Ajker Patrika

সিলেটে শিশুকন্যার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, অর্ধগলা কাটা অবস্থায় বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
আতিকুর রহমান ও তাঁর মেয়ে ইনায়া রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আতিকুর রহমান ও তাঁর মেয়ে ইনায়া রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট শহরের মেজরটিলা বাজারসংলগ্ন ইসলামপুর এলাকায় ঘুমন্ত অবস্থায় এক মাস বয়সী এক শিশুকন্যার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পাশে পাওয়া গেছে শিশুটির বাবা, যিনি অর্ধগলা কাটা অবস্থায় গুরুতর আহত। বুধবার (২৫ জুন) বিকেল ৫টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম ইনায়া রহমান। তিনি সিএনজি অটোরিকশাচালক আতিকুর রহমানের মেয়ে। আতিকুর রহমান সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টংঘর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, পরিবার নিয়ে ইসলামপুর এলাকার আনসার মিয়ার দোতলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন আতিকুর। প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরে বিকেলে হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, শিশুকন্যা ইনায়ার গলা কাটা এবং আতিকুর রহমান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।

পরে স্থানীয়রা দুজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইনায়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আতিকুর রহমানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৯টা) তিনি হাসপাতালের পঞ্চম তলায় অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন।

আতিকুরের বোন জামাই হুসেন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আতিকুরের স্ত্রী ঝুমা বেগম প্রথমে ফোন করে জানান, আতিকুর নিজের গলা নিজেই কেটে ফেলেছেন। কিছুক্ষণ পর আবার জানান, বাচ্চার গলাও কেটে ফেলেছেন। আমি তখন তাঁকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিই এবং নিজেও সেখানে ছুটে যাই। বর্তমানে বাচ্চার মরদেহ হিমাগারে রাখা আছে, আর আতিকুরের অস্ত্রোপচার চলছে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাহরিয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকেলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে জানতে পারি, ভুক্তভোগীরা ওসমানী মেডিকেলে চলে গেছেন। পরে জানা যায়, এক মাসের শিশুকন্যার গলা কাটা এবং বাবারও অর্ধেক গলা কাটা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

মো. শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় ঘরের ভেতরে শুধু স্বামী-স্ত্রী ও শিশুকন্যা ছিল। তাই এখনই কাউকে সন্দেহ করার মতো কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা সিসিটিভি ফুটেজসহ সব দিক খতিয়ে দেখছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত