Ajker Patrika

খুবি শিক্ষার্থী নোমানের ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন, যে ব্যাখ্যা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

খুবি প্রতিনিধি 
খুবি শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান। ছবি: সংগৃহীত
খুবি শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান। ছবি: সংগৃহীত

আম পাড়াকে কেন্দ্র করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকিকে লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়ের হওয়া ‘হত্যাচেষ্টা’র মামলা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানের তিন দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত মোবারক হোসেন বাংলা ডিসিপ্লিনের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

রিমান্ড আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইশরিয়াক কবির বলেন, ‘২০-৩০ জনকে নিয়ে কেউ হত্যা করতে আসে না। তার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। হয়তো তাৎক্ষণিক মেজাজ হারিয়ে এমন করেছে। এটার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করি।’

এদিকে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, নোমানের রিমান্ডের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের অন্তরায়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই শিক্ষার্থী নোমানের রিমান্ডসংক্রান্ত বিষয়ে একটি অসত্য তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে রিমান্ডের আবেদন করার কোনো ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় রাখে না। এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজের একটি প্রক্রিয়া, যা তারা স্বাধীনভাবে পরিচালনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় এতে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।

হত্যাচেষ্টা মামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রিমান্ডের বিষয়ে আমরা জানি না, আমরা তো রিমান্ডের জন্য বলিনি। আমরা হত্যাচেষ্টা-সংক্রান্ত ৩০৭ ধারাটি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে একটি চিঠি দিয়েছি।’

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিনা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নোমানকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। আজ আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩০৭ ধারাটি (হত্যাচেষ্টার অভিযোগ) প্রত্যাহারের জন্য একটি চিঠি দিয়েছে। তবে মামলাটি এখন তদন্তাধীন অবস্থায় আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে নয়। তদন্তে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে চার্জশিট দাখিল হবে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে ২ মে বিকেলে আম পাড়ার দায়ে চার শিক্ষার্থীকে চোর সাব্যস্ত করার অভিযোগ ওঠে। এরপর সন্ধ্যায় প্রতিবাদ জানাতে ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আম পাড়তে যান। সেখানে ভুক্তভোগী শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকি লাঞ্ছনার শিকার হন।

ঘটনার দিন রাতেই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তিন দফা দাবি জানান। এরপর বিকেলে সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্ত ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার, ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং তার স্নাতক সনদ সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এবার প্রশাসনিক কাজে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত কুয়েট শিক্ষক সমিতির

বন্দর-করিডর আপনার এখতিয়ারে নেই, বিদেশি উপদেষ্টাকে বিদায় করুন: ইউনূসকে সালাহউদ্দিন

জামায়াতের কেউ ইমাম-মুয়াজ্জিন হতে পারবে না: আটঘরিয়ায় হাবিব

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প স্থবির

দায়িত্ব পেয়েই ‘অনিয়ম দুর্নীতিতে’ মাসুদ রানা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত