যশোরে ফুল চাষ
যশোর প্রতিনিধি
যশোরের ঝিকরগাছার ফুলচাষি সাজেদা বেগম এক দশকের বেশি সময় উপজেলার পানিসারাতে চাষ করছেন নানা জাতের ফুল। বছর পাঁচেক আগে শুরু করেন দক্ষিণ আফ্রিকার জারবেরা ফুলের চাষ। আগে ভারত থেকে চারা আমদানি করলেও এখন যশোরে আরআরএফ নামের বেসরকারি একটি সংস্থার টিস্যু কালচার ল্যাবে উৎপাদিত চারা দিয়ে করছেন ফুলের চাষাবাদ। আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে এখান থেকে চারা নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন এই নারী উদ্যোক্তা।
সাজেদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারত থেকে প্রতিটি চারা আনতে এক শ টাকার বেশি খরচ পড়ত। যেহেতু নিজে গিয়ে আনতে পারতাম না, তাই পছন্দের কালার ও জাত আসত না। এখন যশোরে আরআরএফ নামের একটি সংস্থার ল্যাবে গিয়ে নিজের পছন্দের জাত ও কালার দেখে ভালো মানের চারা আনতে পারছি।’
ফুলের রাজ্য হিসেবে পরিচিত যশোরের গদখালী। একসময় প্রচলিত তথা দেশীয় ফুলের চাষ করতেন এখানকার চাষিরা। কিন্তু বর্তমানে দেশীয় প্রজাতির বাইরে গদখালীতে চাষ হচ্ছে নেদারল্যান্ডসের লিলিয়াম
এস্টোমা জারবেরা। একসময় ভারত থেকে উচ্চমূল্যে আমদানি করা হতো এসব ফুলের চারা। এখন দেশে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে জারবেরা ফুলের চারা। ভারত থেকে প্রতিটি জারবেরা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় আমদানি করা হলেও এখন যশোরেই পাওয়া যাচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। এতে করে কমেছে বিদেশনির্ভরতা। যার আর্থিক সহযোগিতা করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ। চাষি, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আপাতত চাহিদার তুলনায় কম চারা উৎপাদন হচ্ছে। তবে, অদূর ভবিষ্যতে বিদেশি এসব ফুলগাছের চারা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ।
গদখালীর ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘ভারত থেকে আমরা যে চারা আমদানি করতাম, তার চেয়ে যশোরে টিস্যু কালচার ল্যাবের চারার মান অনেক ভালো। ভারতে চারা আনতে গেলে অগ্রিম টাকা দেওয়া লাগে। কিন্তু মান ও চাহিদা অনুযায়ী চারা পাওয়া যায় না।’ তিনি বলেন, ‘ফুলচাষিদের জন্য এই উদ্যোগ প্রশংসিত। সরকারি বেসরকারিভাবে ফুলচাষিদের চাষাবাদে এ ধরনের উদ্যোগ বৃদ্ধি পেলে ফুল চাষ সম্প্রসারিত হবে। অন্যদিকে বিদেশনির্ভরতা কমবে।’
আরআরএফ ল্যাব সায়েন্স অফিসার হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানির চেয়ে দেশীয় ল্যাবে উৎপাদিত এসব চারার মান ভালো। চাষিদের চারা দেওয়ার আগে আমরা জাত, রং ও মানের বিষয়টি দেখিয়ে তারপর সরবারহ করি। এতে তাঁরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত চারা পাচ্ছেন। তবে প্রতি মাসে ২৫ হাজারের বেশি চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৫ হাজার। এটা বাড়ানোর জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।’
আরআরএফের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অসিত বরণ মণ্ডল বলেন, ‘চাষিরা আগে ভারত থেকে আমদানি করতেন উচ্চমূল্যের ফুলের চারাগুলো। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে নিলে ৬ রঙের চারা পাচ্ছেন। কালার নিশ্চিতের সঙ্গে, ফুলের চারার নামও অর্ধেক। যার কারণে শুরু থেকে যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত চারাগুলো যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাষিদের স্বল্পমূল্যে চারা সরবরাহের সঙ্গে সঙ্গে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে আরআরএফ। এ ছাড়া মাঠে ফুল চাষে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে আমাদের মাঠকর্মীরা সহযোগিতা করছেন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এসব বিদেশি ফুলের চারা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বাংলাদেশ। এতে একদিকে যেমন কমবে আমদানিনির্ভরতা, অন্যদিকে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা।’
যশোরের ঝিকরগাছার ফুলচাষি সাজেদা বেগম এক দশকের বেশি সময় উপজেলার পানিসারাতে চাষ করছেন নানা জাতের ফুল। বছর পাঁচেক আগে শুরু করেন দক্ষিণ আফ্রিকার জারবেরা ফুলের চাষ। আগে ভারত থেকে চারা আমদানি করলেও এখন যশোরে আরআরএফ নামের বেসরকারি একটি সংস্থার টিস্যু কালচার ল্যাবে উৎপাদিত চারা দিয়ে করছেন ফুলের চাষাবাদ। আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে এখান থেকে চারা নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন এই নারী উদ্যোক্তা।
সাজেদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারত থেকে প্রতিটি চারা আনতে এক শ টাকার বেশি খরচ পড়ত। যেহেতু নিজে গিয়ে আনতে পারতাম না, তাই পছন্দের কালার ও জাত আসত না। এখন যশোরে আরআরএফ নামের একটি সংস্থার ল্যাবে গিয়ে নিজের পছন্দের জাত ও কালার দেখে ভালো মানের চারা আনতে পারছি।’
ফুলের রাজ্য হিসেবে পরিচিত যশোরের গদখালী। একসময় প্রচলিত তথা দেশীয় ফুলের চাষ করতেন এখানকার চাষিরা। কিন্তু বর্তমানে দেশীয় প্রজাতির বাইরে গদখালীতে চাষ হচ্ছে নেদারল্যান্ডসের লিলিয়াম
এস্টোমা জারবেরা। একসময় ভারত থেকে উচ্চমূল্যে আমদানি করা হতো এসব ফুলের চারা। এখন দেশে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে জারবেরা ফুলের চারা। ভারত থেকে প্রতিটি জারবেরা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় আমদানি করা হলেও এখন যশোরেই পাওয়া যাচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। এতে করে কমেছে বিদেশনির্ভরতা। যার আর্থিক সহযোগিতা করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ। চাষি, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আপাতত চাহিদার তুলনায় কম চারা উৎপাদন হচ্ছে। তবে, অদূর ভবিষ্যতে বিদেশি এসব ফুলগাছের চারা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ।
গদখালীর ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘ভারত থেকে আমরা যে চারা আমদানি করতাম, তার চেয়ে যশোরে টিস্যু কালচার ল্যাবের চারার মান অনেক ভালো। ভারতে চারা আনতে গেলে অগ্রিম টাকা দেওয়া লাগে। কিন্তু মান ও চাহিদা অনুযায়ী চারা পাওয়া যায় না।’ তিনি বলেন, ‘ফুলচাষিদের জন্য এই উদ্যোগ প্রশংসিত। সরকারি বেসরকারিভাবে ফুলচাষিদের চাষাবাদে এ ধরনের উদ্যোগ বৃদ্ধি পেলে ফুল চাষ সম্প্রসারিত হবে। অন্যদিকে বিদেশনির্ভরতা কমবে।’
আরআরএফ ল্যাব সায়েন্স অফিসার হোসাইন আহমেদ বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানির চেয়ে দেশীয় ল্যাবে উৎপাদিত এসব চারার মান ভালো। চাষিদের চারা দেওয়ার আগে আমরা জাত, রং ও মানের বিষয়টি দেখিয়ে তারপর সরবারহ করি। এতে তাঁরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত চারা পাচ্ছেন। তবে প্রতি মাসে ২৫ হাজারের বেশি চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৫ হাজার। এটা বাড়ানোর জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।’
আরআরএফের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অসিত বরণ মণ্ডল বলেন, ‘চাষিরা আগে ভারত থেকে আমদানি করতেন উচ্চমূল্যের ফুলের চারাগুলো। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে নিলে ৬ রঙের চারা পাচ্ছেন। কালার নিশ্চিতের সঙ্গে, ফুলের চারার নামও অর্ধেক। যার কারণে শুরু থেকে যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত চারাগুলো যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাষিদের স্বল্পমূল্যে চারা সরবরাহের সঙ্গে সঙ্গে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে আরআরএফ। এ ছাড়া মাঠে ফুল চাষে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে আমাদের মাঠকর্মীরা সহযোগিতা করছেন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এসব বিদেশি ফুলের চারা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বাংলাদেশ। এতে একদিকে যেমন কমবে আমদানিনির্ভরতা, অন্যদিকে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা।’
সুফিয়া খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া খেলায় মুখোমুখি হয় চর কারখানা ও দক্ষিণ কারখানা একাদশ। টানটান উত্তেজনায় কাটে পুরো ম্যাচ, শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কারখানা দল ২-১ গোলে জয়লাভ করে।
২ মিনিট আগেপরিবারের বিরুদ্ধে। মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে হাত-পা ও চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর এবং হাত-পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
৮ মিনিট আগেআখতার হোসেন বলেন, “নওগাঁয় এনসিপির সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়াতে বলা হয়েছে। আমরা আশাবাদী, এ অঞ্চল থেকে সাংগঠনিক শক্তি নিয়েই আমরা সামনে এগোব।”
২০ মিনিট আগেসরকারি হিসাবে জেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৬ জন। তবে বেসরকারি উৎস থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছর জেলায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে, বাকিরা ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়ার পথে বা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
৪২ মিনিট আগে