Ajker Patrika

সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় ইউপি সদস্যকে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী-মেয়ে ও যুবক গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩, ১৮: ০০
Thumbnail image

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে মেয়ে ও তাঁর প্রেমিকের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় আনোয়ারকে হত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তাররা।

মা, মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন নিহতের স্ত্রী দুর্ঘটনায় স্বামী নিহত হয়েছেন বলে একটা অভিযোগ দেন। পরে আজ সকালে নিহত আনোয়ার হোসেনের ভাই মো. আব্দুল আজিজ হত্যা মামলা করেন। তবে মামলা করার আগেই গত রাতে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার এবং আজ সকালে আদালতে পাঠানো হয়।’

কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ কুমার বলেন, গতকাল সোমবার রাতে পুলিশ নিহত আনোয়ারের স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৪৮), মেয়ে সুরাইয়া ইয়াসমিন মিতু (২৩) ও তাঁর প্রেমিক সাজ্জাদ হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। সাজ্জাদ বারোবাজার কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও তাঁর বাড়ি পার্শ্ববর্তী পাচকাহুনিয়া গ্রামে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। মা, মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিক মিলে পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁরা ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন।

১২ জুলাই দুপুরে ইউপি সদস্য আনোয়ারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন প্রতিবেশীরা জানান, তাঁর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করে ভিন্ন ঘটনা সাজিয়ে প্রচার করছে।

ওই দিন নিহতের ভায়রা ভাই মুজিদ হোসেন জানান, কয়েক মাস আগে স্ট্রোক করার পর থেকে আনোয়ার অসুস্থ ছিলেন। এক দিন আগে যশোর সিএমএইচ থেকে ডাক্তার দেখিয়ে আনা হয়। দুপুরে ঘরের মধ্যে পড়ে গিয়ে শোকেসের গ্লাস ভেঙে গলা কেটে যায় তাঁর। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে যশোর নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ওই সময় মালিয়াট ইউপির চেয়ারম্যান আজিজুল হক খান বলেছিলেন, পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে আনোয়ার গলা নিজে কেটে আত্মহত্যা করেছেন।

একই দিন ওসি মাহবুবুর জানিয়েছিলেন, নিহত ব্যক্তি তিন মাস আগে স্ট্রোক করে যাশোর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঘটনার দিন রাতে অসুস্থতার কারণে ঘুম না হওয়ায় আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুপুরে ঘরের ভেতরে উঠে দাঁড়াতে গেলে মাথা ঘুরে ঘরের আসবাবের গ্লাসের ওপর পড়ে যান। এতে গ্লাস ভেঙে গলায় ঢুকে গিয়ে তিনি মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত