Ajker Patrika

কামারপাড়ায় বেড়েছে শেষ সময়ের ব্যস্ততা

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
Thumbnail image

ঈদুল আজহা উপলক্ষে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বেড়েছে কামারদের কর্মব্যস্ততা। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় কামারশালা হচ্ছে লোহাগড়ায়। কামারের দোকানগুলোতে সারা দিন টুং-টাং শব্দ বিরাজ করছে। কোরবানির সরঞ্জাম তৈরি ও মেরামতের কর্মযজ্ঞ চলছে সেখানে।

সরেজমিনে লোহাগড়া কর্মকারপাড়া, শিয়রবর, লাহুড়িয়া মানিকগঞ্জ, দিঘলিয়া, বড়দিয়া, এড়েন্দা, কলাগাছি, কালনা বাজারের কামারের দোকানগুলোতে দেখা যায়, কেউ গলে যাওয়া লোহা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাতিয়ার তৈরির উপযোগী করছেন। কেউবা ছুরিতে শাণ দিচ্ছেন। উপজেলায় প্রায় ৫০টি কামারের দোকান রয়েছে। এখানে প্রায় ১০০ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। প্রতি বছর ধানের মৌসুম, কোরবানির ঈদে কামারদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ধান কাটার কাস্তে, কোরবানির ঈদে ছুরি, দা, কুড়াল তৈরি ও মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকেন কামাররা।

স্থানীয় কামার শেখর কর্মকার জানান, পাকা লোহার তৈরি হাতিয়ার ধারালো হওয়ায় এ লোহা থেকে তৈরি প্রতি কেজি দা-বঁটি ৮০০ টাকা, বড় বঁটি প্রতিটি ৫০০ টাকা, বড় ছুরি প্রতিটি ৪০০ টাকা, কুড়াল প্রতি কেজি ৮০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, একটি পুরোনো হাতিয়ার মেরামত ও ধারালো করতে নেওয়া হচ্ছে ৮০ টাকা।

লোহাগড়ার বাজারের কামার উৎপাল, শ্রীবাস হাজারী, প্রবাস কর্মকার জানান, কামারের ব্যবসা আগের মতো নেই। গত বছর থেকে প্রতি কেজি কাঁচা লোহার দাম বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা ও পাকা লোহার দাম বেড়েছে ৪৫-৫০ টাকা। এ জন্য প্রতিটি লোহার হাতিয়ারের দাম বেশি পড়ছে।

মরিচ পাশা গ্রামের মাওলানা মো. হান্নান মোল্যা বলেন, ‘কোরবানির পশু জবাই করার জন্য ধারালো ছুরি ব্যবহার করতে হয়। এ জন্য কামারের কাছে এসেছি ছুরি শাণ দিতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত