Ajker Patrika

খুলনার ৬টি আসন: জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার

  • আগে থেকে তৎপর জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
  • খুলনা-১ আসন ছাড়া বাকিগুলোতে প্রচারে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
  • দুই আসনে আলোচনায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব।
  • দৃশ্যমান তৎপরতা নেই জাতীয় নাগরিক পার্টির।
শেখ আবু হাসান, খুলনা
মিয়া গোলাম পরওয়ার, আজিজুল বারী হেলাল, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রকিবুল ইসলাম বকুল, আলী আসগর লবি, ইউনুস আহমাদ, শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও মাহফুজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
মিয়া গোলাম পরওয়ার, আজিজুল বারী হেলাল, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রকিবুল ইসলাম বকুল, আলী আসগর লবি, ইউনুস আহমাদ, শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও মাহফুজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনায় দীর্ঘদিন থেকে তৎপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। জেলার ছয়টি আসনেই নিজ নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। বিএনপির পক্ষ থেকে ৩ নভেম্বর সারা দেশে ২৩৭টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে খুলনা-১ আসনটি ফাঁকা রেখে জেলার বাকি পাঁচটি আসনে নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর থেকে তাঁরাও ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ।

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনটি দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে অধিকাংশ সময় এটি দলটির দখলে ছিল। এবার এখানে বিএনপির তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল ও সাবেক ছাত্রনেতা পার্থ দেব মণ্ডল। নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে সরব জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির শেখ আবু ইউসুফ। ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়ন পেতে পারেন মাওলানা আবু সাঈদ। বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন দাকোপ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়।

নগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, হরিণটানা ও লবণচরা থানা নিয়ে গঠিত খুলনা-২ আসন। এটিকে জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। নগর বিএনপির সাবেক এ সভাপতি ২০০৮ সালেও আসনটি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন আমান উল্লাহ। গণসংহতি আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল।

সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এবং যোগীপোল ও আড়ংঘাটা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত খুলনা-৩ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। দীর্ঘদিন থেকে তিনি এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগর আমির মাহফুজুর রহমানও নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল।

রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া নিয়ে খুলনা-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা জেলা নায়েবে আমির কবিরুল ইসলাম। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ। তিনজনই নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসন। ২০০১ সালে এখানে চারদলীয় জোট থেকে বিজয়ী হন জামায়াতের বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এবারও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি। তিনিও এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনে জিততে আসনটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ফলে বিএনপি, জামায়াতের দুই দলই তাদের ভোট টানতে মরিয়া।

খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। ইসলামী আন্দোলন থেকে আলোচনায় আছেন জেলা সেক্রেটারি আসাদুল্লাহ আল গালিব।

জেলায় এনসিপির নির্বাচনী কার্যক্রম এখনো দৃশ্যমান নয়। তবে দলটির নেতারা বলছেন, শিগগির খুলনার ছয়টি আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...