Ajker Patrika

ঘন কুয়াশায় হলদে রং ধরেছে বীজতলায়, দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা

মাগুরা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯: ০৭
ঘন কুয়াশায় হলদে রং ধরেছে বীজতলায়, দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা

মাগুরায় শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঘন কুয়াশা। এতে নষ্ট হচ্ছে বীজতলা। অনেক জমিতে বীজতলা হলদে হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় কৃষকের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। বীজতলা নষ্ট হয়ে লোকসানে পড়তে হবে তাঁদের।

মাগুরা সদর উপজেলার গাঙনালিয়ার কৃষক আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘এক শতক জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছিলাম। উন্নত মানের ধানের বীজ বপন করার পর তা মাঠে লাগাতে প্রায় মাস খানিক সময় লাগে। কিন্তু বীজতলায় অধিকাংশ চারার মাথা হলদে হতে শুরু করেছে। এতে নতুন করে চারা লাগানো ছাড়া উপায় নেই।’

একই এলাকার কৃষক সবুর আলী বলেন, ‘ধানের চারা ঘন কুয়াশায় নষ্ট হতে শুরু করেছে। ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। এদিকে মাঠ চষা শেষ।

কিন্তু চারা নষ্ট হয়ে গেছে। রোদ পড়লে চষা মাঠ শক্ত হয়ে যাবে। তখন আবার টাকা খরচ করে মাঠ প্রস্তুত করতে হবে। আমরা কঠিন বিপদে পড়েছি।’

‘১ শতক বীজতলায় যে ধানের চারা হয়, এতে ৩৩ শতক বা এক বিঘা জমিতে ধান রোপণ করা যায়। আমার ২ শতক জমিতে বীজতলা ছিল। সব নষ্ট হয়ে গেছে।’ বলেন, তেরখাদা গ্রামের কৃষক কাশেম আলী।

এ ছাড়া আবালপুর, ছোটফারিয়া ও সত্যপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ বীজতলায় হলদে হয়ে চারা নষ্ট হতে শুরু করেছে।

স্থানীয়রা কৃষকেরা বলছেন, পলিথিন দিয়ে ঘিরে ধরলে কিছু চারা বাঁচানো যায়। কিন্তু বড় পলিথিনের দাম এখন অনেক। তাই অনেকে সামর্থ্য না থাকায় বীজতলা সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারছেন না।

মাগুরা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর বলেন, ‘ঘন কুয়াশায় বীজতলায় ক্ষতি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি পাতলা পলিথিন ব্যবহার করতে। এতে কিছুটা হলেও রক্ষা করা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত