Ajker Patrika

বিএনপি থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ও ইসির শেখার আছে: অমিত

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাট পৌর বিএনপির সম্মেলনে বক্তব্য দেন অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাগেরহাট পৌর বিএনপির সম্মেলনে বক্তব্য দেন অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মধ্যে যে গণতান্ত্রিক চর্চা, এ থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের শেখার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। আজ শনিবার বাগেরহাট শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে পৌর বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘গেল ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে তারেক রহমান, তাঁদের কর্মীদের জন্য ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছেন। তৃণমূলের নেতা নির্বাচনে বিএনপির মধ্যে যে গণতান্ত্রিক চর্চা, এই পদ্ধতি থেকে অন্য রাজনৈতিক দলও শিখতে পারে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনেরও এ থেকে শেখার আছে, কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয়।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। আমাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাজ করছে। কিন্তু এই কালো মেঘ তো দেখা যাওয়ার কথা ছিল না। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ছাড়া করেছে। এরপর আমরা প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বিএনপির শুধু সাত শতাধিক নেতা-কর্মী গুম হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই দলের অনেক নেতা-কর্মী খুন হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। সেই দল হিসেবে আমরা একক কৃতিত্ব দাবি করিনি। কিন্তু বর্তমান সরকার আমাদের হতাশ করেছে।’

পৌর বিএনপির নেতা এসকেন্দার হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম, সদস্যসচিব মোজাফফর রহমান আলম, সমন্বয়ক এম এ সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ অহিদুজ্জামান দিপু, কামরুল ইসলাম গোরা, শমসের আলী মোহন, খান মনিরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা, ব্যারিস্টার শেখ জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, ডা. হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, ওয়াহিদুজ্জামান পল্টু প্রমুখ।

এদিকে দীর্ঘ ১৭ বছর পর পৌর বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। দুপুরে জাতীয় সংগীত ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। শেষে শহরের বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

বিএনপি নেতারা জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর নেতা-কর্মীরা একত্রিত হতে পারেননি। যখনই তাঁরা একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করেছেন, তখনই নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। কিন্তু এখন প্রেক্ষাপট পাল্টে যাওয়ায় নির্ভয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা একত্রিত হচ্ছেন। পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ছুটছেন ভোটারদের কাছে। গণতান্ত্রিক পন্থায় নেতা নির্বাচনের উদ্যোগকে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত