Ajker Patrika

পরিষদে আসেন না চেয়ারম্যান, সচিবকে বের করে দিয়ে তালা ঝোলালেন সদস্যরা

আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২: ২১
পরিষদে আসেন না চেয়ারম্যান, সচিবকে বের করে দিয়ে তালা ঝোলালেন সদস্যরা

যশোরের মনিরামপুরের ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তাকে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য। আজ দুপুরে পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য (৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) আবেদা খাতুনের নেতৃত্বে পরিষদে এই তালা পড়েছে। 

ইউপি সদস্য আবেদা খাতুনের অভিযোগ, ‘৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে চেয়ারম্যান শামসুল হক মন্টু পরিষদে আসেন না। তিনি তাঁর দুজন অনুসারীকে দিয়ে পরিষদের সব কাজ করান। সচিব গোপনে অন্য জায়গায় গিয়ে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কাগজপত্র স্বাক্ষর করিয়ে আনেন। আমরা মেম্বাররা পরিষদে এসে বসে থেকে চলে যাই। কোনো কাজ করাতে পারি না।’ 

আবেদা খাতুন বলেন, ‘আজ রোববার দুপুরে আমার এলাকার এক দুস্থ নারী সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে পরিষদে আসেন। এ সময় সচিব সেলিনা খাতুন ওই নারীর কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় আমরা ৮-১০ জন মেম্বার সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমি সচিবকে ৩০০ টাকা নিয়ে জন্মনিবন্ধন করে দিতে বলি। তিনি কথা রাখেননি। একপর্যায়ে সচিব আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তখন আমি চেয়ারম্যানকে ফোনে বিষয়টি জানাতে চাই। চেয়ারম্যান আমার ফোন না ধরে সংযোগ কেটে দেন। এরপর আমরা ক্ষিপ্ত হয়ে সচিব ও উদ্যোক্তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। চেয়ারম্যানের কক্ষ আগের থেকে তালাবদ্ধ আছে। সেখানে আমরা নতুন তালা ঝুলাতে চেয়ে ঢোকাতে পারিনি। চেয়ারম্যান পরিষদে না আসা পর্যন্ত তালা ঝুলবে।’

এই নারী ইউপি সদস্যর অভিযোগ, ‘চেয়ারম্যান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইচ্ছামতো জনগণের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরিষদের কোনো ভাতার কার্ড আমাদের দেন না। নিজের পছন্দের লোক দিয়ে টাকার বিনিময়ে কার্ড বিক্রি করেন। আমাকেসহ আরও এক নারী সদস্যকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমরা মুখ খুলতে সাহস পাইনি।’

তালা ঝুলছে ঝাঁপা ইউপি সচিবের কক্ষেপরিষদের কোমলপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খালেদুর রহমান টিটো বলেন, ‘চেয়ারম্যান বহুদিন পরিষদে আসেন না। চেয়ারম্যানের দাপটে পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তা আমাদের মূল্যায়ন করেন না।’

ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সেলিনা খাতুন বলেন, ‘চেয়ারম্যান ৫ আগস্টের পর চার থেকে পাঁচ দিন পরিষদে এসেছেন। আমাদের পরিষদে অনলাইনে ট্যাক্স আদায় করা হয়। আজ রোববার যে নারী জন্মসনদের জন্য এসেছিলেন, তাঁর দুই বছরের ট্যাক্সের বকেয়া এসেছে এক হাজার টাকা। মেম্বাররা অনুরোধ করেছিলেন। আমরা বলেছি ট্যাক্সের টাকা কম নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ জন্য তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের কক্ষে তালা দিয়েছেন।’ 

ঝাঁপা ইউপির চেয়ারম্যান শামসুল হক মন্টু বলেন, ‘আমি নিয়মিত পরিষদে যাই। শুধু আজকে যেতে পারিনি। মেম্বারদের অভিযোগ সত্য না। পরিষদে তালা দেওয়ার বিষয়টি ইউএনওকে জানাতে ফোন দিয়েছি। তিনি ফোন ধরেননি।’ 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি খবর নিয়ে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত