Ajker Patrika

খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে শুরু

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

পরে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়। এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। উদ্বোধনী সভায় শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিএনপি নেত্রী রেহানা ঈসা।

দীর্ঘ ১৭ বছর সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নগরী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। এ ছাড়া সড়কে তোরণ নির্মাণসহ ডিজিটাল ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলা হয়েছে। নগরীর সার্কিট হাউস মাঠের সম্মেলন স্থলে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে।

এবারের সম্মেলনের উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, কাউন্সিলরদের ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা করা হয়েছে। ভোটাররা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচন করবেন। এর ফলে কাউন্সিলরদের প্রার্থীদের কাছে গুরুত্ব ও কদর বেড়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন করে মোট ছয়জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক তিনটি পদেও বিপরীতে ছয় নেতা প্রার্থী হয়েছেন।

নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে কাউন্সিল অধিবেশনে ভোটের মাধ্যমে ৫০৫ কাউন্সিলর তাঁদের নেতা নির্বাচন করবেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণের প্রায় ১৪ বছর পর মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙে ২০২১ সালরে ৯ ডিসেম্বর ৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ২০২২ সালে ১ মার্চ মহানগর বিএনপির ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্র। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক, সাবেক মহানগর ছাত্রদল ও যুবদলরে সভাপতি শফিকুল আলম তুহিনকে সদস্যসচিব করা হয়।

দলের শীর্ষ নেতারা জানান, আহ্বায়ক কমিটি নগরীর ৩৪টি ওয়ার্ড-ইউনিয়ন, ৫টি থানায় সম্মেলন শেষ করে মহানগর সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করেন। ইতিমধ্যে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদ হোসেন রনিকে আহ্বায়ক, ডা. রফিকুল হক বাবলু, হালিমা আক্তার খানম ও অধ্যাপক সাইদুর রহমানকে সদস্য করে চার সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

১৬ ফেব্রুয়ারি বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবীর রিজভী এ কমিটির অনুমোদন দেন।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. মাসুদ হোসেন রনি জানান, সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক অ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা, তারিকুল ইসলাম জহির, সাহাজী কামাল টিপু, সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন, কাজী মাহমুদ আলী ও নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছয়জন যথাক্রমে শরে আলম সান্টু, মাসুদ পারভেজ বাবু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, তারিকুল ইসলাম তারিক ও শেখ সাদী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে খুলনা মহানগর বিএনপির ‘স্মরণকালের সেরা’ সম্মেলন হবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান।

তিনি আরও জানান, প্রথম অধিবেশনে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রথম অধিবেশন শেষ হবে। বেলা সাড়ে ৩টায় দ্বিতীয় অধিবেশন কাউন্সিল খুলনা জেলা স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। একদিকে কাউন্সিল চলবে এবং সার্কিট হাউসের মাঠে সম্মেলনস্থলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, কাউন্সিলর, ডেলিগেট, আমন্ত্রিত অতিথিসহ প্রায় ১০ হাজার নেতা-কর্মীর সমাগম হবে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে। ইতিমধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

­যশোর প্রতিনিধি
ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

কাজ করে দিতে পাকা কলা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে বদলির আদেশ দিয়েছে দুদক।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) যশোরে গণশুনানি চলাকালে দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী এই আদেশ দেন। অবশ্য অভিযোগকারী রুস্তম আলীর দাবি, তাঁর কাছ থেকে পাকা কলা ছাড়াও ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন আলমগীর হোসেন। এরপর আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন, যা না দেওয়ায় জেলা পরিষদের জমির ডিসিআর অন্যকে দিয়ে দেন ওই কর্মকর্তা।

‘রুখব দুর্নীতি, গড়ব দেশ; হবে সোনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গণশুনানি আজ যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুনানিতে প্রধান অতিথি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন, ‘যতই দিন যাচ্ছে, ততই দুর্নীতি বাড়ছে। দুর্নীতির ধরন চেঞ্জ হচ্ছে। মানুষ পারাপার করেও টাকা আদায় করা যায়, দুর্নীতি করা যায়—এই যশোরে এসে নতুন দুর্নীতির ধরন শুনলাম। স্বৈরাচারের দোসর হোক, মামলার আসামি হোক—তারা যশোরের রাজনীতির এলিটদের মাধ্যমে ভারতে পার হচ্ছে। এটা যদি হয়, তাহলে রাষ্ট্রের প্রত্যাশা বিঘ্নিত হবে।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। দুদক দুর্নীতি একেবারে নির্মূল করতে পারবে—এটা প্রত্যাশিত নয়, তবে কমানো যাবে। আমরা শুনানির মাধ্যমে জনগণকে কর্মকর্তাদের মুখোমুখি করে দিচ্ছি না। আমি দুই পক্ষের মধ্যে সম্পৃক্ততা তৈরি করছি। এতে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হবে।’

দুর্নীতির কারণেই বিগত সরকারের পতন হয়েছে মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, সুষ্ঠু ও আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন হবে, সেটায় সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশটাকে ভালো রাখতে সৎ প্রার্থীকে বাছাই করতে হবে। আমরা যদি ১৫ বছরের ইতিহাস দেখি, সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছিল দুর্নীতি। বিগত সরকারের এই অবস্থা হওয়ার পেছনে ছিল দুর্নীতি। ফলে দুর্নীতিগ্রস্তকে বেছে নেবেন না। সেটিই হবে রাষ্ট্রের প্রতি সুবিচার। এই যশোর থেকে ন্যায়ের ও দুর্নীতিমুক্ত যাত্রাটা শুরু হবে।’

জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় দুর্নীতি দমন কমিশন যশোরের আয়োজনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী। শুনানি মডারেটর করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। শুনানিতে জেলার সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ৩৭টি দপ্তরের ৭৫টি অভিযোগের ওপর শুনানি গ্রহণ করা হয়। শুনানি শেষে কিছু বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ ও কিছু বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন দুদক চেয়ারম্যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট চেম্বারের নির্বাচন স্থগিত করল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন স্থগিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক সাঈদা পারভীন জানান, কয়েকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য এটি স্থগিত করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও পুনঃতফসিলের মাধ্যমে দুই বছর মেয়াদি (২০২৫-২৬) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে আগামী ১ নভেম্বর সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে প্রার্থী বাছাইসহ নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশালে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ১৩
বরিশাল নগরীতে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল নগরীতে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল নগরীতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম আজ রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাসেল গাজী (৪৫), মো. রোকন খান (৩৩), রাজিব জমাদ্দার (৩৫) ও জাহিদ হাওলাদার (৩৬)।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার অজিবর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় রাসেল, রাজিব ও জাহিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি রোকন খান মামলার বিচার চলাকালে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন।

অজিবর রহমান আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর গ্রেপ্তার এই চার আসামি অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তবে পুলিশ তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে নগরের একটি এলাকায় এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তখন গৃহবধূর বয়স ছিল ১৮ বছর। প্রথমে ৯ নভেম্বর ঘরে ঢুকে রাসেল গাজী তাঁকে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এর পরদিন ওই নারী বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। চালক তাঁকে নিয়ে ভুল পথে রওনা দেন। একপর্যায়ে আসামিরা মোটরসাইকেলে তাঁর পিছু নেন এবং নির্জন স্থানে পৌঁছে গৃহবধূকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেকনাফের গহিন পাহাড় থেকে উদ্ধার ৫ নারী ও শিশু, মানব পাচারকারী আটক

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
অভিযানে আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের টেকনাফের হাবিরছড়াসংলগ্ন গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে চার নারী ও এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় মানব পাচারকারী অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটক পাচারকারী টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিবছড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (৫৫)।

কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা সালাউদ্দিন রশিদ বলেন, আটক পাচারকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর উদ্দেশ্যে নারী-শিশুসহ কয়েকজনকে হাবিরছড়ার পাহাড়ি এলাকায় বন্দী করে রাখা হয়েছিল। গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর একটি বিশেষ দল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে চার নারী, এক শিশুসহ পাঁচজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্র উন্নত জীবনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরি ও অল্প খরচে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়া পাচারের ফাঁদে ফেলে। পাচারের আগে তাদের পাহাড়ি এলাকায় বন্দী রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হতো।

উদ্ধার ব্যক্তিদের ও আটক মানব পাচারকারীর বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত