Ajker Patrika

ঝিনাইদহে বয়লার বিস্ফোরণে আহত আলমগীর চিকিৎসার জন্য সাহায্য চান

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি 
Thumbnail image
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলমগীর হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন কাঠ কারখানার বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত আলমগীর হোসেন (৪৫)। যন্ত্রণা সইতে না পেরে বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। দুটি অপারেশন প্রয়োজন তাঁর। তবে এর ব্যয় বহন করা তাঁর পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। এমন বিপর্যয়ে ছেলে পারভেজ হোসেন তাঁর বাবার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান।

গত ১৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কোটচাঁদপুরের মোবাশ্বের মিয়ার তালমিলের পাশে কাঠ কারখানার বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান রাম মল্লিক (৫০) ও মিল্টন বিশ্বাস (২৫)। গুরুতর আহত হন আলমগীর হোসেন।

আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে যশোর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু উন্নতি না হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে বাড়ি পাঠানো হলেও আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আলমগীর হোসেন মহেশপুর উপজেলার আলমপুর ব্রিজঘাট এলাকার বাসিন্দা। তাঁর ছেলে পারভেজ জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে চিকিৎসার পেছনে দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে বাকি দুটি অপারেশনের জন্য আরও পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন, যা তাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

পারভেজ বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। মা চার বছর আগে স্ট্রোক করে পঙ্গু হয়ে গেছেন। বাবার ওপর এই দুর্ঘটনা আমাদের জীবনকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আমাদের কোনো জমি নেই, যা বিক্রি করে বাবার চিকিৎসা চালাতে পারি। এখন সবার সহযোগিতাই আমাদের একমাত্র ভরসা।’

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়ামিন মনিরা বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা ছিল না। এখন জানতে পারলাম। তাদের আমার দপ্তরে আবেদন করতে বলুন। আমি আবেদনটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাব। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত