ইবি প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেলেন ছাত্রলীগের নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্ত। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তাঁদের চূড়ান্ত বক্তব্য শোনেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। একই সময় ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুনের বক্তব্যও শুনেছেন কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাওয়াবিয়া।
সূত্রে জানা যায়, সভায় সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ অভিযুক্তরা নির্দোষ দাবি করে নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়ে যান। অপর দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন তাঁদের অভিযুক্ত করে বক্তব্য দেন। সবগুলো বিষয় নিয়ে আগামী ৮ জুলাই অভিযুক্তদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। তবে, অন্যদিনের চেয়ে আজ অভিযুক্তদের কথাবার্তায় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে বলে জানান সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন।
এ বিষয়ে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, ‘আমাদের ডাকা হয়েছিল। আমাদের থেকে প্রশাসন আগে কয়েকবার প্রতিবেদন লিখিত নিয়েছে। আজ আবারও জিজ্ঞাসা করছিল কোনো নতুন বা অতিরিক্ত তথ্য যোগ করতে চাই কি না।’
এ বিষয়ে প্রক্টর শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘এর আগের ছাত্র শৃঙ্খলার সভায় আত্মসমর্থনের জন্য সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে তারা উপস্থিত হয়ে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে এই বিষয়টির ইতি টানতে হবে।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুনকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ফুলপরী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা মেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া গত ৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেলেন ছাত্রলীগের নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্ত। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তাঁদের চূড়ান্ত বক্তব্য শোনেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। একই সময় ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুনের বক্তব্যও শুনেছেন কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাওয়াবিয়া।
সূত্রে জানা যায়, সভায় সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ অভিযুক্তরা নির্দোষ দাবি করে নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়ে যান। অপর দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন তাঁদের অভিযুক্ত করে বক্তব্য দেন। সবগুলো বিষয় নিয়ে আগামী ৮ জুলাই অভিযুক্তদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। তবে, অন্যদিনের চেয়ে আজ অভিযুক্তদের কথাবার্তায় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে বলে জানান সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন।
এ বিষয়ে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, ‘আমাদের ডাকা হয়েছিল। আমাদের থেকে প্রশাসন আগে কয়েকবার প্রতিবেদন লিখিত নিয়েছে। আজ আবারও জিজ্ঞাসা করছিল কোনো নতুন বা অতিরিক্ত তথ্য যোগ করতে চাই কি না।’
এ বিষয়ে প্রক্টর শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘এর আগের ছাত্র শৃঙ্খলার সভায় আত্মসমর্থনের জন্য সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে তারা উপস্থিত হয়ে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে এই বিষয়টির ইতি টানতে হবে।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুনকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ফুলপরী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা মেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া গত ৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা।
১৮ মিনিট আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রামছাড়া হয়েছে সাবেক এক ইউপি সদস্যের পরিবার। আব্দুর রাজ্জাক নামের সাবেক ওই ইউপি সদস্যের বাড়ি গোলপাশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর অভিযোগ, পাঁচ মাদক কারবারি তাঁর ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এ কারণে তিনি মামলা করলে আসামিরা তাঁকে মামলা তুলে নিতে
২২ মিনিট আগে৯ মাস পর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, মেরিনা জাহান কবিতাসহ আওয়ামী লীগের ৭৬ নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০-১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
২৭ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত এস এম কামাল হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ...
২৮ মিনিট আগে