Ajker Patrika

ট্রাকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি বন্ধ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
Thumbnail image

ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারতীয় প্রত্যেক ট্রাক থেকে ২০০ রুপি করে চাঁদা আদায় শুরু করলে চালকেরা তা দিতে অস্বীকার করে ট্রাক চালানো বন্ধ করে দেয়। আজ বুধবার দুপুর ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ৫০টির মতো ট্রাক প্রবেশ করে ভোমরা স্থলবন্দরে। 
 
ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি মাসের প্রথম দিকে ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ভারতীয় ট্রাকপ্রতি ২০০ রুপি হারে চাঁদা আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। তবে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা রপ্তানিকারক ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের চাঁদাবাজি সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

কিন্তু আজ সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকপ্রতি ২০০ রুপি হারে চাঁদা আদায় শুরু করলে উভয় দেশের আমদানি রপ্তানি কারকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যে কারণে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারেরা জিরো পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রাক আড় করে দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চাঁদা না নেওয়ার শর্তে বেলা ১টার দিকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। তবে বিকেল ৪টার দিকে ট্রাকপ্রতি আবারও টাকা দাবি করলে ওপারে সংগঠিত হয়ে ট্রাক ঢোকানো বন্ধ করে দেয় ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারেরা।  

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম আজকের পত্রিকাকে বলেন,  পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নামে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রতি ২০০ রুপি হারে চাঁদাবাজি শুরু করলে আমদানিকারকেরা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। পরে চাঁদা না নেওয়ার শর্তে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম আবারও শুরু হওয়ার পর বেলা ৪টার দিকে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম। 

ভোমরা ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকেল ৪টা থেকে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। 

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাইনম্যানদের মজুরিসহ আনুসঙ্গিককাজে অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাকপ্রতি ২০০ রুপি নেওয়ার। আমরা ওপারেও কথা বলেছি। বিষয়টি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত