পল্লব আহমেদ সিয়াম, ইবি
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এই সংকটের আশু সমাধান জানা নেই উপাচার্যের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা চান আগের মতোই আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নিতে। সে সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে পাসও হয়েছে।
গত রোববার (১৯ মার্চ) ইবির একাডেমিক কাউন্সিলের ওই সিদ্ধান্ত হয়। তবে পরদিনই ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ইবিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
গুচ্ছের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির বার্তা হলো, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় গত দুই বছরে গুচ্ছ পদ্ধতিতে যুক্ত ছিল, তাদের সবাইকে চলতি বছরও গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পরিচালন নীতি ও শিক্ষার মানোন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা’র কার্যবিবরণী থেকে এটি জানা যায়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই কার্যবিবরণী পরে সংশ্লিষ্ট সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা পেয়ে গুচ্ছ পরীক্ষা ত্রুটিমুক্ত ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গত সোমবার (২০ মার্চ) সভা করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয়।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাই বলে এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছে না থাকার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতি ইউজিসির নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ব্যত্যয় বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে অনড় রয়েছেন শিক্ষকেরা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে আমরা গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হলে আবার একাডেমিক কাউন্সিল ডেকে গুচ্ছে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়ে যেতে হবে। উপাচার্য ছুটি থেকে এসে ভর্তি পরীক্ষার মিটিং ডাকার কথা। মিটিংয়ে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলব। বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আইনে চলে। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
গুচ্ছের বিষয়ে শিক্ষকদের অবস্থানের বিষয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমি একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ের সিদ্ধান্তগুলো ইউজিসির মিটিংয়ে জানিয়েছি। তাঁরা বলেছেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। এটি আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে জানাব। যেভাবে পরীক্ষা নেবে সবই কিন্তু তাঁরা নেবেন। সেই ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই দুই পক্ষ একটা সমাধানে আসবে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘পরস্পরবিরোধী এই অবস্থান সমাধান করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর। ইউজিসি শুধু শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে। তাঁরা আগে কেন গুচ্ছে এসেছিলেন? এখন আবার বের হতে চান কেন? যেই ভোগান্তির কথা বলে তাঁরা বের হতে চান, সেই ভোগান্তির দায়ভার তাঁদেরই। কেউ বের হতে চাইলে বের হতে পারবে। ইউজিসি কাউকে বাধা দেবে না।’
উল্লেখ্য, এর আগেও ইবি শিক্ষক সমিতি গুচ্ছের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন চাপে অবস্থান থেকে সরে আসেন।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এই সংকটের আশু সমাধান জানা নেই উপাচার্যের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা চান আগের মতোই আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নিতে। সে সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে পাসও হয়েছে।
গত রোববার (১৯ মার্চ) ইবির একাডেমিক কাউন্সিলের ওই সিদ্ধান্ত হয়। তবে পরদিনই ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ইবিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
গুচ্ছের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির বার্তা হলো, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় গত দুই বছরে গুচ্ছ পদ্ধতিতে যুক্ত ছিল, তাদের সবাইকে চলতি বছরও গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পরিচালন নীতি ও শিক্ষার মানোন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা’র কার্যবিবরণী থেকে এটি জানা যায়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই কার্যবিবরণী পরে সংশ্লিষ্ট সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা পেয়ে গুচ্ছ পরীক্ষা ত্রুটিমুক্ত ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গত সোমবার (২০ মার্চ) সভা করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয়।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাই বলে এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছে না থাকার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতি ইউজিসির নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ব্যত্যয় বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে অনড় রয়েছেন শিক্ষকেরা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে আমরা গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হলে আবার একাডেমিক কাউন্সিল ডেকে গুচ্ছে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়ে যেতে হবে। উপাচার্য ছুটি থেকে এসে ভর্তি পরীক্ষার মিটিং ডাকার কথা। মিটিংয়ে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলব। বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আইনে চলে। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
গুচ্ছের বিষয়ে শিক্ষকদের অবস্থানের বিষয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমি একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ের সিদ্ধান্তগুলো ইউজিসির মিটিংয়ে জানিয়েছি। তাঁরা বলেছেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। এটি আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে জানাব। যেভাবে পরীক্ষা নেবে সবই কিন্তু তাঁরা নেবেন। সেই ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই দুই পক্ষ একটা সমাধানে আসবে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘পরস্পরবিরোধী এই অবস্থান সমাধান করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর। ইউজিসি শুধু শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে। তাঁরা আগে কেন গুচ্ছে এসেছিলেন? এখন আবার বের হতে চান কেন? যেই ভোগান্তির কথা বলে তাঁরা বের হতে চান, সেই ভোগান্তির দায়ভার তাঁদেরই। কেউ বের হতে চাইলে বের হতে পারবে। ইউজিসি কাউকে বাধা দেবে না।’
উল্লেখ্য, এর আগেও ইবি শিক্ষক সমিতি গুচ্ছের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন চাপে অবস্থান থেকে সরে আসেন।
আগুনে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল মানসিক ধাক্কাও সইতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক আঘাতের মাত্রাটা বেশি। রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিশুদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হঠাৎ বিমান ধসে আগুন ধরে যাওয়া, চোখের সামনে সহপাঠীদের...
৪ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে মাত্র দুটি বৈদ্যুতিক বাল্ব, দুটি সিলিং ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আবদুল মান্নানের বাড়িতে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। এ ‘ভুতুড়ে বিল’ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী। ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
৪ ঘণ্টা আগেমেঘনার ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভোলার মনপুরা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র দখিনা হাওয়া সৈকতের বেশ কিছু অংশ। ফলে দূরদূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা সেখানে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৩৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। গত ৭ মাসে মহাসড়কের এই অংশে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের প্রাণহানি ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে