Ajker Patrika

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি­
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১: ০১
Thumbnail image
চুয়াডাঙ্গায় কুপিয়ে জখম করা ছাত্রদল নেতাকে ফয়সাল হোসেন বিদ্যুৎকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল হোসেন বিদ্যুৎকে (২৮) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে শহরতলির দৌলতড়িয়ারের মাথাভাঙ্গা ব্রিজ-সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় রাত ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

বিদ্যুৎ দৌলতদিয়ার সরদারপাড়ার মোহর আলীর ছেলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল ইকবাল বলেন, ‘কলেজ ছাত্রদলের একজন কর্মীর প্রেমঘটিত একটি বিষয়ের মীমাংসার জন্য বিদ্যুতের সঙ্গে বসেছিল দুটি পক্ষ। মীমাংসা মনঃপূত না হওয়ায় একই এলাকার আকাশ, মেন্টাল তমাল, রবিনসহ কয়েকজন তাকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে শুনেছি। এরা যুবলীগের কর্মী। বিদ্যুৎ সবাইকে চেনে, যারা তার ওপর হামলা চালিয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট এহসানুল হক তন্ময় বলেন, ‘রোগীর দুই হাত, ঘাড়, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গভীর জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়াসহ হাসপাতাল থেকে তাঁকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তবে অবস্থা সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় এবং উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গায় কুপিয়ে জখম করা ছাত্রদল নেতাকে ফয়সাল হোসেন বিদ্যুৎকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চুয়াডাঙ্গায় কুপিয়ে জখম করা ছাত্রদল নেতাকে ফয়সাল হোসেন বিদ্যুৎকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হোসেন আলী বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, ফয়সাল হোসেন বিদ্যুতের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাজান খান ও মোমিনুর রহমান মোমিন মালিতা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তারে করে শাস্তির আওতায় আনা না হলে পরে দুষ্কৃতকারীদের কোনো ক্ষতির বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ কোনো দায় নেবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত