আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

‘এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না। বিয়া দিমু ক্যা? এই যে শ্রম দিতাছি কার জন্যে? ওদের জন্যেই তো (মেয়েদের জন্যে) শ্রম দিতাছি। পড়াশোনা শিখায় উপযুক্ত বয়সে বিয়া দিমু।’ একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে এমনভাবেই বলছিলেন গৃহবধূ জুঁই আক্তার।
অভাবের সংসারে দুই মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে সম্প্রতি তিনি হাতে তুলে নিয়েছেন তাঁতের কাজ। বাড়িতে নিজের কেনা তাঁত মেশিনে নিয়মিত শাড়ি বুনছেন। বিক্রি করে আয় করছেন—যা তাঁর মেয়েদের বাল্যবিয়ের ঝুঁকি কমাতে বড় ভূমিকা রাখছে।
জুঁই আক্তারের বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের চর শৌলমারী গ্রামে। দিনমজুর সিরাজুলের স্ত্রী তিনি। তাঁদের ঘরে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে এবং ছোটটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ সংসারের বাস্তবতায় দুই মেয়ে ছিল বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে। সে পরিস্থিতি কাটাতেই স্বামীর পাশাপাশি নিজেও রোজগার শুরু করেছেন জুঁই। এতে দুই কিশোরী বাল্যবিবাহ থেকে বাঁচার সুযোগ পেয়েছে।
চর শৌলমারী গ্রামের ডিগ্রি কলেজের ঠিক উত্তরে থাকেন আরেক গৃহবধূ চায়না বেগম। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা এই নারীর সম্বল পাঠখড়ির তৈরি একটি মাত্র ঘর। সেই ঘরেই তিন মেয়েকে নিয়ে বাস। স্বামী মোহাম্মদ আলী ভাটাশ্রমিক। সংসারের টানাপোড়েনে টিকে থাকতে বাড়ির আঙিনায় পেঁপেসহ বিভিন্ন সবজি এবং বস্তায় আদা চাষ করেন চায়না।
চায়নার ছোট মেয়ে কোলের শিশু। বড় মেয়ে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষে পড়ে, আর মেজো মেয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সংসারে এত অভাব-অনটন থাকলেও চায়না-মোহাম্মদ আলী দম্পতি মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেননি। বরং সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে লড়ছেন দরিদ্রতার বিরুদ্ধে। বাড়তি আয় করতে তিনি এখন তাঁতের শাড়ি বুনছেন। নিজের ঘরে জায়গা না হওয়ায় শাশুড়ির ঘরের এক কোণে তাঁত মেশিন বসিয়ে কাজ করেন।
চায়না বলেন, ‘স্বামীর রোজগারে সংসার আর মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মেটান যায় না। আরডিআরএস থেকে তাঁত চালানের প্রশিক্ষণ নিছি। তারা মেশিন কেনার টাকাও দিছে। পুরান মেশিন কিনছি। পাশের বাড়ি থেকে শাড়ির নকশা তোলা শিখছি। অহন বড় মেয়েরে নিয়ে প্রতি দুই দিনে একটা কইরা শাড়ি তৈরি করি। মহাজন সুতা দেয়, আমরা শাড়ি তৈরি করে দিই।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি শাড়ির জন্য ৬৫০ টাকা পাই। মাসে ১৮-২০টা শাড়ি বানাতে পারি। সংসারের কাজের সঙ্গে তাঁতের কাজ করে যে আয় হয়, তাতেই দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাইতে পারছি। ওরা যদ্দিন ইচ্ছা পড়বে, তারপর বিয়াশাদি।’
চর শৌলমারী গ্রামে তাঁতশিল্প এখন অনেক পরিবারের বাড়তি আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তা হচ্ছেন, আয় করছেন। চায়না ও জুঁই আক্তারের মতো ওই ইউনিয়নের আরও ৫০টি পরিবারের নারীরা আরডিআরএস বাংলাদেশের দেওয়া তাঁত প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। সংস্থার ‘চাইল্ড নট ব্রাইড (সিএনবি)’ প্রকল্পের আওতায় তাঁরা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পেয়েছেন তাঁত মেশিন কেনার আর্থিক অনুদান। সেই টাকায় শাড়ি তৈরি করে আয় করছেন। সেই আয়ে সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় বহন করতে পারছেন, ফলে কমছে বাল্যবিবাহের ঝুঁকি।
সিএনবি প্রকল্পের তথ্যমতে, গত এক বছরে চর শৌলমারী গ্রামে ৬০ শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। এদের সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এখনো অন্তত ১৮০টি পরিবার বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব পরিবারের মধ্যে থেকে ৫০ জন নারীকে তাঁত মেশিন কেনার জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। এতে পরিবারগুলো বাড়তি আয় করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
এ বিষয়ে সিএনবি প্রকল্পের কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী অলিক রাংসা বলেন, এনআরকে-টেলিনর্থ এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এই প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে। বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে থাকা মেয়েশিশুদের পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করা এই প্রকল্পের একটি অংশ। যাতে পরিবারগুলো মেয়েশিশুদের বোঝা মনে না করে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারে। এতে জেলায় বাল্যবিবাহের ও জোরপূর্বক বিয়ের হার আগের তুলনায় কমে আসছে।

‘এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না। বিয়া দিমু ক্যা? এই যে শ্রম দিতাছি কার জন্যে? ওদের জন্যেই তো (মেয়েদের জন্যে) শ্রম দিতাছি। পড়াশোনা শিখায় উপযুক্ত বয়সে বিয়া দিমু।’ একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে এমনভাবেই বলছিলেন গৃহবধূ জুঁই আক্তার।
অভাবের সংসারে দুই মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে সম্প্রতি তিনি হাতে তুলে নিয়েছেন তাঁতের কাজ। বাড়িতে নিজের কেনা তাঁত মেশিনে নিয়মিত শাড়ি বুনছেন। বিক্রি করে আয় করছেন—যা তাঁর মেয়েদের বাল্যবিয়ের ঝুঁকি কমাতে বড় ভূমিকা রাখছে।
জুঁই আক্তারের বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের চর শৌলমারী গ্রামে। দিনমজুর সিরাজুলের স্ত্রী তিনি। তাঁদের ঘরে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে এবং ছোটটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ সংসারের বাস্তবতায় দুই মেয়ে ছিল বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে। সে পরিস্থিতি কাটাতেই স্বামীর পাশাপাশি নিজেও রোজগার শুরু করেছেন জুঁই। এতে দুই কিশোরী বাল্যবিবাহ থেকে বাঁচার সুযোগ পেয়েছে।
চর শৌলমারী গ্রামের ডিগ্রি কলেজের ঠিক উত্তরে থাকেন আরেক গৃহবধূ চায়না বেগম। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা এই নারীর সম্বল পাঠখড়ির তৈরি একটি মাত্র ঘর। সেই ঘরেই তিন মেয়েকে নিয়ে বাস। স্বামী মোহাম্মদ আলী ভাটাশ্রমিক। সংসারের টানাপোড়েনে টিকে থাকতে বাড়ির আঙিনায় পেঁপেসহ বিভিন্ন সবজি এবং বস্তায় আদা চাষ করেন চায়না।
চায়নার ছোট মেয়ে কোলের শিশু। বড় মেয়ে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষে পড়ে, আর মেজো মেয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সংসারে এত অভাব-অনটন থাকলেও চায়না-মোহাম্মদ আলী দম্পতি মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেননি। বরং সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে লড়ছেন দরিদ্রতার বিরুদ্ধে। বাড়তি আয় করতে তিনি এখন তাঁতের শাড়ি বুনছেন। নিজের ঘরে জায়গা না হওয়ায় শাশুড়ির ঘরের এক কোণে তাঁত মেশিন বসিয়ে কাজ করেন।
চায়না বলেন, ‘স্বামীর রোজগারে সংসার আর মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মেটান যায় না। আরডিআরএস থেকে তাঁত চালানের প্রশিক্ষণ নিছি। তারা মেশিন কেনার টাকাও দিছে। পুরান মেশিন কিনছি। পাশের বাড়ি থেকে শাড়ির নকশা তোলা শিখছি। অহন বড় মেয়েরে নিয়ে প্রতি দুই দিনে একটা কইরা শাড়ি তৈরি করি। মহাজন সুতা দেয়, আমরা শাড়ি তৈরি করে দিই।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি শাড়ির জন্য ৬৫০ টাকা পাই। মাসে ১৮-২০টা শাড়ি বানাতে পারি। সংসারের কাজের সঙ্গে তাঁতের কাজ করে যে আয় হয়, তাতেই দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাইতে পারছি। ওরা যদ্দিন ইচ্ছা পড়বে, তারপর বিয়াশাদি।’
চর শৌলমারী গ্রামে তাঁতশিল্প এখন অনেক পরিবারের বাড়তি আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তা হচ্ছেন, আয় করছেন। চায়না ও জুঁই আক্তারের মতো ওই ইউনিয়নের আরও ৫০টি পরিবারের নারীরা আরডিআরএস বাংলাদেশের দেওয়া তাঁত প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। সংস্থার ‘চাইল্ড নট ব্রাইড (সিএনবি)’ প্রকল্পের আওতায় তাঁরা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পেয়েছেন তাঁত মেশিন কেনার আর্থিক অনুদান। সেই টাকায় শাড়ি তৈরি করে আয় করছেন। সেই আয়ে সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় বহন করতে পারছেন, ফলে কমছে বাল্যবিবাহের ঝুঁকি।
সিএনবি প্রকল্পের তথ্যমতে, গত এক বছরে চর শৌলমারী গ্রামে ৬০ শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। এদের সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এখনো অন্তত ১৮০টি পরিবার বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব পরিবারের মধ্যে থেকে ৫০ জন নারীকে তাঁত মেশিন কেনার জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। এতে পরিবারগুলো বাড়তি আয় করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
এ বিষয়ে সিএনবি প্রকল্পের কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী অলিক রাংসা বলেন, এনআরকে-টেলিনর্থ এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এই প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে। বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে থাকা মেয়েশিশুদের পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করা এই প্রকল্পের একটি অংশ। যাতে পরিবারগুলো মেয়েশিশুদের বোঝা মনে না করে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারে। এতে জেলায় বাল্যবিবাহের ও জোরপূর্বক বিয়ের হার আগের তুলনায় কমে আসছে।
আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

‘এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না। বিয়া দিমু ক্যা? এই যে শ্রম দিতাছি কার জন্যে? ওদের জন্যেই তো (মেয়েদের জন্যে) শ্রম দিতাছি। পড়াশোনা শিখায় উপযুক্ত বয়সে বিয়া দিমু।’ একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে এমনভাবেই বলছিলেন গৃহবধূ জুঁই আক্তার।
অভাবের সংসারে দুই মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে সম্প্রতি তিনি হাতে তুলে নিয়েছেন তাঁতের কাজ। বাড়িতে নিজের কেনা তাঁত মেশিনে নিয়মিত শাড়ি বুনছেন। বিক্রি করে আয় করছেন—যা তাঁর মেয়েদের বাল্যবিয়ের ঝুঁকি কমাতে বড় ভূমিকা রাখছে।
জুঁই আক্তারের বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের চর শৌলমারী গ্রামে। দিনমজুর সিরাজুলের স্ত্রী তিনি। তাঁদের ঘরে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে এবং ছোটটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ সংসারের বাস্তবতায় দুই মেয়ে ছিল বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে। সে পরিস্থিতি কাটাতেই স্বামীর পাশাপাশি নিজেও রোজগার শুরু করেছেন জুঁই। এতে দুই কিশোরী বাল্যবিবাহ থেকে বাঁচার সুযোগ পেয়েছে।
চর শৌলমারী গ্রামের ডিগ্রি কলেজের ঠিক উত্তরে থাকেন আরেক গৃহবধূ চায়না বেগম। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা এই নারীর সম্বল পাঠখড়ির তৈরি একটি মাত্র ঘর। সেই ঘরেই তিন মেয়েকে নিয়ে বাস। স্বামী মোহাম্মদ আলী ভাটাশ্রমিক। সংসারের টানাপোড়েনে টিকে থাকতে বাড়ির আঙিনায় পেঁপেসহ বিভিন্ন সবজি এবং বস্তায় আদা চাষ করেন চায়না।
চায়নার ছোট মেয়ে কোলের শিশু। বড় মেয়ে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষে পড়ে, আর মেজো মেয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সংসারে এত অভাব-অনটন থাকলেও চায়না-মোহাম্মদ আলী দম্পতি মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেননি। বরং সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে লড়ছেন দরিদ্রতার বিরুদ্ধে। বাড়তি আয় করতে তিনি এখন তাঁতের শাড়ি বুনছেন। নিজের ঘরে জায়গা না হওয়ায় শাশুড়ির ঘরের এক কোণে তাঁত মেশিন বসিয়ে কাজ করেন।
চায়না বলেন, ‘স্বামীর রোজগারে সংসার আর মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মেটান যায় না। আরডিআরএস থেকে তাঁত চালানের প্রশিক্ষণ নিছি। তারা মেশিন কেনার টাকাও দিছে। পুরান মেশিন কিনছি। পাশের বাড়ি থেকে শাড়ির নকশা তোলা শিখছি। অহন বড় মেয়েরে নিয়ে প্রতি দুই দিনে একটা কইরা শাড়ি তৈরি করি। মহাজন সুতা দেয়, আমরা শাড়ি তৈরি করে দিই।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি শাড়ির জন্য ৬৫০ টাকা পাই। মাসে ১৮-২০টা শাড়ি বানাতে পারি। সংসারের কাজের সঙ্গে তাঁতের কাজ করে যে আয় হয়, তাতেই দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাইতে পারছি। ওরা যদ্দিন ইচ্ছা পড়বে, তারপর বিয়াশাদি।’
চর শৌলমারী গ্রামে তাঁতশিল্প এখন অনেক পরিবারের বাড়তি আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তা হচ্ছেন, আয় করছেন। চায়না ও জুঁই আক্তারের মতো ওই ইউনিয়নের আরও ৫০টি পরিবারের নারীরা আরডিআরএস বাংলাদেশের দেওয়া তাঁত প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। সংস্থার ‘চাইল্ড নট ব্রাইড (সিএনবি)’ প্রকল্পের আওতায় তাঁরা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পেয়েছেন তাঁত মেশিন কেনার আর্থিক অনুদান। সেই টাকায় শাড়ি তৈরি করে আয় করছেন। সেই আয়ে সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় বহন করতে পারছেন, ফলে কমছে বাল্যবিবাহের ঝুঁকি।
সিএনবি প্রকল্পের তথ্যমতে, গত এক বছরে চর শৌলমারী গ্রামে ৬০ শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। এদের সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এখনো অন্তত ১৮০টি পরিবার বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব পরিবারের মধ্যে থেকে ৫০ জন নারীকে তাঁত মেশিন কেনার জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। এতে পরিবারগুলো বাড়তি আয় করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
এ বিষয়ে সিএনবি প্রকল্পের কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী অলিক রাংসা বলেন, এনআরকে-টেলিনর্থ এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এই প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে। বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে থাকা মেয়েশিশুদের পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করা এই প্রকল্পের একটি অংশ। যাতে পরিবারগুলো মেয়েশিশুদের বোঝা মনে না করে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারে। এতে জেলায় বাল্যবিবাহের ও জোরপূর্বক বিয়ের হার আগের তুলনায় কমে আসছে।

‘এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না। বিয়া দিমু ক্যা? এই যে শ্রম দিতাছি কার জন্যে? ওদের জন্যেই তো (মেয়েদের জন্যে) শ্রম দিতাছি। পড়াশোনা শিখায় উপযুক্ত বয়সে বিয়া দিমু।’ একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে এমনভাবেই বলছিলেন গৃহবধূ জুঁই আক্তার।
অভাবের সংসারে দুই মেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে সম্প্রতি তিনি হাতে তুলে নিয়েছেন তাঁতের কাজ। বাড়িতে নিজের কেনা তাঁত মেশিনে নিয়মিত শাড়ি বুনছেন। বিক্রি করে আয় করছেন—যা তাঁর মেয়েদের বাল্যবিয়ের ঝুঁকি কমাতে বড় ভূমিকা রাখছে।
জুঁই আক্তারের বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের চর শৌলমারী গ্রামে। দিনমজুর সিরাজুলের স্ত্রী তিনি। তাঁদের ঘরে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে এবং ছোটটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ সংসারের বাস্তবতায় দুই মেয়ে ছিল বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে। সে পরিস্থিতি কাটাতেই স্বামীর পাশাপাশি নিজেও রোজগার শুরু করেছেন জুঁই। এতে দুই কিশোরী বাল্যবিবাহ থেকে বাঁচার সুযোগ পেয়েছে।
চর শৌলমারী গ্রামের ডিগ্রি কলেজের ঠিক উত্তরে থাকেন আরেক গৃহবধূ চায়না বেগম। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা এই নারীর সম্বল পাঠখড়ির তৈরি একটি মাত্র ঘর। সেই ঘরেই তিন মেয়েকে নিয়ে বাস। স্বামী মোহাম্মদ আলী ভাটাশ্রমিক। সংসারের টানাপোড়েনে টিকে থাকতে বাড়ির আঙিনায় পেঁপেসহ বিভিন্ন সবজি এবং বস্তায় আদা চাষ করেন চায়না।
চায়নার ছোট মেয়ে কোলের শিশু। বড় মেয়ে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষে পড়ে, আর মেজো মেয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সংসারে এত অভাব-অনটন থাকলেও চায়না-মোহাম্মদ আলী দম্পতি মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেননি। বরং সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে লড়ছেন দরিদ্রতার বিরুদ্ধে। বাড়তি আয় করতে তিনি এখন তাঁতের শাড়ি বুনছেন। নিজের ঘরে জায়গা না হওয়ায় শাশুড়ির ঘরের এক কোণে তাঁত মেশিন বসিয়ে কাজ করেন।
চায়না বলেন, ‘স্বামীর রোজগারে সংসার আর মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মেটান যায় না। আরডিআরএস থেকে তাঁত চালানের প্রশিক্ষণ নিছি। তারা মেশিন কেনার টাকাও দিছে। পুরান মেশিন কিনছি। পাশের বাড়ি থেকে শাড়ির নকশা তোলা শিখছি। অহন বড় মেয়েরে নিয়ে প্রতি দুই দিনে একটা কইরা শাড়ি তৈরি করি। মহাজন সুতা দেয়, আমরা শাড়ি তৈরি করে দিই।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি শাড়ির জন্য ৬৫০ টাকা পাই। মাসে ১৮-২০টা শাড়ি বানাতে পারি। সংসারের কাজের সঙ্গে তাঁতের কাজ করে যে আয় হয়, তাতেই দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাইতে পারছি। ওরা যদ্দিন ইচ্ছা পড়বে, তারপর বিয়াশাদি।’
চর শৌলমারী গ্রামে তাঁতশিল্প এখন অনেক পরিবারের বাড়তি আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তা হচ্ছেন, আয় করছেন। চায়না ও জুঁই আক্তারের মতো ওই ইউনিয়নের আরও ৫০টি পরিবারের নারীরা আরডিআরএস বাংলাদেশের দেওয়া তাঁত প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। সংস্থার ‘চাইল্ড নট ব্রাইড (সিএনবি)’ প্রকল্পের আওতায় তাঁরা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পেয়েছেন তাঁত মেশিন কেনার আর্থিক অনুদান। সেই টাকায় শাড়ি তৈরি করে আয় করছেন। সেই আয়ে সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় বহন করতে পারছেন, ফলে কমছে বাল্যবিবাহের ঝুঁকি।
সিএনবি প্রকল্পের তথ্যমতে, গত এক বছরে চর শৌলমারী গ্রামে ৬০ শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। এদের সবাই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এখনো অন্তত ১৮০টি পরিবার বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব পরিবারের মধ্যে থেকে ৫০ জন নারীকে তাঁত মেশিন কেনার জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। এতে পরিবারগুলো বাড়তি আয় করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
এ বিষয়ে সিএনবি প্রকল্পের কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী অলিক রাংসা বলেন, এনআরকে-টেলিনর্থ এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এই প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে। বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে থাকা মেয়েশিশুদের পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করা এই প্রকল্পের একটি অংশ। যাতে পরিবারগুলো মেয়েশিশুদের বোঝা মনে না করে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারে। এতে জেলায় বাল্যবিবাহের ও জোরপূর্বক বিয়ের হার আগের তুলনায় কমে আসছে।

সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
১৮ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহিউদ্দিনের টিনশেড কলোনির শাহনাজ বেগমের কক্ষে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পাশের বায়োজিদ মাস্টারের মালিকানাধীন আরও দুটি কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
২৯ মিনিট আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্পিডবোটটিতে নারী, পুরুষ, শিশুসহ মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। সাগরের ঢেউয়ের কারণে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পরে পাশের অন্য একটি স্পিডবোট দ্রুত পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে।
স্পিডবোটের চালক মো. আরিফ জানান, সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিফ আলভী জানান, দুজনকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে।

সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্পিডবোটটিতে নারী, পুরুষ, শিশুসহ মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। সাগরের ঢেউয়ের কারণে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পরে পাশের অন্য একটি স্পিডবোট দ্রুত পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে।
স্পিডবোটের চালক মো. আরিফ জানান, সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিফ আলভী জানান, দুজনকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে।

এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না। বিয়া দিমু ক্যা? এই যে শ্রম দিতাছি কার জন্যে? ওদের জন্যেই তো (মেয়েদের জন্যে) শ্রম দিতাছি। পড়াশোনা শিখায় উপযুক্ত বয়সে বিয়া দিমু।’ একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে এমনভাবেই বলছিলেন গৃহবধূ জুঁই আক্তার।
৭ দিন আগে
বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
১৮ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহিউদ্দিনের টিনশেড কলোনির শাহনাজ বেগমের কক্ষে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পাশের বায়োজিদ মাস্টারের মালিকানাধীন আরও দুটি কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
২৯ মিনিট আগেফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় আজ বেলা ১১টা দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আফসার শেখ বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এসে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নোমান রাসেল জানান, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।
কাটাখালী হাইওয়ে থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এ কে এম হাসনুজ্জামান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছে।

বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় আজ বেলা ১১টা দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আফসার শেখ বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এসে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নোমান রাসেল জানান, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।
কাটাখালী হাইওয়ে থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এ কে এম হাসনুজ্জামান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছে।

এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না। বিয়া দিমু ক্যা? এই যে শ্রম দিতাছি কার জন্যে? ওদের জন্যেই তো (মেয়েদের জন্যে) শ্রম দিতাছি। পড়াশোনা শিখায় উপযুক্ত বয়সে বিয়া দিমু।’ একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে এমনভাবেই বলছিলেন গৃহবধূ জুঁই আক্তার।
৭ দিন আগে
সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহিউদ্দিনের টিনশেড কলোনির শাহনাজ বেগমের কক্ষে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পাশের বায়োজিদ মাস্টারের মালিকানাধীন আরও দুটি কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
২৯ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সাল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়নের চর ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের মো. এসকেন্দারের ছেলে।
গোপীনাথপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম জানান, চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকার একটি তুলার মিলে ঝুট থেকে তুলা তৈরির কাজ করতেন ফয়সাল। সকালে তুলা তৈরি করার সময় গলায় থাকা গামছা মেশিনের হলারে পেঁচিয়ে গেলে গলায় ফাঁস লেগে মারাত্মক আহত হন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সাল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়নের চর ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের মো. এসকেন্দারের ছেলে।
গোপীনাথপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম জানান, চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকার একটি তুলার মিলে ঝুট থেকে তুলা তৈরির কাজ করতেন ফয়সাল। সকালে তুলা তৈরি করার সময় গলায় থাকা গামছা মেশিনের হলারে পেঁচিয়ে গেলে গলায় ফাঁস লেগে মারাত্মক আহত হন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না। বিয়া দিমু ক্যা? এই যে শ্রম দিতাছি কার জন্যে? ওদের জন্যেই তো (মেয়েদের জন্যে) শ্রম দিতাছি। পড়াশোনা শিখায় উপযুক্ত বয়সে বিয়া দিমু।’ একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে এমনভাবেই বলছিলেন গৃহবধূ জুঁই আক্তার।
৭ দিন আগে
সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
১৮ মিনিট আগে
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহিউদ্দিনের টিনশেড কলোনির শাহনাজ বেগমের কক্ষে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পাশের বায়োজিদ মাস্টারের মালিকানাধীন আরও দুটি কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
২৯ মিনিট আগেকালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি টিনশেড কলোনির প্রায় ৮০টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ দীঘিরপাড় এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা না গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দাবি করেছে, অর্ধকোটি টাকার বেশি মালামাল ও সম্পদ নষ্ট হয়েছে।
ভুক্তভোগী, স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহিউদ্দিনের টিনশেড কলোনির শাহনাজ বেগমের কক্ষে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পাশের বায়োজিদ মাস্টারের মালিকানাধীন আরও দুটি কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
সংবাদ পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, কলোনির বেশির ভাগ বাসিন্দাই বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন। সকালে কাজে বের হয়ে যাওয়ায় ঘরে কেউ ছিল না। ফলে কক্ষে থাকা আসবাব, পোশাক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ সব ধরনের মালামাল পুড়ে যায়।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী বলেন, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি টিনশেড কলোনির প্রায় ৮০টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ দীঘিরপাড় এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা না গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দাবি করেছে, অর্ধকোটি টাকার বেশি মালামাল ও সম্পদ নষ্ট হয়েছে।
ভুক্তভোগী, স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহিউদ্দিনের টিনশেড কলোনির শাহনাজ বেগমের কক্ষে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পাশের বায়োজিদ মাস্টারের মালিকানাধীন আরও দুটি কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
সংবাদ পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, কলোনির বেশির ভাগ বাসিন্দাই বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন। সকালে কাজে বের হয়ে যাওয়ায় ঘরে কেউ ছিল না। ফলে কক্ষে থাকা আসবাব, পোশাক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ সব ধরনের মালামাল পুড়ে যায়।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী বলেন, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এহনে মেয়ে বিয়া দিমু না। বিয়া দিমু ক্যা? এই যে শ্রম দিতাছি কার জন্যে? ওদের জন্যেই তো (মেয়েদের জন্যে) শ্রম দিতাছি। পড়াশোনা শিখায় উপযুক্ত বয়সে বিয়া দিমু।’ একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে এমনভাবেই বলছিলেন গৃহবধূ জুঁই আক্তার।
৭ দিন আগে
সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।
১৮ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে