আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় নদীতে চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আয়-রোজগার খুব কম হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাঁরা। তবে আইননিষিদ্ধ এ পেশা ত্যাগ করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও সাতক্ষীরা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতী নদীতে মাছের পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন জেলার আশাশুনি, শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। তবে নদীতে ভেসে আসা রেণু পোনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ আইনত নিষিদ্ধ। ঘন জাল দিয়ে মাছের পোনা ধরায় জলজ প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জালে ধরা পড়ে বহু প্রজাতির পোনা। তা থেকে বেছে নেওয়া হয় চিংড়ি পোনা। এতে ভারসাম্য নষ্ট হয় অন্যান্য জলজ প্রাণীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জোয়ারের সময় সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় তিন নদী কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতীতে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা ধরতে নেমে যান অসংখ্য নারী-পুরুষ। আর পোনা ধরতে তাঁরা ব্যবহার করেন নেট দিয়ে তৈরি করা এক বিশেষ ধরনের জাল। জালে আটকা পড়া ক্ষুদ্রাকৃতির গলদা ও বাগদা চিংড়ির পোনা তুলে গামলায় রাখেন। পরে ক্রেতাদের কাছে প্রতিটি ৪-৫ টাকা দরে বিক্রি করেন।
পোনা ধরা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছের পোনায় ব্যাপক উপকৃত হয়ে থাকেন মাছচাষিরা। তবে সামান্য আয়ে চলে না পোনা সংগ্রহকারীদের জীবন। দীর্ঘদিনের পেশা ছেড়ে বিকল্প কর্মসংস্থানেও যাওয়া হয় না তাঁদের। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তাই অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তাঁদের।
আশাশুনির প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দা আজমল হুদা বলেন, ‘আমার বয়স ৬৬ বছর। আমি ৪০ বছর মাছ ধরছি। আগে মাছ পড়ত বেশি, এখন পড়ে কম। সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করত, তবে আমরা চলতে পারতাম।’
দেবহাটার ইছামতী নদীতে মাছ ধরতে আসা নারী সখিনা খাতুন বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মাছ ধরি। প্রতিটি ৪-৫ টাকা করে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়। এতে আমার ১০০ টাকার মতো আয় হয়। আবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধরি। এতে আমাদের সংসার কোনো রকমে চলে।’ আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরতে আসা হরপ্রসাদ রায় বলেন, ‘আগে গোনে (অমাবস্যা-পূর্ণিমা) প্রচুর মাছ পেতাম। এখন গোন এলে ৫ দিনের জায়গায় ২-৩ দিন পাই। যা পাই, তাতে কোনো রকমে চলে।’
হতদরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে সরকারের। তবে সাতক্ষীরার এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁদের দাবি সরকারি সহযোগিতার। এ বিষয়ে আশাশুনির দৃষ্টিনন্দন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গফুর বলেন, ‘৪-৫ বছর আগে একটা কার্ড পেয়েছিলাম। পরে আর খোঁজ নেই। খুবই কষ্টের মধ্যে চলে। পুরো বয়সটা তো নদীতে কাটালাম। এখন প্রতিদিন পোনা বেচে শখানেক টাকা হয়, তা দিয়েই চলতে হয়।’
বাগদা ও গলদা পোনায় ব্যাপক উপকৃত হন মাছচাষিরা। এ প্রসঙ্গে আশাশুনির খাজরা এলাকার মাছচাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘নদী থেকে আহরিত পোনা খুবই পুষ্ট ও মানসম্মত। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে মাঝেমধ্যে পোনাসংকট দেখা দেয়। তখন আমাদের ভরসা নদী থেকে সংগৃহীত পোনা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জলবায়ু পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘চিংড়ির পোনা প্রাকৃতিক উৎস থেকে ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কারণ একটি চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে ৪০ ধরনের জলজ পোনা ধরা পড়ে। তবে আইন করে এসব গরিব মানুষের পেটে মারা ঠিক হবে না। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে জোর দিতে হবে।’
মাছ ধরা এসব মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা মৎস্য অফিসার জি এম সেলিম। তিনি বলেন, ‘জেলার বহু মানুষ নদীতে পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমরা মাঝেমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। তবে তাঁদের জন্য যে কাজটা করতে হবে, সেটা হলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনেকগুলো সাপোর্টিং প্রোগ্রাম রয়েছে। এ বিষয়ে আমরাও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বলি, এই মানুষদের যদি সেফটি নেটের মধ্যে আনা যায়, তবে তাঁরাও উপকৃত হবেন। অন্যদিকে মাছের যে প্রাকৃতিক উৎস, সেগুলোও নিরাপদ থাকবে।’
সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় নদীতে চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আয়-রোজগার খুব কম হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাঁরা। তবে আইননিষিদ্ধ এ পেশা ত্যাগ করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও সাতক্ষীরা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতী নদীতে মাছের পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন জেলার আশাশুনি, শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। তবে নদীতে ভেসে আসা রেণু পোনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ আইনত নিষিদ্ধ। ঘন জাল দিয়ে মাছের পোনা ধরায় জলজ প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জালে ধরা পড়ে বহু প্রজাতির পোনা। তা থেকে বেছে নেওয়া হয় চিংড়ি পোনা। এতে ভারসাম্য নষ্ট হয় অন্যান্য জলজ প্রাণীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জোয়ারের সময় সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় তিন নদী কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতীতে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা ধরতে নেমে যান অসংখ্য নারী-পুরুষ। আর পোনা ধরতে তাঁরা ব্যবহার করেন নেট দিয়ে তৈরি করা এক বিশেষ ধরনের জাল। জালে আটকা পড়া ক্ষুদ্রাকৃতির গলদা ও বাগদা চিংড়ির পোনা তুলে গামলায় রাখেন। পরে ক্রেতাদের কাছে প্রতিটি ৪-৫ টাকা দরে বিক্রি করেন।
পোনা ধরা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছের পোনায় ব্যাপক উপকৃত হয়ে থাকেন মাছচাষিরা। তবে সামান্য আয়ে চলে না পোনা সংগ্রহকারীদের জীবন। দীর্ঘদিনের পেশা ছেড়ে বিকল্প কর্মসংস্থানেও যাওয়া হয় না তাঁদের। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তাই অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তাঁদের।
আশাশুনির প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দা আজমল হুদা বলেন, ‘আমার বয়স ৬৬ বছর। আমি ৪০ বছর মাছ ধরছি। আগে মাছ পড়ত বেশি, এখন পড়ে কম। সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করত, তবে আমরা চলতে পারতাম।’
দেবহাটার ইছামতী নদীতে মাছ ধরতে আসা নারী সখিনা খাতুন বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মাছ ধরি। প্রতিটি ৪-৫ টাকা করে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়। এতে আমার ১০০ টাকার মতো আয় হয়। আবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধরি। এতে আমাদের সংসার কোনো রকমে চলে।’ আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরতে আসা হরপ্রসাদ রায় বলেন, ‘আগে গোনে (অমাবস্যা-পূর্ণিমা) প্রচুর মাছ পেতাম। এখন গোন এলে ৫ দিনের জায়গায় ২-৩ দিন পাই। যা পাই, তাতে কোনো রকমে চলে।’
হতদরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে সরকারের। তবে সাতক্ষীরার এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁদের দাবি সরকারি সহযোগিতার। এ বিষয়ে আশাশুনির দৃষ্টিনন্দন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গফুর বলেন, ‘৪-৫ বছর আগে একটা কার্ড পেয়েছিলাম। পরে আর খোঁজ নেই। খুবই কষ্টের মধ্যে চলে। পুরো বয়সটা তো নদীতে কাটালাম। এখন প্রতিদিন পোনা বেচে শখানেক টাকা হয়, তা দিয়েই চলতে হয়।’
বাগদা ও গলদা পোনায় ব্যাপক উপকৃত হন মাছচাষিরা। এ প্রসঙ্গে আশাশুনির খাজরা এলাকার মাছচাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘নদী থেকে আহরিত পোনা খুবই পুষ্ট ও মানসম্মত। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে মাঝেমধ্যে পোনাসংকট দেখা দেয়। তখন আমাদের ভরসা নদী থেকে সংগৃহীত পোনা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জলবায়ু পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘চিংড়ির পোনা প্রাকৃতিক উৎস থেকে ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কারণ একটি চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে ৪০ ধরনের জলজ পোনা ধরা পড়ে। তবে আইন করে এসব গরিব মানুষের পেটে মারা ঠিক হবে না। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে জোর দিতে হবে।’
মাছ ধরা এসব মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা মৎস্য অফিসার জি এম সেলিম। তিনি বলেন, ‘জেলার বহু মানুষ নদীতে পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমরা মাঝেমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। তবে তাঁদের জন্য যে কাজটা করতে হবে, সেটা হলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনেকগুলো সাপোর্টিং প্রোগ্রাম রয়েছে। এ বিষয়ে আমরাও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বলি, এই মানুষদের যদি সেফটি নেটের মধ্যে আনা যায়, তবে তাঁরাও উপকৃত হবেন। অন্যদিকে মাছের যে প্রাকৃতিক উৎস, সেগুলোও নিরাপদ থাকবে।’
উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘স্কুলের নৃত্যের পরিবেশনা ছিল। গানের শেষ কলিতে “জয় বাংলা বাংলার জয়” বেজে উঠলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান। পাশাপাশি কেন এমনটি হয়েছে, অতিথিরা সে বিষয়ে বারবার প্রশ্ন করেন।’
৫ মিনিট আগেভালো কাজের প্রলোভনে পাচারের শিকার সাতজনকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ মিনিট আগেবৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসের এ সময়ে উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলায় কর্মহীন হয়ে পড়েন কৃষিশ্রমিকেরা। এসব জেলায় খেতের ইরি-বোরো ধান পাকতে এখনো এক মাসের অনেক সময় বাকি।
১ ঘণ্টা আগেপ্যাকিং হাউস, কুলিং সেন্টার, সার্টিফিকেশন ল্যাব ও হিমাগার স্থাপন ছাড়াই চালু হচ্ছে কার্গো ফ্লাইট। আজ রোববার সন্ধ্যায় সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স’ উদ্বোধনের পরই উন্নত বিশ্বে পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
৮ ঘণ্টা আগে