Ajker Patrika

ইবিতে নবীন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় ২টি তদন্ত কমিটি গঠন

ইবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ০১
Thumbnail image

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে রাতভর দাঁড় করিয়ে নির্যাতনের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ পৃথক এ কমিটি গঠন করে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটিতে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মাকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর মিথুন বৈরাগীকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির অপর সদস্য হলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন। 

হল কর্তৃপক্ষের কমিটিতে ওই হলের আবাসিক শিক্ষক ড. আলতাফ হোসেনকে আহ্বায়ক ও হলের সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। চার সদস্যের কমিটির অন্যরা হলেন আবাসিক শিক্ষক আব্দুল হালিম ও ড. হেলাল উদ্দিন। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

এর আগে গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর রুমে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে হাত ওপরে উঠিয়ে রাতভর টেবিলে দাঁড় করে রাখার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে কোনো লিখিত অভিযোগ না দিলেও বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হয়। 

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ সাগর এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মুদাসসির খান কাফি। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটার পরে হলের সিনিয়র ভাইয়েরা মীমাংসা করে দিয়েছেন।’ অন্যদিকে 
বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোহাম্মদ সাগর। তিনি বলেন, ‘বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি বুধবার হলের বাইরে ছিলাম।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা অপরাধী তারা দলের কেউ না। আশা করি, তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুরো বিষয়টি উঠে আসবে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদত হোসেন আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করে একটা নোট প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। পরে প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত