ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে সড়কের পাশের থাকা ৪০ লাখ টাকার সরকারি গাছ ৬ লাখ ২৯ হাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের ভেঙে দেওয়া কমিটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহ শহরের গোবিন্দপুর এলাকার রিপন মুন্সী সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে গাছগুলো পেয়েছেন। ইতিমধ্যে গাছ কাটতে শুরু করেছেন, এখনো গাছ কাটা চলছে।
কাঠ ব্যবসায়ীরা বলছেন, গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তিনটি সড়কের ১০টি গাছ টেন্ডারে বিক্রি করেছে কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে বিক্রির আগে গাছের মূল্য নির্ধারণও করা হয়েছে কম দামে। আর টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী মাত্র তিনজন। যারা একই দিনে একই ব্যাংক থেকে পরপর নম্বরের তিনটি পেমেন্ট অর্ডারে জামানতের টাকা জমা দিয়েছেন। এতে বোঝা যায়, পছন্দের তিনজনের নামে দরপত্র জমা দিয়ে একজন কম মূল্যে গাছগুলো দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি, এই গাছ বিক্রিতে কোনো প্রতিযোগিতা হয়নি, হলে অনেক বেশি টাকায় বিক্রি হতো। সরকারের আয় বাড়ত। অবশ্য জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা সব নিয়ম মেনেই এই টেন্ডার করিয়েছেন। তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে, আইনানুযায়ী সেখানে যার দর বেশি ছিল তাঁকেই গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ শহরের ডাকবাংলো থেকে বৈশাখী তেলপাম্প পর্যন্ত একটি মেহগনি ও পাঁচটি রেইনট্রি কড়ই, কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর রোডে একটি মেহগনি ও একটি তেঁতুল এবং কালীগঞ্জ-কোলা রোডে একটি ইপিল ও একটি মেহগনিগাছ বিক্রি করা হয়েছে। এই বিক্রির জন্য চলতি বছরের ২ মে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ৭ মে সভা, ১৯ মে দরপত্র বিক্রি, ২০ মে দাখিল ও একই দিনই দরপত্র খোলার দিন নির্ধারণ করা হয়। ১৪ জুলাই দেওয়া হয় কার্যাদেশ।
কার্যাদেশে দেখা যায়, অনুমোদিত সর্বোচ্চ উদ্ধৃত দর (৭.৫% ভ্যাট ও ১০% আয়করসহ) ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখানে অনুমোদিত নিট সর্বোচ্চ উদ্ধৃত দর (বিক্রি মূল্য) রয়েছে ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৭ টাকা। অর্থাৎ বিক্রি মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট ও আয়কর যোগ করলে অনুমোদিত সর্বোচ্চ উদ্ধৃত দর এর সমান দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দরপত্রে তিনজন অংশ নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
তাঁরা হলেন কালীগঞ্জ উপজেলার শালিখা গ্রামের মো. হারুন অর রশিদ, মহেশপুর উপজেলার যোগিহুদা গ্রামের মো. নাছির উদ্দিন ও ঝিনাইদহ শহরের গোবিন্দপুর গ্রামের খালেক মুন্সীর ছেলে রিপন মুন্সী। হারুন অর রশিদের নিট মূল্য ১ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৯ টাকা, নাছির উদ্দিন নিট মূল্য ১ লাখ ৭০ হাজার ২১২ টাকা ও রিপন মুন্সীর নিট ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৭ টাকা দিয়েছেন। রিপন মুন্সীর নিট মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট ও আয়কর যোগ দিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
দরপত্রে আরও দেখা যায়, এই তিনজন ঠিকাদার ঝিনাইদহ শহরের স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ২০ মে পেমেন্ট অর্ডার (পিও) করেছেন। এদের মধ্যে রিপন মুন্সীর পেমেন্ট অর্ডারের বিবরণীতে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার আরও একটি পেমেন্ট অর্ডারের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার একাধিক কাঠ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে জানান, এই গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণ থেকে শুরু করে সর্বত্র অনিয়ম-দুর্নীতি করা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখলে এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, তা তাঁরা এখনো জানেন না। কালীগঞ্জে শত শত কাঠ ব্যবসায়ী এই টেন্ডারে অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আর সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনজন ঠিকাদারকে দরপত্রে দেওয়া নম্বরে কল করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন হারুন অর রশিদ জানান, তিনি ঢাকায় থাকেন। তাঁর নামে অন্য একজন এই দরপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি এর কিছুই জানেন না। মহেশপুরের নাছির উদ্দিনের ফোনটি এখন আর ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে মোবাইল ফোন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
আরেকজন টেন্ডার দাতা রিপন মুন্সী জানান, তাঁরা সব নিয়ম মেনে টেন্ডার দিয়েছেন। কাজ তিনি পেয়েছেন, এখন গাছ কাটা চলছে। এ সময় একই ব্যাংক থেকে পেমেন্ট অর্ডার করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কল কেটে দেন।
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা জানান, টেন্ডার প্রক্রিয়া সঠিকভাবেই হয়েছে। বন বিভাগ গাছের মূল্য নির্ধারণ করেছেন। তারা নির্ধারিত মূল্য পেয়ে গাছ দিয়েছেন।
ঝিনাইদহে সড়কের পাশের থাকা ৪০ লাখ টাকার সরকারি গাছ ৬ লাখ ২৯ হাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের ভেঙে দেওয়া কমিটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহ শহরের গোবিন্দপুর এলাকার রিপন মুন্সী সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে গাছগুলো পেয়েছেন। ইতিমধ্যে গাছ কাটতে শুরু করেছেন, এখনো গাছ কাটা চলছে।
কাঠ ব্যবসায়ীরা বলছেন, গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তিনটি সড়কের ১০টি গাছ টেন্ডারে বিক্রি করেছে কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে বিক্রির আগে গাছের মূল্য নির্ধারণও করা হয়েছে কম দামে। আর টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী মাত্র তিনজন। যারা একই দিনে একই ব্যাংক থেকে পরপর নম্বরের তিনটি পেমেন্ট অর্ডারে জামানতের টাকা জমা দিয়েছেন। এতে বোঝা যায়, পছন্দের তিনজনের নামে দরপত্র জমা দিয়ে একজন কম মূল্যে গাছগুলো দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি, এই গাছ বিক্রিতে কোনো প্রতিযোগিতা হয়নি, হলে অনেক বেশি টাকায় বিক্রি হতো। সরকারের আয় বাড়ত। অবশ্য জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা সব নিয়ম মেনেই এই টেন্ডার করিয়েছেন। তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে, আইনানুযায়ী সেখানে যার দর বেশি ছিল তাঁকেই গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ শহরের ডাকবাংলো থেকে বৈশাখী তেলপাম্প পর্যন্ত একটি মেহগনি ও পাঁচটি রেইনট্রি কড়ই, কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর রোডে একটি মেহগনি ও একটি তেঁতুল এবং কালীগঞ্জ-কোলা রোডে একটি ইপিল ও একটি মেহগনিগাছ বিক্রি করা হয়েছে। এই বিক্রির জন্য চলতি বছরের ২ মে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ৭ মে সভা, ১৯ মে দরপত্র বিক্রি, ২০ মে দাখিল ও একই দিনই দরপত্র খোলার দিন নির্ধারণ করা হয়। ১৪ জুলাই দেওয়া হয় কার্যাদেশ।
কার্যাদেশে দেখা যায়, অনুমোদিত সর্বোচ্চ উদ্ধৃত দর (৭.৫% ভ্যাট ও ১০% আয়করসহ) ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখানে অনুমোদিত নিট সর্বোচ্চ উদ্ধৃত দর (বিক্রি মূল্য) রয়েছে ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৭ টাকা। অর্থাৎ বিক্রি মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট ও আয়কর যোগ করলে অনুমোদিত সর্বোচ্চ উদ্ধৃত দর এর সমান দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দরপত্রে তিনজন অংশ নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
তাঁরা হলেন কালীগঞ্জ উপজেলার শালিখা গ্রামের মো. হারুন অর রশিদ, মহেশপুর উপজেলার যোগিহুদা গ্রামের মো. নাছির উদ্দিন ও ঝিনাইদহ শহরের গোবিন্দপুর গ্রামের খালেক মুন্সীর ছেলে রিপন মুন্সী। হারুন অর রশিদের নিট মূল্য ১ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৯ টাকা, নাছির উদ্দিন নিট মূল্য ১ লাখ ৭০ হাজার ২১২ টাকা ও রিপন মুন্সীর নিট ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৭ টাকা দিয়েছেন। রিপন মুন্সীর নিট মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট ও আয়কর যোগ দিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
দরপত্রে আরও দেখা যায়, এই তিনজন ঠিকাদার ঝিনাইদহ শহরের স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ২০ মে পেমেন্ট অর্ডার (পিও) করেছেন। এদের মধ্যে রিপন মুন্সীর পেমেন্ট অর্ডারের বিবরণীতে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার আরও একটি পেমেন্ট অর্ডারের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার একাধিক কাঠ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে জানান, এই গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণ থেকে শুরু করে সর্বত্র অনিয়ম-দুর্নীতি করা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখলে এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, তা তাঁরা এখনো জানেন না। কালীগঞ্জে শত শত কাঠ ব্যবসায়ী এই টেন্ডারে অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আর সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনজন ঠিকাদারকে দরপত্রে দেওয়া নম্বরে কল করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন হারুন অর রশিদ জানান, তিনি ঢাকায় থাকেন। তাঁর নামে অন্য একজন এই দরপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি এর কিছুই জানেন না। মহেশপুরের নাছির উদ্দিনের ফোনটি এখন আর ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে মোবাইল ফোন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
আরেকজন টেন্ডার দাতা রিপন মুন্সী জানান, তাঁরা সব নিয়ম মেনে টেন্ডার দিয়েছেন। কাজ তিনি পেয়েছেন, এখন গাছ কাটা চলছে। এ সময় একই ব্যাংক থেকে পেমেন্ট অর্ডার করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কল কেটে দেন।
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা জানান, টেন্ডার প্রক্রিয়া সঠিকভাবেই হয়েছে। বন বিভাগ গাছের মূল্য নির্ধারণ করেছেন। তারা নির্ধারিত মূল্য পেয়ে গাছ দিয়েছেন।
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৯ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৯ ঘণ্টা আগে