Ajker Patrika

২৩ কোটি টাকা ঋণ: চলচ্চিত্র প্রযোজক গোলাম মোর্শেদের বাড়ি ইসলামী ব্যাংকের দখলে

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩, ২২: ২০
২৩ কোটি টাকা ঋণ: চলচ্চিত্র প্রযোজক গোলাম মোর্শেদের বাড়ি ইসলামী ব্যাংকের দখলে

যশোরের বেনাপোলে ২৩ কোটি টাকা ঋণখেলাপির দায়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও সন্ধানী কথাচিত্রের স্বত্বাধিকারী গোলাম মোর্শেদের বাড়ি দখলে নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। 
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামী ব্যাংকের বেনাপোল শাখার ম্যানেজার মোস্তফা মেহেদী হোসাইন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার যশোরের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও অর্থঋণ আদালতের নির্দেশে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল গোলাম মোর্শেদের বাড়িটি ইসলামী ব্যাংককে বুঝিয়ে দেয়।

বেনাপোল পৌরসভার বাহাদুরপুর রোডের ভবেরবেড় মৌজায় নির্মিত বাড়িটির দখল বুঝে নেন ইসলামী ব্যাংক বেনাপোল শাখার ম্যানেজার। পরে বাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে জমি ও বাড়ি মর্টগেজ রেখে ইসলামী ব্যাংক বেনাপোল শাখা থেকে ২৩ কোটি টাকা ঋণ নেন গোলাম মোর্শেদ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হন তিনি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২৩ কোটি টাকা উদ্ধারের জন্য যশোরে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ব্যাংকের পক্ষে রায় দেন আদালত।

এরপর শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জমি ও বাড়ি ব্যাংকের অনুকূলে রেজিস্ট্রি হয়। ওই বছর থেকে বাড়ির জমির খাজনাদি পরিশোধ করে আসছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দীর্ঘদিনেও গোলাম মোর্শেদ দখল ছেড়ে না দেওয়ায় বাড়ি উদ্ধারের জন্য আদালতে আবেদন করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ব্যাংককে বাড়ির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন অর্থঋণ আদালত।

আদালতের নির্দেশে সার্ভেয়ার গোলাম মোস্তফা ও শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল ওই বাড়িটি ব্যাংকের ম্যানেজারকে বুঝিয়ে দেন।

ইসলামী ব্যাংক বেনাপোল শাখার ম্যানেজার মোস্তফা মেহেদী হোসাইন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের পাঠানো প্রতিনিধিদল এসে জমি ও বাড়ির দখল আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। এই জমি ও বাড়ি এখন ব্যাংকের নিজস্ব সম্পত্তি। পরবর্তীকালে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবে।’

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোলাম মোর্শেদের বাড়ি বেনাপোলের ঘিবা গ্রামে। পেশায় কৃষক হলেও তাঁর ছোট ভাই বাবুল আক্তার সার আমদানি করে কোটিপতি হন। পরে গোলাম মোর্শেদ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাল আমদানির ব্যবসা শুরু করেন। দিন দিন বেড়ে যায় ব্যবসার পরিসর। বেনাপোলে একটি বাড়ি, একটি বাগানবাড়ি ও কাগজপুকুর এলাকায় অটোরাইস মিল করেন।

এরপর সন্ধানী কথাচিত্রের ব্যানারে চলচ্চিত্র তৈরি করেন। কয়েকটি চলচ্চিত্র ফ্লপ করায় গোলাম মোর্শেদ নিজেকে গুটিয়ে নেন। একই ব্যাংকের শাখা থেকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ নেন তার ছোট ভাই বাবুল আক্তার। এ ঘটনায় বাবুলের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে ঋণখেলাপির মামলা চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত