর্জ্য সংগ্রহ করে পৌরসভার গাড়িতে করে এনে নদীর ধারে ফেলে রাখেন। এতে এতটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন নদীপারের বাসিন্দা জানান, একসময় এই নদীতে দল বেঁধে গোসল করতেন তাঁরা, মাছ ধরতেন, শিশুদের খেলাধুলার জায়গা ছিল এটি। এখন নদীতে নামাই যায় না। দূষিত পানিতে শরীর চুলকায়, আগের মতো মাছও আর মেলে না। নদীর প্রতি মানুষের নির্ভরতা কমে যাচ্ছে, তারা চান, আগের সেই স্বাভাবিক নদী ফিরে আসুক।

জানতে চাইলে গুরুদাসপুর উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় বহুবার আন্দোলন করেছি, পৌর মেয়রকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম; তবু নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়নি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। এখন তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশ দেবেন, যেন নদীতে আর আবর্জনা ফেলা না হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: বোরকা পরে ঢুকে স্কুলড্রেসে বেরিয়ে যান একজন, গৃহকর্মী বলে সন্দেহ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

‘নারীশাসিত পুরুষ’: সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বল—আসিফকে ওমর সানীর চ্যালেঞ্জ

২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে জামায়াত: শফিকুর রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঠান্ডাজনিত রোগে সাত দিনে পাঁচ শিশুর মৃত্যু

মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সুবর্ণচর (নোয়াখালী) 
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ২৬
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায়ও ভর্তি রোগীর ভিড়। গতকাল তোলা ছবি। 	আজকের পত্রিকা
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায়ও ভর্তি রোগীর ভিড়। গতকাল তোলা ছবি। আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়েই রোদের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমার প্রকোপ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েক শ শিশু জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে উপজেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের প্রথম আট দিনে (১ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত) মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮৪ জনের মধ্যে শিশু ৬৭২ জন। এদের সবাই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই আট দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৬১৯টি শিশু। গতকাল সোমবার ভর্তি ছিল ৪৮ জন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝেতেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নার্সরা ব্যস্ত রোগীর চাপ সামলাতে। শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের সঙ্গে। চার দিন ধরে তাঁর সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে মুনতাহা জ্বরে আক্রান্ত। প্রথমে বাড়িতে রেখে পল্লিচিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা দিলেও জ্বর কমেনি। নিরুপায় হয়ে হাসপাতালে আসেন। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন।

আসমা বলেন, ‘বাচ্চাটা চার দিনের জ্বরে কাহিল হয়ে গেছে। ঘাড় তুলতে পারছে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঠান্ডাজনিত রোগ (নিউমোনিয়া) প্রতিদিন অনেক শিশু ভর্তি হচ্ছে। এখন ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। শয্যা পাচ্ছি না। বলতে পারছি না কবে সন্তানকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরতে পারব।’

চর আলাউদ্দিনের বাসিন্দা শেফালী আক্তারের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সৈকত ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে জোসনার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। তিনি জানান, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে, আগে বুঝতে পারেননি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সাধারণ জ্বর। কিন্তু হাসপাতালে দুই দফায় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. সোহেল সারওয়ার জানান, সুবর্ণচরের চরাঞ্চল থেকে শিশুরা বেশি আসছে। প্রতিবছরের মতো এ বছর তীব্র ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘যে শিশুগুলো মারা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নবজাতক ও পাঁচ বছরের মধ্যে। পল্লিচিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়, তখন হাসপাতালে আসেন এতে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। আমরা সাধ্য অনুযায়ী এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি।’

এদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামের কাছে তাপমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার কোনো রেকর্ড আমাদের কাছে নেই। আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) জানাতে পারব।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক শিশুকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় নিয়ে আসে। আমরা সেসব শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। অনেক রোগীর অভিভাবক আছেন, জেলা হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তখন সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে মারা যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: বোরকা পরে ঢুকে স্কুলড্রেসে বেরিয়ে যান একজন, গৃহকর্মী বলে সন্দেহ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

‘নারীশাসিত পুরুষ’: সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বল—আসিফকে ওমর সানীর চ্যালেঞ্জ

২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে জামায়াত: শফিকুর রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত