Ajker Patrika

মোংলায় বাবার লাশের দাবিতে ছেলের সংবাদ সম্মেলন

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০: ৩২
মোংলায় বাবার লাশের দাবিতে ছেলের সংবাদ সম্মেলন

মোংলা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চিংড়ি বণিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি মাহে আলমকে অপহরণের পর খুন এবং এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ছোট ছেলে সুমন রানাসহ পরিবারের সদস্যরা। 

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে মোংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুমন রানা অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ এপ্রিল সকালে মোংলা পৌর এলাকার মামার ঘাট থেকে স্থানীয় মোশারেফ হোসেন নামের এক মাঝি তার বাবার হাত ধরে দাকোপ থানার বানীশান্তা ঘাটের দিকে নিয়ে যান। এরপর মাহে আলমকে বানীশান্তা ঘাট থেকে অপহরণ করে সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে যান মোশারেফ মাঝিসহ অজ্ঞাতরা, যা মোংলা পোর্ট পৌরসভার সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে পাওয়া গেছে। 

মাহে আলমকে অপহরণের তিন দিন পর ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল এলাকা থেকে একটি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে খুলনার দাকোপ থানার পুলিশ। ওই লাশের পরনে থাকা শার্ট-প্যান্ট মাহে আলমের বলে শনাক্ত করে তাঁর পরিবার। কিন্তু লাশের পরনে ছিল ৭ এপ্রিল বন বিভাগের অভিযানকালে নদীতে পড়ে নিখোঁজ মোংলার চিলা এলাকার জেলে হিলটন নাথের লুঙ্গি ও গেঞ্জি। 

এরপর সেই লাশ হিলটনের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দাকোপ থানার পুলিশ। এ ঘটনায় লাশের দাবিতে মোংলা ও দাকোপ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তবে এ ঘটনায় মোংলায় থানায় জিডি করেছে মাহে আলমের পরিবার। 

ওই লাশ মাহে আলমের বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ১০ এপ্রিলের ওই ঘটনার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ ২০ এপ্রিল মোংলা পোর্ট পৌরসভা থেকে সংগ্রহের পর মাহে আলমকে অপহরণ ও খুনের বিষয়ে নিশ্চিত হয় তার পরিবার। 

এরপর ২৪ এপ্রিল এ ঘটনায় মোংলা থানায় মামলা করতে গেলে লাশ পাওয়ার স্থান দাকোপ থানা বলে ফিরিয়ে দেয় মোংলা থানা। আর মাহে আলমের বাড়ি মোংলায় হওয়ায় ফিরিয়ে দেয় দাকোপ থানার পুলিশ। অবশেষে মামলা না নেওয়ার ঘটনায় ও মাহে আলমকে জীবিত অথবা লাশ হলেও ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পরিবারটি। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাহে আলমের বড় ছেলে সোহেল রানা, ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন, সরোয়ার হোসেন, জসিমউদ্দীন, পরিবারের অপর সদস্য নুরআলম শেখ, জাহিদ হোসেন ও খায়রুল হোসেন। 

এ বিষয়ে খুলনার দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন, ‘সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি হিলটনের বলে তাঁর মা-বাবা শনাক্ত করে নিয়ে যান। পরে মাহে আলমের পরিবার লাশ তাদের দাবি করে এখানে একটি জিডি করেছেন। তবে লাশের ডিএনএ নমুনা রাখা হয়েছে, পরীক্ষা করে জানা যাবে লাশটি কার। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, যেহেতু লাশটি দাকোপ থানার অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হয়েছে এবং দাকোপ থানায় হত্যা মামলাও হয়েছে। এ নিয়ে মামলার তদন্তকাজও চলছে। তাই একই ঘটনায় দুই থানায় মামলা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া ওই লাশটি হিলটনের বলে তার পরিবার নিয়েও গেছে। এদিকে একই লাশটি মাহে আলমের বলে তাঁর পরিবার দাবি করছে। এখন ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ার পর শনাক্ত করা সম্ভব হবে লাশটি মূলত কার ছিল। সেটি শনাক্ত হলেই ওই মামলায় তা সম্পৃক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত