Ajker Patrika

যশোর অঞ্চলের নদ-নদী অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবি

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২২: ২০
হরিহর নদীর অধিকাংশ স্থানে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদহ এলাকায়। ছবি: সংগৃহীত
হরিহর নদীর অধিকাংশ স্থানে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদহ এলাকায়। ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশের প্রতি জেলার একটি নদ-নদীকে বিশেষভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ পরিকল্পনায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান নদ ভৈরবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ ভৈরব নদের সঙ্গে চিত্রা, কপোতাক্ষ, হরিহর, বেতনাসহ শাখানদী ও খালগুলোর সংযোগ রয়েছে। ভৈরব-মাথাভাঙ্গা নদীর সংযোগ দিয়ে নদের প্রবাহ বজায় রাখা জরুরি। এতে পশ্চিমাঞ্চলের নদী, খাল, সুন্দরবন রক্ষা, মোংলা পোর্টের নাব্যতার সমস্যা, জলাবদ্ধতা, সমুদ্র উপকূলীয় সমস্যা ও নদী পানি ব্যবস্থাপনা, প্রাণ-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের নীলরতন ধর সড়কের অস্থায়ী কার্যালয়ে ভৈরব, মুক্তেশ্বরী, ভবদহ, কপোতাক্ষ নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ভৈরবের শাখানদী মুক্তেশ্বরী। এই নদী হরি, শ্রী, তেলিগাতী, গাংরাইল নামে প্রবাহিত হয়ে রূপসা-শিবসা ধারায় মিলিত হয়ে সাগরে পড়েছে। এই নদীর উজানে ভৈরবের পানিপ্রবাহ বন্ধ রয়েছে। এতে মুক্তেশ্বরীর উৎপত্তিস্থল থেকে যশোরের চৌগাছা উপজেলার সলুয়া বাজার পর্যন্ত ভরাট হয়ে গেছে। সেখান থেকে যশোর সদরের পুলেরহাট পর্যন্ত অবৈধ দখলদারের দৌরাত্ম্য ও ব্রিজের নামে কালভার্ট নির্মাণে নীতিমালা লঙ্ঘন করে নদীকে হত্যা করা হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে পুলেরহাটে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের নামে নদীতট আইন লঙ্ঘন শুধু নয়, নদীগর্ভ দখল ও ভরাট করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দখলের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদকে তারা তোয়াক্কা করেনি। বর্তমানে নদীর দুই পাড় কংক্রিট ঢালাই করে সংকীর্ণ কালভার্ট ও রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ড, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও নদী রক্ষা কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। নদী দখল হওয়ায় যশোর সেনানিবাসও জলাবদ্ধতার শিকার হতে পারে। একই সঙ্গে ভবদহ সংকটাপন্ন এলাকার সমস্যা সমাধানে মুক্তেশ্বরী নদীর অবৈধ স্থাপনা অপসারণ, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার প্রতি জেলায় একটি করে নদী দখল, দূষণমুক্ত ও সীমানা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে যশোরের কেশবপুরে আপার ভদ্রা নদীর সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দখল, দূষণমুক্ত করে সিএস ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা পিলার স্থাপন করে সংরক্ষণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দী ছিলেন শেখ মুজিব—পোস্ট ডিলিট করলেন সারজিস

রিল বানাতে গিয়ে যমুনায় তলিয়ে গেল ৬ কিশোরী

হামজা-সোহেলের গোলে বাংলাদেশের জয়

ইশরাককে মেয়রের শপথ পড়ানো স্থানীয় সরকারের হাতে, ইসির করণীয় শেষ: সানাউল্লাহ

নওফেলের বিদেশি স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত