Ajker Patrika

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, কারণ জানতে তদন্ত কমিটি

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৫, ১৪: ২৮
সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয়রাও। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয়রাও। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন বনে লাগা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আজ রোববার সকালে ধানসাগর স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা বপুলেশ্বর দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা চলে গেলেও রাত ৯টা থেকে বন বিভাগ নিজস্ব পাম্প ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পানি দিয়েছে। বনরক্ষী ও বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থানীয় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক রাতভর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আবার আসে। নিয়ন্ত্রণে আসা আগুন আর ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না বা আবার জ্বলে ওঠার শঙ্কা রয়েছে কি না তা যাচাই করা এবং ঘটনাস্থলে আগুনের অস্তিত্ব খুঁজতে কাজ করছেন বন বিভাগ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকেরা।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও করণীয় জানতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দ্বীপন চন্দ্র দাসকে প্রধান করে এই কমিটি করা হয়। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয়রাও। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয়রাও। ছবি: আজকের পত্রিকা

গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন বনে ধোঁয়া দেখতে পায় স্থানীয়রা। দুপুরের দিকে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের স্থান শনাক্ত ও আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করে বন বিভাগ। বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয়রাও। ছবি: আজকের পত্রিকা
সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয়রাও। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয়রা সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে বনের মধ্যে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা ধরে ফায়ার লাইন (শুকনো পাতা, মাটি সরিয়ে নালা) করে। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা অভিযান সমাপ্ত করে চলে গেলেও, বন বিভাগ নিজস্ব ব্যবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি দিতে থাকে। বন বিভাগের সঙ্গে যোগ দেয় অর্ধশতাধিক স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত