কেশবপুরে জলাবদ্ধতা
কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর (যশোর)
যশোরের কেশবপুরে জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে হচ্ছে না বোরো আবাদ। গত বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টি ও নদ-নদীর উপচে পড়া পানিতে এলাকার মাঠঘাট জলাবদ্ধ হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, কৃষকেরা ওই সব জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে না পারায় ১২ হাজার ৩০০ টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে ৩২ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের। এ ছাড়া এলাকায় গোখাদ্যেরও (বিচালি) সংকট দেখা দেবে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৪২৫ হেক্টরে। তার মধ্যে অর্জিত হয়েছে ১২ হাজার ৭৯০ হেক্টরে। জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নে ২২৪ হেক্টর, বিদ্যানন্দকাটিতে ১২৫ হেক্টর, কেশবপুর সদরে ১১৫ হেক্টর, মঙ্গলকোটে ১৫ হেক্টর, পাঁজিয়ায় ৪৭০ হেক্টর, সুফলাকাটিতে ১ হাজার ৫০ হেক্টর ও গৌরীঘোনা ইউনিয়নে ৫১ হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ হচ্ছে না। যে কারণে কৃষি অফিসের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি।
উপজেলার বাগদহা গ্রামের কৃষক মশিয়ার রহমান বলেন, ‘বাগদহা বিলে গত বছর বোরো আবাদ হয়েছিল। জলাবদ্ধতার কারণে আমি এবার ৫ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করতে পারিনি। বিলের তিন ভাগের দুই ভাগ এখনো জলাবদ্ধ রয়েছে।’
২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক বাবর আলী গোলদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদ-নদী পলিতে ভরাট হওয়ায় এলাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়ছে। যে কারণে ভবদহ অঞ্চলের কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি, পাঁজিয়া ও গৌরীঘোনা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা কারণে ৭০-৮০ ভাগ জমিতে এবার বোরো আবাদ হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, নদ-নদী খননের পাশাপাশি ভবদহ অঞ্চলের যেকোন একটি বিলে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু করা না হলে প্রতিবছর জলাবদ্ধতা আরও বৃদ্ধি পাবে। কৃষক এভাবে বোরো আবাদ থেকে বঞ্চিত হতে থাকলে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এভাবে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেতে থাকলে একসময় জলাবদ্ধ অঞ্চলের মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হবেন।
এ বিষয়ে পাঁজিয়া ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য বৈদ্যনাথ সরকার বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে বাগডাঙ্গা-মনোহরনগর বিলে বোরো আবাদ হচ্ছে না। এখনো গ্রামের কিছু কিছু মানুষের বাড়ি জলাবদ্ধ রয়েছে।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কিরন্ময় সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে এবার উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে না। এ কারণে কৃষকেরা ১২ হাজার ৩০০ টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জলাবদ্ধ না থাকলে ওই সব জমিতে ৩২ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ধান উৎপাদন করা সম্ভব হতো।
যশোরের কেশবপুরে জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে হচ্ছে না বোরো আবাদ। গত বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টি ও নদ-নদীর উপচে পড়া পানিতে এলাকার মাঠঘাট জলাবদ্ধ হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
জানা গেছে, কৃষকেরা ওই সব জমিতে বোরো ধান আবাদ করতে না পারায় ১২ হাজার ৩০০ টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে ৩২ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের। এ ছাড়া এলাকায় গোখাদ্যেরও (বিচালি) সংকট দেখা দেবে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৪২৫ হেক্টরে। তার মধ্যে অর্জিত হয়েছে ১২ হাজার ৭৯০ হেক্টরে। জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নে ২২৪ হেক্টর, বিদ্যানন্দকাটিতে ১২৫ হেক্টর, কেশবপুর সদরে ১১৫ হেক্টর, মঙ্গলকোটে ১৫ হেক্টর, পাঁজিয়ায় ৪৭০ হেক্টর, সুফলাকাটিতে ১ হাজার ৫০ হেক্টর ও গৌরীঘোনা ইউনিয়নে ৫১ হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ হচ্ছে না। যে কারণে কৃষি অফিসের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি।
উপজেলার বাগদহা গ্রামের কৃষক মশিয়ার রহমান বলেন, ‘বাগদহা বিলে গত বছর বোরো আবাদ হয়েছিল। জলাবদ্ধতার কারণে আমি এবার ৫ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করতে পারিনি। বিলের তিন ভাগের দুই ভাগ এখনো জলাবদ্ধ রয়েছে।’
২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক বাবর আলী গোলদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদ-নদী পলিতে ভরাট হওয়ায় এলাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়ছে। যে কারণে ভবদহ অঞ্চলের কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি, পাঁজিয়া ও গৌরীঘোনা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা কারণে ৭০-৮০ ভাগ জমিতে এবার বোরো আবাদ হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, নদ-নদী খননের পাশাপাশি ভবদহ অঞ্চলের যেকোন একটি বিলে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু করা না হলে প্রতিবছর জলাবদ্ধতা আরও বৃদ্ধি পাবে। কৃষক এভাবে বোরো আবাদ থেকে বঞ্চিত হতে থাকলে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এভাবে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেতে থাকলে একসময় জলাবদ্ধ অঞ্চলের মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হবেন।
এ বিষয়ে পাঁজিয়া ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য বৈদ্যনাথ সরকার বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে বাগডাঙ্গা-মনোহরনগর বিলে বোরো আবাদ হচ্ছে না। এখনো গ্রামের কিছু কিছু মানুষের বাড়ি জলাবদ্ধ রয়েছে।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কিরন্ময় সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে এবার উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে না। এ কারণে কৃষকেরা ১২ হাজার ৩০০ টন ধান উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জলাবদ্ধ না থাকলে ওই সব জমিতে ৩২ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ধান উৎপাদন করা সম্ভব হতো।
কোস্ট গার্ড জানায়, এফবি জামিলা নামের ট্রলারটি ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের ফিসারি ঘাট থেকে সমুদ্রে মাছ শিকারে যায়। একদিন পরই ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় তাঁরা তীরে যোগাযোগ করতে পারেনি। সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে গতকাল তাঁরা নেটওয়ার্ক পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন কল করে সহযোগিতা..
৯ মিনিট আগেপুশ ইনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান। এর আগে গত ১১ জুলাই একই উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১০ নারী-পুরুষকে পুশ ইন করে বিএসএফ।
২৪ মিনিট আগেরাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় এর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ..
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই আবার অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ স্থানীয় যানবাহন।
৭ ঘণ্টা আগে