পল্লব আহমেদ সিয়াম, ইবি
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গত সপ্তাহে যে অডিও ফাঁস হয়েছে সেটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এমনটাই দাবি করেছেন প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মাহবুবর রহমান।
অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেছেন, ‘অডিওগুলো উপাচার্যের এটা তিনি বৈঠকে স্বীকার করেছেন। প্রাথমিক ভাবে তিনি যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তাই তিনি নৈতিক ভাবে ওই চেয়ারে বসার যোগ্যতা হারিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে পুরো বিষয়টি সঠিক তদন্তসাপেক্ষে হস্তক্ষেপ করবেন বলে আমরা আশা করি।’
গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নিয়োগসংক্রান্ত একটি অডিওতে কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক অলিউর রহমানকে ‘অলি কোথায়’ বলে সম্বোধন করতে শোনা যায়। কণ্ঠটি উপাচার্যের বলেই মনে হচ্ছে। সেই অডিওর পর বিভিন্ন বিষয়ে ছয়টি অডিও ফাঁস হয়েছে। অডিওগুলোতে অবশ্য উপাচার্যের কণ্ঠ ছাড়া অন্য পাশের কোনো কণ্ঠ শোনা যায়নি।
এই অডিও কাণ্ডে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অডিওর জেরে দুর্নীতর অভিযোগে উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতা–কর্মীরা। ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা নেই এমন ১৬ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির দাবি জানিয়েছে কর্মকর্তা সমিতি। বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে উপাচার্যকে চাপে ফেলে অনৈতিক দাবি–দাওয়া পেশ করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধান না করতে পারলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে।
প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম ও শিক্ষক সমিতির প্রায় অর্ধেক নেতা আগের প্রশাসনের। ওই প্রশাসনের প্রায় সবাই এই প্রশাসনের বিরোধী। কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ উপাচার্যের বিরোধী।
এদিকে অডিও কাণ্ডে পদ হারিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের ব্যক্তিগত সহকারী আইয়ূব আলী। উপাচার্য তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ঠিক কী কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তার কারণ কেউ জানে না।
এর আগে অডিও ফাঁসের ঘটনায় উপাচার্যের কার্যালয় ও বাংলোয় তল্লাশি করা হয়। অডিওগুলো কীভাবে ফাঁস হলো তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। অডিও ফাঁসের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর মধ্যে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে পাঁচটি নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অডিও সংগ্রহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এর আগে উপাচার্যের অবস্থান জানতে চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে শাপলা ফোরাম।
নিয়োগ সংক্রান্ত অডিও ফাঁস হওয়ার জেরে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ফলে ক্যাম্পাসের ভেতরে বাংলোয় থেকেই প্রয়োজনীয় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উপাচার্য। উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য দফায় দফায় বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে সমাধানের পথ খুঁজে পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ থেকে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত ছুটিতে গেছেন উপাচার্য। এ সময় উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকবেন সহউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। আজ সকালেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন উপাচার্য।
‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে দুটি ফেসবুক আইডি থেকে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উপাচার্যের ‘কণ্ঠের মতো’ পাঁচটি অডিও প্রকাশ করা হয়। পরে ‘আল বিদা’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে আরেকটি অডিও ফাঁস হয়। অডিওগুলোতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন কথা শোনা যায়।
প্রথম অডিওটি ছয় মিনিটের। অডিওর শুরুতে প্রথমে উপাচার্যকে বলতে শোনা যায়, ‘অলি কোথায়?’
সার্বিক বিষয়ে জানতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের ব্যবহৃত ফোন নম্বরে কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খণ্ডকালীন শিক্ষক অলিউর রহমানের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্টহাউসেই থাকতেন। একমাস আগে তিনি গেস্টহাউস ছেড়েছেন। এরপর আর কোনো যোগাযোগ নেই। তবে গত ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লেখেন, ‘ডিপার্টমেন্টে তোমাদের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আমার আর যাওয়া হবে না।’ গ্রুপে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, অলিউর রহমান বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গত সপ্তাহে যে অডিও ফাঁস হয়েছে সেটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এমনটাই দাবি করেছেন প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মাহবুবর রহমান।
অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেছেন, ‘অডিওগুলো উপাচার্যের এটা তিনি বৈঠকে স্বীকার করেছেন। প্রাথমিক ভাবে তিনি যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তাই তিনি নৈতিক ভাবে ওই চেয়ারে বসার যোগ্যতা হারিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে পুরো বিষয়টি সঠিক তদন্তসাপেক্ষে হস্তক্ষেপ করবেন বলে আমরা আশা করি।’
গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নিয়োগসংক্রান্ত একটি অডিওতে কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক অলিউর রহমানকে ‘অলি কোথায়’ বলে সম্বোধন করতে শোনা যায়। কণ্ঠটি উপাচার্যের বলেই মনে হচ্ছে। সেই অডিওর পর বিভিন্ন বিষয়ে ছয়টি অডিও ফাঁস হয়েছে। অডিওগুলোতে অবশ্য উপাচার্যের কণ্ঠ ছাড়া অন্য পাশের কোনো কণ্ঠ শোনা যায়নি।
এই অডিও কাণ্ডে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অডিওর জেরে দুর্নীতর অভিযোগে উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতা–কর্মীরা। ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা নেই এমন ১৬ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির দাবি জানিয়েছে কর্মকর্তা সমিতি। বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে উপাচার্যকে চাপে ফেলে অনৈতিক দাবি–দাওয়া পেশ করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধান না করতে পারলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে।
প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম ও শিক্ষক সমিতির প্রায় অর্ধেক নেতা আগের প্রশাসনের। ওই প্রশাসনের প্রায় সবাই এই প্রশাসনের বিরোধী। কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ উপাচার্যের বিরোধী।
এদিকে অডিও কাণ্ডে পদ হারিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের ব্যক্তিগত সহকারী আইয়ূব আলী। উপাচার্য তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছেন। ঠিক কী কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তার কারণ কেউ জানে না।
এর আগে অডিও ফাঁসের ঘটনায় উপাচার্যের কার্যালয় ও বাংলোয় তল্লাশি করা হয়। অডিওগুলো কীভাবে ফাঁস হলো তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। অডিও ফাঁসের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর মধ্যে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে পাঁচটি নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অডিও সংগ্রহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এর আগে উপাচার্যের অবস্থান জানতে চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে শাপলা ফোরাম।
নিয়োগ সংক্রান্ত অডিও ফাঁস হওয়ার জেরে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ফলে ক্যাম্পাসের ভেতরে বাংলোয় থেকেই প্রয়োজনীয় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উপাচার্য। উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য দফায় দফায় বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে সমাধানের পথ খুঁজে পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ থেকে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত ছুটিতে গেছেন উপাচার্য। এ সময় উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকবেন সহউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। আজ সকালেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন উপাচার্য।
‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে দুটি ফেসবুক আইডি থেকে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উপাচার্যের ‘কণ্ঠের মতো’ পাঁচটি অডিও প্রকাশ করা হয়। পরে ‘আল বিদা’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে আরেকটি অডিও ফাঁস হয়। অডিওগুলোতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন কথা শোনা যায়।
প্রথম অডিওটি ছয় মিনিটের। অডিওর শুরুতে প্রথমে উপাচার্যকে বলতে শোনা যায়, ‘অলি কোথায়?’
সার্বিক বিষয়ে জানতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের ব্যবহৃত ফোন নম্বরে কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খণ্ডকালীন শিক্ষক অলিউর রহমানের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্টহাউসেই থাকতেন। একমাস আগে তিনি গেস্টহাউস ছেড়েছেন। এরপর আর কোনো যোগাযোগ নেই। তবে গত ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লেখেন, ‘ডিপার্টমেন্টে তোমাদের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আমার আর যাওয়া হবে না।’ গ্রুপে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, অলিউর রহমান বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছেন।
চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হলে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার আটক হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর ভাতিজি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (সাবেক এমপি) আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৫ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রসের সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার সন্দেশ ও টফি; যা প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়। অর্থ লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) জিপিএ-৫ না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন ইমা আক্তার। তারপর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে বাকি সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এবার তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহে পিকনিকে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা ইসলাম মৌ, ৪র্থ শ্রেণির আম্মার, উজান কর্মকার, ১ম শ্রেণির মায়াং
৬ ঘণ্টা আগে