Ajker Patrika

যশোর বোর্ডে পরীক্ষার্থী কমেছে ৬ সহস্রাধিক, বেড়েছে কেন্দ্রের সংখ্যা

­যশোর প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

যশোর শিক্ষা বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে ৬ হাজার ১৯৪ জন। অনিয়ম রোধে ভেন্যুব্যবস্থা বাদ দেওয়ায় বেড়েছে কেন্দ্রের সংখ্যা। আর শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির অভাবে অংশগ্রহণকারী কমেছে বলে ধারণা বোর্ডসংশ্লিষ্টদের।

এদিকে সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের ভেতরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বাংলা আবশ্যিক প্রথম পত্রের মাধ্যমে একযোগে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা।

সূত্রে জানা যায়, এই বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগের ৫৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ৬ হাজার ১৯৪ জন কম। এই বছরে কেন্দ্রের সংখ্যা আটটি বেড়ে ২৪০টি হয়েছে। বোর্ডে এবার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) ১৩৪ পরীক্ষার্থী রয়েছে।

এর মধ্যে ১৪ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখকের মাধ্যমে অতিরিক্ত ২০ মিনিট পাবে। ১২০ পরীক্ষার্থী শুধু অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবে। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নকলমুক্ত সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে একাধিক ভিজিল্যান্স টিম দায়িত্ব পালন করবে।

পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট নিরসনের লক্ষ্যে কেন্দ্রসমূহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী পরে প্রবেশ করলে রেজিস্ট্রারে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করতে হবে।

এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো কক্ষে পরীক্ষা বিলম্বে শুরু হলে যত মিনিট পরে শুরু হবে, পরীক্ষার্থীদের ততটুকু সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মতিন বলেন, প্রতিবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমবেশি হয়। এ বছর পরীক্ষার্থী কমেছে। এটা অস্বাভাবিক মনে হয়নি। গত বছর আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল শিক্ষার্থীদের অনেকে। এ জন্য হয়তো ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেনি, প্রস্তুতির অভাবে অনেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। আগামী দিনে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেবে।

তিনি আরও বলেন, নকল ও অনিয়ম বন্ধে এ বছর ভেন্যুব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। এ জন্য কয়েকটি কেন্দ্র বেড়েছে। সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত