তেরখাদা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার তেরখাদার ইখড়ি এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি একজন লেগুনাচালক। তাঁর বড় মেয়ে একটি সরকারি কলেজে, মেজ মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে এবং ছোট ছেলে মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। মা-বাবা, স্ত্রী ও তিন সন্তানের আহার জোগাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। সেখানে সন্তানদের পড়াশোনার খরচে দিশেহারা মোস্তাফিজুর। এর মধ্যে শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ায় তাঁর কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ।
মোস্তাফিজুর বলেন, ‘করোনাকালে দুই বছর ইনকাম না থাকায় দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। অনেক কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছি। নতুন বছরে মেয়েদের ভর্তি, নতুন বই, খাতা-কলম কিনতে হয়েছে। আগে যে খাতা কিনেছি ২০ থেকে ২৫ টাকায়, এখন তার দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা হয়েছে। এক মাসের খাতা কিনতেই হাজার টাকা লাগে। এর মধ্যে আবার নোট বইসহ অন্যান্য উপকরণ তো আছেই।’
মোস্তাফিজুর আরও বলেন, ‘সরকার বই দেন তা ঠিক, স্কুলের বেতনসহ শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ায় আমাদের মতো দরিদ্র মানুষের পক্ষে খরচ চালানো সম্ভব না।’
একই অবস্থা বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল করিমের। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা উপকরণের যে দাম; তাতে সন্তানের লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়া আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য দুরূহ।’
গত কয়েক মাসে খাতা, কাগজ, কলম, পেনসিলসহ অন্য সামগ্রীর দাম অনেক বেড়েছে। আর ওই ব্যয় মেটাতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নাভিশ্বাস উঠছে। খাতা, বই, কলমসহ সবকিছুর দাম এতটাই বেড়েছে যে সন্তানদের লেখাপড়া করানো যেন কঠিন হয়ে উঠেছে, এমনটিই মনে করছেন অভিভাবকসহ সচেতনমহল।
উপজেলা সদরের বেশ কিছু লাইব্রেরি ও স্টেশনারির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা জড়িয়ে পড়ছেন। অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ার এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার কাটেংগা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাগজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। ব্যবসায়ীরা যখন যে দামে কাগজ কিনছেন, সেই অনুযায়ী বিক্রি করছেন।
ব্যবসায়ী ইমরুল মোল্যা বলেন, গত বছরে যে কাগজ ২৫০ টাকা রিম বিক্রি করেছি, এখন তা ৫৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। আগামী দিনে দাম আরও বাড়তে পারে মনে করেন এই ব্যবসায়ী।
সব ধরনের বই ১৫ থেকে ২০ শতাংশ দাম বেড়েছে বলে জানান লাইব্রেরির মালিকেরা। এ ছাড়া শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য পেনসিল, ইরেজার, পেনসিল কাটার, জ্যামিতি বক্স, ক্লিপবোর্ডে দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
কাটেংগা বাজারের পেপার হাউসের স্বত্বাধিকারী মনোতষ সাহা বলেন, ‘গত বছর এই সময় শিশুদের জন্য ক্লিপবোর্ড ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করেছি। এ বছর তা ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া খাতার দামও বেড়েছে দ্বিগুণ।’
নিম্ন ও মধ্যবিত্ত অভিভাবকেরা জানান, শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ায় স্বল্প আয়ের পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নিত্যপণ্যের বাজারদরের কাছে যখন চরম অসহায়, ঠিক সেই সময় সন্তানদের শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
খুলনার তেরখাদার ইখড়ি এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি একজন লেগুনাচালক। তাঁর বড় মেয়ে একটি সরকারি কলেজে, মেজ মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে এবং ছোট ছেলে মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। মা-বাবা, স্ত্রী ও তিন সন্তানের আহার জোগাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। সেখানে সন্তানদের পড়াশোনার খরচে দিশেহারা মোস্তাফিজুর। এর মধ্যে শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ায় তাঁর কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ।
মোস্তাফিজুর বলেন, ‘করোনাকালে দুই বছর ইনকাম না থাকায় দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। অনেক কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছি। নতুন বছরে মেয়েদের ভর্তি, নতুন বই, খাতা-কলম কিনতে হয়েছে। আগে যে খাতা কিনেছি ২০ থেকে ২৫ টাকায়, এখন তার দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা হয়েছে। এক মাসের খাতা কিনতেই হাজার টাকা লাগে। এর মধ্যে আবার নোট বইসহ অন্যান্য উপকরণ তো আছেই।’
মোস্তাফিজুর আরও বলেন, ‘সরকার বই দেন তা ঠিক, স্কুলের বেতনসহ শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ায় আমাদের মতো দরিদ্র মানুষের পক্ষে খরচ চালানো সম্ভব না।’
একই অবস্থা বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল করিমের। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা উপকরণের যে দাম; তাতে সন্তানের লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়া আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য দুরূহ।’
গত কয়েক মাসে খাতা, কাগজ, কলম, পেনসিলসহ অন্য সামগ্রীর দাম অনেক বেড়েছে। আর ওই ব্যয় মেটাতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নাভিশ্বাস উঠছে। খাতা, বই, কলমসহ সবকিছুর দাম এতটাই বেড়েছে যে সন্তানদের লেখাপড়া করানো যেন কঠিন হয়ে উঠেছে, এমনটিই মনে করছেন অভিভাবকসহ সচেতনমহল।
উপজেলা সদরের বেশ কিছু লাইব্রেরি ও স্টেশনারির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা জড়িয়ে পড়ছেন। অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ার এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার কাটেংগা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাগজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। ব্যবসায়ীরা যখন যে দামে কাগজ কিনছেন, সেই অনুযায়ী বিক্রি করছেন।
ব্যবসায়ী ইমরুল মোল্যা বলেন, গত বছরে যে কাগজ ২৫০ টাকা রিম বিক্রি করেছি, এখন তা ৫৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। আগামী দিনে দাম আরও বাড়তে পারে মনে করেন এই ব্যবসায়ী।
সব ধরনের বই ১৫ থেকে ২০ শতাংশ দাম বেড়েছে বলে জানান লাইব্রেরির মালিকেরা। এ ছাড়া শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য পেনসিল, ইরেজার, পেনসিল কাটার, জ্যামিতি বক্স, ক্লিপবোর্ডে দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
কাটেংগা বাজারের পেপার হাউসের স্বত্বাধিকারী মনোতষ সাহা বলেন, ‘গত বছর এই সময় শিশুদের জন্য ক্লিপবোর্ড ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করেছি। এ বছর তা ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া খাতার দামও বেড়েছে দ্বিগুণ।’
নিম্ন ও মধ্যবিত্ত অভিভাবকেরা জানান, শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ায় স্বল্প আয়ের পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নিত্যপণ্যের বাজারদরের কাছে যখন চরম অসহায়, ঠিক সেই সময় সন্তানদের শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৭ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৮ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৮ ঘণ্টা আগে