Ajker Patrika

যশোরে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় আরও ৪ আসামি গ্রেপ্তার

যশোর প্রতিনিধি
Thumbnail image

যশোরের মণিরামপুরে যুবলীগ নেতা প্রভাষক উদয় শংকর হত্যা মামলার আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রভাষক উদয় শংকর নেহালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন। টেকেরঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

গ্রেপ্তাররা হলেন—অভয়নগর উপজেলার সরখোলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আল আমিন মোল্লা, একই গ্রামের হান্নান মোল্লার ছেলে সুমন হোসেন, শহিদুল ইসলামের ছেলে শামীম হোসেন ও মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের মৃত সালাম গাজীর ছেলে রাসেল কবীর। তাঁদের মধ্যে দুজন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রূপন কুমার সরকার বলেন, গতকাল দুপুরে অভয়নগর উপজেলার সরখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর তাদের স্বীকারোক্তিতে মণিরামপুরের পাচাকড়ি গ্রাম থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর আসামিরা জানিয়েছেন, মূলত টেকেরঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে ও ঘের নিয়ে উদয় শংকর ও আরেক আসামি পবিত্রের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরে পবিত্র শংকরকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

একপর্যায়ে আল-আমিনকে স্কুলের দপ্তরির চাকরি দেওয়া ও মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে উদয়শংকরকে মারার জন্য বলা হয়। এ জন্য তাঁকে অস্ত্রগুলি দেয় উত্তম। ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর সকালে আল-আমিন ও সুমন তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে পাঁচাকড়ি গিয়ে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে উদয় শংকর টেকেরঘাট বাজার থেকে ফেরার পথে আল-আমিন মোল্লা তার পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহতের মা ঘটনার দিন রাতে হত্যা মামলা করেন। ডিবির অনুসন্ধানে কয়েকজন আটক হলেও দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন ওই চারজন। ডিবি তাদের অবস্থান শনাক্ত ও আটকের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত