ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের ঝিকরগাছায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় পিতা-স্বামীর নাম নেই। অনেকের গ্রামের নাম ও মোবাইল নম্বর ভুল দেওয়া হয়েছে। অসহায়দের পরিবর্তে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নামও পাওয়া গেছে তালিকায়। অভিযোগ এসব কার্ড নয়ছয় করে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের না দিয়ে নিজস্ব লোকের কাছে বিতরণ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা।
টিসিবি তালিকা সূত্রে জানা যায়, তালিকার ১ হাজার ৬৩৬ নম্বরে রয়েছে ঝিকরগাছা পৌরসভার ৪ তলা বাড়ির মালিক মাহবুবা খাতুনের নাম। তাঁর স্বামী আইনজীবী আবদুল কাদের আজাদ সাবেক সরকারি কৌঁসূলি (পিপি) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক। অথচ তাঁর বাড়ির পাশে অন্যের জায়গায় বসবাসকারী গোলাম কিবরিয়া কার্ড পাননি। পাশেই বসবাসকারী ভ্যানচালক মিজার সরদারেরও জোটেনি টিসিবি কার্ড। শুধু মাহবুবাই নন টিসিবির তালিকায় স্থান পেয়েছেন ঠিকাদার, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও দলীয় নেতারা।
উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের টিসিবি তালিকায় পিতা-স্বামীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ ইউনিয়নে ৭৫৫ নম্বর তালিকায় আইয়ুব আলীর গ্রাম সাদীপুর লেখা হয়েছে। সেখানে যে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে তা ওই গ্রামে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নাভারণ ইউনিয়নে তালিকার ৪৮০ নম্বরে কুন্দিপুর গ্রামের ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে সামাদ বিশ্বাস ও ৪৮১ নম্বরে থাকা রওশোন আলী সরদারের ছেলে আলী কদরের নাম থাকলেও তাঁরা কার্ড পাননি। ১ নম্বর ওয়ার্ডের তালিকায় ৬০৮ নম্বরে কলাগাছি গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে শামীম হোসেন ও ৬০৪ নম্বরে থাকা উত্তর দেউলী গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে রাজীবুল ইসলামের কার্ড জমা নেওয়ার পর আর দেওয়া হয়নি।
এদিকে নিজের নামে টিসিবির কার্ড আছে জানেন না ৮১৪ নম্বরে থাকা কলাগাছি গ্রামের সোহান হোসেন। এ বিষয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহরব হোসেন বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে ১০৩টি কার্ড থাকলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাকে ৮৪টি কার্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি কার্ড কোথায় গেল আমি জানি না।’
৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য পারুল খাতুন বলেন, ‘ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী বাবলু পরিষদ থেকে কার্ড নিয়ে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে বিতরণ করেননি। নির্বাচনে যারা তাঁর পক্ষে ছিলেন তাঁদের মাঝেই কার্ড বিলি করেছেন।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, নাভারণ ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার ছাড়াই পণ্য বিতরণ করছে ডিলার কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ কার্ডেই সুবিধাভোগীদের ছবি নেই। যারা পণ্য নিতে এসেছেন কার্ডের নামের সঙ্গে তাঁদের নাম-ঠিকানার মিল নেই। ছবি বাদে পরিচয় যাচাই না করে পণ্য দিচ্ছেন কেন; এমন প্রশ্নে বিতরণে নিয়োজিত থাকা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আমরা বাইরের লোক। চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্দেশে পণ্য বিতরণ করছি।’
ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী বলেন, ‘নতুন ইস্যুকৃত টিসিবি কার্ড বিতরণ করতে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ কার্ড না পেলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।’
ঝিকরগাছা পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা বলেন, ‘প্রথম যখন টিসিবির কার্ড করা হয় তখন হতদরিদ্র অনেকে নিতে চায়নি। তাই কিছু ধনী লোকের নাম আছে। পরবর্তীতে বরাদ্দ আসলে সমন্বয় করা হবে।’
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘একজনের কার্ডে অন্যজনের পণ্য নেওয়ার সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোরের ঝিকরগাছায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় পিতা-স্বামীর নাম নেই। অনেকের গ্রামের নাম ও মোবাইল নম্বর ভুল দেওয়া হয়েছে। অসহায়দের পরিবর্তে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নামও পাওয়া গেছে তালিকায়। অভিযোগ এসব কার্ড নয়ছয় করে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের না দিয়ে নিজস্ব লোকের কাছে বিতরণ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা।
টিসিবি তালিকা সূত্রে জানা যায়, তালিকার ১ হাজার ৬৩৬ নম্বরে রয়েছে ঝিকরগাছা পৌরসভার ৪ তলা বাড়ির মালিক মাহবুবা খাতুনের নাম। তাঁর স্বামী আইনজীবী আবদুল কাদের আজাদ সাবেক সরকারি কৌঁসূলি (পিপি) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক। অথচ তাঁর বাড়ির পাশে অন্যের জায়গায় বসবাসকারী গোলাম কিবরিয়া কার্ড পাননি। পাশেই বসবাসকারী ভ্যানচালক মিজার সরদারেরও জোটেনি টিসিবি কার্ড। শুধু মাহবুবাই নন টিসিবির তালিকায় স্থান পেয়েছেন ঠিকাদার, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও দলীয় নেতারা।
উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের টিসিবি তালিকায় পিতা-স্বামীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ ইউনিয়নে ৭৫৫ নম্বর তালিকায় আইয়ুব আলীর গ্রাম সাদীপুর লেখা হয়েছে। সেখানে যে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে তা ওই গ্রামে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নাভারণ ইউনিয়নে তালিকার ৪৮০ নম্বরে কুন্দিপুর গ্রামের ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে সামাদ বিশ্বাস ও ৪৮১ নম্বরে থাকা রওশোন আলী সরদারের ছেলে আলী কদরের নাম থাকলেও তাঁরা কার্ড পাননি। ১ নম্বর ওয়ার্ডের তালিকায় ৬০৮ নম্বরে কলাগাছি গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে শামীম হোসেন ও ৬০৪ নম্বরে থাকা উত্তর দেউলী গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে রাজীবুল ইসলামের কার্ড জমা নেওয়ার পর আর দেওয়া হয়নি।
এদিকে নিজের নামে টিসিবির কার্ড আছে জানেন না ৮১৪ নম্বরে থাকা কলাগাছি গ্রামের সোহান হোসেন। এ বিষয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহরব হোসেন বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে ১০৩টি কার্ড থাকলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাকে ৮৪টি কার্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি কার্ড কোথায় গেল আমি জানি না।’
৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য পারুল খাতুন বলেন, ‘ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী বাবলু পরিষদ থেকে কার্ড নিয়ে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে বিতরণ করেননি। নির্বাচনে যারা তাঁর পক্ষে ছিলেন তাঁদের মাঝেই কার্ড বিলি করেছেন।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, নাভারণ ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার ছাড়াই পণ্য বিতরণ করছে ডিলার কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ কার্ডেই সুবিধাভোগীদের ছবি নেই। যারা পণ্য নিতে এসেছেন কার্ডের নামের সঙ্গে তাঁদের নাম-ঠিকানার মিল নেই। ছবি বাদে পরিচয় যাচাই না করে পণ্য দিচ্ছেন কেন; এমন প্রশ্নে বিতরণে নিয়োজিত থাকা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আমরা বাইরের লোক। চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্দেশে পণ্য বিতরণ করছি।’
ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী বলেন, ‘নতুন ইস্যুকৃত টিসিবি কার্ড বিতরণ করতে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ কার্ড না পেলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।’
ঝিকরগাছা পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা বলেন, ‘প্রথম যখন টিসিবির কার্ড করা হয় তখন হতদরিদ্র অনেকে নিতে চায়নি। তাই কিছু ধনী লোকের নাম আছে। পরবর্তীতে বরাদ্দ আসলে সমন্বয় করা হবে।’
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘একজনের কার্ডে অন্যজনের পণ্য নেওয়ার সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আওয়ামী সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান দলটির ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করতে একটি এজাহার প্রস্তুত করেছিলেন। তবে তা থানায় দেওয়ার আগেই পাঠান আওয়ামী লীগের লোকজনের কাছে এবং মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা।
২ ঘণ্টা আগেশাহিন আলম। বয়স ৩২ বছর। ফেনী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ড্রাফটম্যান। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে চাকরিতে যোগ দেন ২১,৪৭০ টাকা বেতন স্কেলে। এই চাকরি যেন শাহিনের জন্য আলাদিনের চেরাগ হিসেবে এসেছে। এরপর ৬ বছরে তিনি শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেকাজের সময়সীমা ১৮ মাস। কিন্তু সে কাজ দুই মাস করার পর ফেলে রাখা হয়েছে। এদিকে কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নেই ঠিকাদারের। জানা গেছে, গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই গা ঢাকা দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এতে সড়ক সংস্কারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে।
২ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭টি বাঁশের সাঁকো। বর্ষাকালে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ মানুষের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এসব সাঁকোই ভরসা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁদের।
২ ঘণ্টা আগে