Ajker Patrika

বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকদের উন্নয়নে কথা রাখেনি কেউ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মে ২০২৪, ২১: ৩৬
Thumbnail image

বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ে যশোর বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকদের অবদান থাকলেও তাঁদের ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন নেই। কাজে স্বাস্থ্যঝুঁকি আর নিরাপদে পণ্য খালাসের সরঞ্জামটুকুও পান না তাঁরা। তবে, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

জানা যায়, দেশের স্থলপথে ভারতের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যে হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। আমদানির পরিমাণ বছরে ৪০ হাজার কোটি আর রপ্তানি আট হাজার কোটি টাকা। বন্দরে এসব পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণে বড় ভূমিকা রাখছে বন্দর শ্রমিকেরা। সপ্তাহে সাত দিনে ২৪ ঘণ্টা পণ্য খালাসের কাজ করতে হয় তাঁদের। 

নিরাপদ সরঞ্জামের অভাবে ভারী মালামাল থেকে শুরু করে অ্যাসিডের মতো পদার্থ ওঠানামানোর কাজ করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। পরিবেশদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকি তো আছেই। বন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে নেভাতেও ভূমিকা থাকে এই শ্রমিকদের। ভারী পণ্যের চাপায়, অ্যাসিডে পুড়ে জীবনও হারিয়েছেন কয়েকজন। 

বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ করছেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকাকাজের নিরাপত্তায় হেলমেট আর হ্যান্ডস গ্লাভসের দাবি জানালেও এ পর্যন্ত সরবরাহ করেননি সংশ্লিষ্টরা। পাননি চিকিৎসাসেবায় প্রত্যাশিত হাসপাতাল। নেই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। বন্দর পরিদর্শনে এসে অনেকেই শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়নে নানান প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেননি কেউ। এ নিয়ে ক্ষোভ জানান শ্রমিকেরা। 

কয়েকজন শ্রমিকে জানান, ভারী পণ্য খালাসে নিরাপদ সরঞ্জাম মেলে না। খালি হাতে অ্যাসিড ও হেলমেট ছাড়া পাথর খালাস করতে হয়। কাজের স্বার্থে ন্যায্য অধিকার থেকেও বঞ্চিত তাঁরা। 

এ বিষয়ে বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান ওহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেনাপোল বন্দরে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজে ৯২৫ ও ৮৯১ দুটি শ্রমিক ইউনিয়নভুক্ত প্রায় দুই হাজার শ্রমিক রয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে বন্দর শ্রমিকদের ভূমিকা বেশি। তাদের অধিকার বাস্তবায়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ 

বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ করছেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকাবেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে শ্রমিকদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও বিশ্রামে ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দরে শ্রমিকসহ সর্বসাধারণের জন্য একটি হাসপাতাল ও স্কুল তৈরির জন্য জায়গা অধিগ্রহণে কাজ চলমান আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত