Ajker Patrika

নিখোঁজের ২ দিন পর প্রতিবেশীর বাড়ির ডোবায় মিলল গৃহবধূর লাশ

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি 
Thumbnail image
প্রতীকী ছবি

যশোরের চৌগাছায় নিখোঁজের দুদিন পর প্রতিবেশীর বাড়ির ডোবা থেকে রাবিয়া খাতুন (৪৬) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ডোবার পাড় থেকে একটি দা জব্দ করা হয়। আজ মঙ্গলবার উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের বাঘারদাড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রাবিয়া স্বরূপদাহ ইউনিয়নের বাঘারদাড়ী গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের মা। রাবিয়া গত রোববার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

লাশ উদ্ধারের বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পায়েল হোসেন। তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হচ্ছে।

নিহতের ছেলে আল আমিন (২৫) ও মেয়ে তানজিলা খাতুন (১৭) জানান, তাঁদের মা গত রোববার সন্ধ্যার দিকে প্রতিবেশী সাইদুলের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সোমবার সকালে প্রতিবেশী জাহিদ ও তাজউদ্দিনের বাড়ির ফটকের সামনে থেকে তাঁদের মায়ের জুতা ও হাতে থাকা টর্চ লাইট উদ্ধার করেন। তখন জাহিদের বাড়ির লোকজন বলে ‘রোববার সন্ধ্যায় তোমাদের মাকে একটি ইজিবাইকে চড়ে কোথাও চলে যেতে দেখেছি’। এরপর থেকে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় মাকে খুঁজতে থাকেন।

তানজিলা বলে, ‘আমার সন্দেহ হয় জাহিদ ও তাজউদ্দিনের বাড়ির সামনে জুতা-লাইট পাওয়া গেছে তাঁরা মাকে আটকে রাখেনি তো। এরপর তাঁদের বাড়ির উঠানে গেলে ডোবার পাড়ে লোহার দা দেখতে পেয়ে আরও কাছে গিয়ে দেখি পানির মধ্যে কিছু একটা রয়েছে। তখন প্রতিবেশীদের নিয়ে মায়ের লাশ উদ্ধার করি।’

আল আমিন ও তানজিলার দাবি, যে বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ওই বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে তামিম তাঁদের মাকে হত্যা করেছে। বছরখানেক আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তামিম ও তাঁর বাবা তাজুল প্রায় সময় তাঁদের মাকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

নিহতের স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, যেদিন থেকে রাবিয়াকে পাওয়া যাচ্ছিল না সেদিন থেকেই তামিম বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। অন্যদিকে তামিমের মারধরের শিকার হয়ে তাজুল এক মাস ধরে বাড়ি ছাড়া। আর তামিমের মা দুই-তিন বছর আগে মারা গেছেন। তামিম বখে যাওয়া ছেলে। সব সময় চাকু সঙ্গে নিয়ে বেড়ায়। নিজের চাচা, চাচাতো ভাই, ফুপাতো ভাই, মামাতো ভাইসহ বিভিন্ন জনকে এর আগে মারধর করেছে।

চৌগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ হোসেন বলেন, সুরতহালের সময় দেখা গেছে নিহতের কপালে ভারী কিছুর আঘাত রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক-সার্কেল জুয়েল ইমরান বলেন, এ বিষয়ে হত্যা মামলা হবে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত