যশোরের মনিরামপুরের দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা হলেন উপজেলার ঝাঁপা উত্তরপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ইলিয়াস কাঞ্চন, গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্ম শিক্ষক অর্পণা মণ্ডল ও কম্পিউটার শিক্ষক কাজল পাল।
গত ১৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা থেকে প্রকাশিত ৬৭৮ জন জাল সনদধারী শিক্ষকদের তালিকায় মনিরামপুরের এ তিন শিক্ষকের নিবন্ধন নম্বরও এসেছে। তালিকাটি গতকাল মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (এনটিআরসিএ) সনদ জাল করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করছেন। তাঁদের চাকরি বাতিল করাসহ শিক্ষক ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছ থেকে বেতন ভাতার ১২ লাখ ৪৬ হাজার ২৫০ টাকা, অর্পণা মণ্ডলের কাছ থেকে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫ টাকা ও কাজল পালের কাছ থেকে ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৩০ টাকা ফেরত চাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ফৌজদারি মামলা করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে এনটিআরসিএ সনদ যাচাই শুরু হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি দল তদন্ত করে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার সরেজমিন গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঘুরে ও মোবাইল ফোনে কথা হয় অভিযুক্ত ৩ শিক্ষকের সঙ্গে। শিক্ষক ইলিয়াস কাঞ্চন দাবি করেছেন, ২০০৫ সাল থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শুরু হয়। এর আগের বছর ২০০৪ সালের ২৮ এপ্রিল তিনি চাকরিতে যোগ দেন। ২০১০ সালে তিনি এমপিও হন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘এনটিআরসিএ সনদ চালু হওয়ার আগে চাকরি নিয়েছি। আজ (বুধবার) সকালে স্কুলে এসে জানতে পারি আমার সনদ জাল। যেখানে সনদ-ই নিইনি সেখান জাল হলো কীভাবে।’
এদিকে জাল সনদে চাকরি নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন শিক্ষক কাজল পাল ও অর্পণা মণ্ডল। পরে তাঁরা পরীক্ষা দিয়ে এনটিআরসিএ আসল সনদ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
কাজল পাল বলেন, ‘একটি এনজিওতে ভালো বেতনে চাকরি করতাম। ২০১২ সালের দিকে গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের কথা জানতে পারি। তখন উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্ররোচনায় তাকে ৫০ হাজার টাকা দিই। পরে তিনি ২০০৯ সালের একটি জাল নিবন্ধন সনদ এনে দেন।’
কাজল পাল আরও বলেন, ‘এরপর ওই বছরের মে মাসে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বেতন চালু হয়। ২০১৪ সালে সনদের বিষয়ে তদন্ত হয়। তবে প্রথমে জাল সনদে চাকরিতে ঢুকলেও পরবর্তীতে পরীক্ষা দিয়ে এনটিআরসিএর আসল সনদ নিয়েছি। সে সনদ পরে অধিদপ্তরে জমা দিয়েছি।’
অর্পণা মণ্ডল বলেন, ‘২০১০ সালের অক্টোবর মাসে নিয়োগ পাইছি। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বেতন ধরে। ২০১৩ সালে নিবন্ধন পাশ করে সনদ জমা দিয়েছি।’ তিনি জাল সনদ কীভাবে পেয়েছিলেন সে ব্যাপারে কিছু জানাতে চাননি।
মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘শুনেছি তিন শিক্ষকের জাল সনদ ধরা পড়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত কিছু পাইনি।’
যশোরের মনিরামপুরের দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা হলেন উপজেলার ঝাঁপা উত্তরপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ইলিয়াস কাঞ্চন, গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্ম শিক্ষক অর্পণা মণ্ডল ও কম্পিউটার শিক্ষক কাজল পাল।
গত ১৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা থেকে প্রকাশিত ৬৭৮ জন জাল সনদধারী শিক্ষকদের তালিকায় মনিরামপুরের এ তিন শিক্ষকের নিবন্ধন নম্বরও এসেছে। তালিকাটি গতকাল মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (এনটিআরসিএ) সনদ জাল করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করছেন। তাঁদের চাকরি বাতিল করাসহ শিক্ষক ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছ থেকে বেতন ভাতার ১২ লাখ ৪৬ হাজার ২৫০ টাকা, অর্পণা মণ্ডলের কাছ থেকে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫ টাকা ও কাজল পালের কাছ থেকে ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৩০ টাকা ফেরত চাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ফৌজদারি মামলা করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে এনটিআরসিএ সনদ যাচাই শুরু হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি দল তদন্ত করে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার সরেজমিন গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঘুরে ও মোবাইল ফোনে কথা হয় অভিযুক্ত ৩ শিক্ষকের সঙ্গে। শিক্ষক ইলিয়াস কাঞ্চন দাবি করেছেন, ২০০৫ সাল থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শুরু হয়। এর আগের বছর ২০০৪ সালের ২৮ এপ্রিল তিনি চাকরিতে যোগ দেন। ২০১০ সালে তিনি এমপিও হন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘এনটিআরসিএ সনদ চালু হওয়ার আগে চাকরি নিয়েছি। আজ (বুধবার) সকালে স্কুলে এসে জানতে পারি আমার সনদ জাল। যেখানে সনদ-ই নিইনি সেখান জাল হলো কীভাবে।’
এদিকে জাল সনদে চাকরি নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন শিক্ষক কাজল পাল ও অর্পণা মণ্ডল। পরে তাঁরা পরীক্ষা দিয়ে এনটিআরসিএ আসল সনদ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
কাজল পাল বলেন, ‘একটি এনজিওতে ভালো বেতনে চাকরি করতাম। ২০১২ সালের দিকে গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের কথা জানতে পারি। তখন উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্ররোচনায় তাকে ৫০ হাজার টাকা দিই। পরে তিনি ২০০৯ সালের একটি জাল নিবন্ধন সনদ এনে দেন।’
কাজল পাল আরও বলেন, ‘এরপর ওই বছরের মে মাসে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বেতন চালু হয়। ২০১৪ সালে সনদের বিষয়ে তদন্ত হয়। তবে প্রথমে জাল সনদে চাকরিতে ঢুকলেও পরবর্তীতে পরীক্ষা দিয়ে এনটিআরসিএর আসল সনদ নিয়েছি। সে সনদ পরে অধিদপ্তরে জমা দিয়েছি।’
অর্পণা মণ্ডল বলেন, ‘২০১০ সালের অক্টোবর মাসে নিয়োগ পাইছি। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বেতন ধরে। ২০১৩ সালে নিবন্ধন পাশ করে সনদ জমা দিয়েছি।’ তিনি জাল সনদ কীভাবে পেয়েছিলেন সে ব্যাপারে কিছু জানাতে চাননি।
মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘শুনেছি তিন শিক্ষকের জাল সনদ ধরা পড়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত কিছু পাইনি।’
রোববার (২০ জুলাই) ভোরে জহুরপুর বিওপির সীমান্ত পিলার ১৬/৫-এর কাছে ৫ জন চোরাকারবারি ভারতের অভ্যন্তরে যায়। সে সময় বিএসএফ চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ করলে ৪ জন পালিয়ে আসে। মোহম্মদ লালচান (২৫) বিএসএফের হাতে আটক হন। পরে চোরকারবারিরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশ ফেরত এনে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে পদ্মা নদী
৩৫ মিনিট আগেথেমে নেই হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব। ৭ বছর ধরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ে অবস্থান নিচ্ছিল একদল হাতি। দিনে বা রাতে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির পালের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ দুই উপজেলার বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ওষুধ বিক্রি না করায় রাজধানীর চকবাজারে এক ফার্মেসি মালিককে ছুরিকাঘাত করেছে এক তরুণ। এতে গুরুতর আহত হন ব্যবসায়ী মো. নাহিদুল ইসলাম (৩৭)। ঘটনার তিন দিন পর হামলাকারী ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে চকবাজার থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার তরুণের নাম সাদ্দাতুল ইসলাম আপন ভূঞা (২১)।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উপলক্ষে বিএনপির সহযোগী সংগঠন কৃষক দলের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের মাঠে বৃক্ষরোপণ করার সময় মানবিক বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। এ ঘটনায় উপস্থিত নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি
১ ঘণ্টা আগে