গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
অনাবৃষ্টির কারণে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মেহেরপুরের গাংনীর চাষিরা। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। পাট নিয়ে চাষিরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। আর আকাশ থেকে যতটুকু বৃষ্টি হচ্ছে তা দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। আর এই সুযোগে পুকুর মালিকেরা মাছ ধরে নিয়ে পাট জাগ দেওয়ার জন্য পুকুর ভাড়া দিতে শুরু করেছে। এ কারণে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
জানা গেছে, গত বছর বিঘাপ্রতি পাট চাষিদের কাছ থেকে পুকুর মালিকেরা ১২ শ থেকে ১৫ শ টাকা করে নিয়েছেন। এ বছর পুকুর ভাড়া আরও বেশি নেবে বলে শোনা যাচ্ছে।
উপজেলার বামন্দী মাঠের পাট চাষি আলফাজ উদ্দিন বলেন, ‘গত বছর পানির অভাবে পাট জাগ দিতে সমস্যা হয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে অন্যের পুকুরে ১৫ শ টাকা ভাড়া দিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছিল। তাতে বাড়তি টাকা গুনতে হয়েছিল আমাদের। সবকিছুর খরচ বেড়ে গেছে। মজুরি খরচ জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাটের ছাল ছাড়ানো খরচ, গাড়ি ভাড়া করে জমি থেকে পুকুরে আনা সব মিলিয়ে অনেক খরচ বেড়ে গেছে। তবে পাটের ভালো দাম পেলে লোকসান গুনতে হবে না চাষিদের।’
উপজেলার তেরাইল মাঠের পাট চাষি আব্দুস সাত্তার বলেন, কিছুদিন আগেও যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল খাল-বিল পুকুরে পানি জমবে। কিন্তু তারপর থেকে আর তেমন পানির দেখা মেলেনি। তাই সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে হবে মনে হচ্ছে। আর এভাবে পাট জাগ বা পচন দিতে গিয়ে বড় অঙ্কের টাকা গুনতে হবে কৃষকের।
ভরাট গ্রামের পাট চাষি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘তেরাইল ভরাট গ্রামের খালে যে পানি আছে তাতে পাট পচাতে গিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে। কারণ যে পানি রয়েছে তাতে পাট ডোবানো যাচ্ছে না। তারপরও পাট জাগ দিতে গিয়ে মনে হচ্ছে সিরিয়াল দিতে হবে। অনেকে নিজের জমিতে গর্ত করে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে পাট পচাচ্ছে। এক বিঘা পাট আবাদ করে ঘরে তুলতে গিয়ে খরচ হয়ে যাচ্ছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। আর পাট বিক্রি করে মূল টাকা উঠবে কিনা সন্দেহ। তবে যদি দাম ভালো থাকে তাহলে লোকসান গুনতে হবে না।’
করমদী গ্রামের পুকুর মালিক মো. ইজাজ উদ্দিন বলেন, ‘পুকুরে এবার তেমন মাছ ছিল না। তাই যা ছিল ধরে বিক্রি করে দিয়েছি। বিঘাপ্রতি পাট জাগ দিতে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে পাব। পাটের মৌসুম চলে গেলে পুকুরের পানি শোধন করে আবার মাছ চাষ করব।’
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত বছর উপজেলায় সাড়ে ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছিল। অনাবৃষ্টির কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল চাষিদের। চলতি বছর ৮ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম ভোগান্তি হবে পাট চাষিদের। পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হবে তাদের। বৃষ্টি হলে এই দুর্ভোগ থাকবে না। তা ছাড়া রিবোন পদ্ধতি ব্যবহার করলে চাষির কিছুটা খরচ কমবে।’
অনাবৃষ্টির কারণে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মেহেরপুরের গাংনীর চাষিরা। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। পাট নিয়ে চাষিরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। আর আকাশ থেকে যতটুকু বৃষ্টি হচ্ছে তা দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। আর এই সুযোগে পুকুর মালিকেরা মাছ ধরে নিয়ে পাট জাগ দেওয়ার জন্য পুকুর ভাড়া দিতে শুরু করেছে। এ কারণে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
জানা গেছে, গত বছর বিঘাপ্রতি পাট চাষিদের কাছ থেকে পুকুর মালিকেরা ১২ শ থেকে ১৫ শ টাকা করে নিয়েছেন। এ বছর পুকুর ভাড়া আরও বেশি নেবে বলে শোনা যাচ্ছে।
উপজেলার বামন্দী মাঠের পাট চাষি আলফাজ উদ্দিন বলেন, ‘গত বছর পানির অভাবে পাট জাগ দিতে সমস্যা হয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে অন্যের পুকুরে ১৫ শ টাকা ভাড়া দিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছিল। তাতে বাড়তি টাকা গুনতে হয়েছিল আমাদের। সবকিছুর খরচ বেড়ে গেছে। মজুরি খরচ জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাটের ছাল ছাড়ানো খরচ, গাড়ি ভাড়া করে জমি থেকে পুকুরে আনা সব মিলিয়ে অনেক খরচ বেড়ে গেছে। তবে পাটের ভালো দাম পেলে লোকসান গুনতে হবে না চাষিদের।’
উপজেলার তেরাইল মাঠের পাট চাষি আব্দুস সাত্তার বলেন, কিছুদিন আগেও যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল খাল-বিল পুকুরে পানি জমবে। কিন্তু তারপর থেকে আর তেমন পানির দেখা মেলেনি। তাই সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে হবে মনে হচ্ছে। আর এভাবে পাট জাগ বা পচন দিতে গিয়ে বড় অঙ্কের টাকা গুনতে হবে কৃষকের।
ভরাট গ্রামের পাট চাষি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘তেরাইল ভরাট গ্রামের খালে যে পানি আছে তাতে পাট পচাতে গিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে। কারণ যে পানি রয়েছে তাতে পাট ডোবানো যাচ্ছে না। তারপরও পাট জাগ দিতে গিয়ে মনে হচ্ছে সিরিয়াল দিতে হবে। অনেকে নিজের জমিতে গর্ত করে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে পাট পচাচ্ছে। এক বিঘা পাট আবাদ করে ঘরে তুলতে গিয়ে খরচ হয়ে যাচ্ছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। আর পাট বিক্রি করে মূল টাকা উঠবে কিনা সন্দেহ। তবে যদি দাম ভালো থাকে তাহলে লোকসান গুনতে হবে না।’
করমদী গ্রামের পুকুর মালিক মো. ইজাজ উদ্দিন বলেন, ‘পুকুরে এবার তেমন মাছ ছিল না। তাই যা ছিল ধরে বিক্রি করে দিয়েছি। বিঘাপ্রতি পাট জাগ দিতে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে পাব। পাটের মৌসুম চলে গেলে পুকুরের পানি শোধন করে আবার মাছ চাষ করব।’
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত বছর উপজেলায় সাড়ে ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছিল। অনাবৃষ্টির কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল চাষিদের। চলতি বছর ৮ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চরম ভোগান্তি হবে পাট চাষিদের। পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হবে তাদের। বৃষ্টি হলে এই দুর্ভোগ থাকবে না। তা ছাড়া রিবোন পদ্ধতি ব্যবহার করলে চাষির কিছুটা খরচ কমবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৪ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৫ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৬ ঘণ্টা আগে