Ajker Patrika

বেনাপোল বন্দর দখল নিয়ে বোমা হামলা, পুলিশসহ আহত ৬ 

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
বেনাপোল বন্দর দখল নিয়ে বোমা হামলা, পুলিশসহ আহত ৬ 

বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক নেতৃত্ব দখল নিয়ে সংঘর্ষে ককটেল হামলায় ৫ শ্রমিক আহত হয়েছে। এ সময় এক পুলিশ সদস্য ইটের হামলায় জখম হয়। এঘটনায় অভিযুক্ত দুই সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল ১১টায় বেনাপোল স্থলবন্দর প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 
 
এদিকে উত্তেজিত বন্দর শ্রমিকের একটি অংশ আজ সোমবার দুপুরে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে অবস্থিত আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ব্যাংকের এক কর্মচারী আহত ও প্রায় ১২ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ ক্ষতি হয়। 

এদিকে শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সকল অপরাধীদের আটকের দাবিতে বন্দরে কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকেরা। এতে আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে সেখানে। বন্দরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছেন এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

আহত বন্দর শ্রমিকেরা হলেন, শফিক, আলী হোসেন, আহম্মেদ। বাকি তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

লাল পোশাক পরা বন্দর শ্রমিকের একটি দল মিছিল নিয়ে এসে ব্যাংকে ভাঙচুর করেজানা যায়, বেনাপোল বন্দরে শ্রমিকদের দুটি গ্রুপ রয়েছে। এর একটি নিয়ন্ত্রণ করেন শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান ওহিদ। তিনি বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। অপরদিকে শ্রমিকদের আরেক টির গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে যুবলীগ নেতা ও বেনাপোল পৌর কাউন্সিলর রাশেদ আলী। রাশেদ আলী সাবেক বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি ছিল। সাধারণ শ্রমিকদের অভিযোগ বন্দরের নেতৃত্ব দখল নিতে কাউন্সিলর রাশেদের নেতৃত্বে প্রথমে শ্রমিকদের ওপর সন্ত্রাসীরা ককটেল হামলা চালায়। এতে শ্রমিকেরা অহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে শ্রমিকেরা জোট বন্ধ হয়ে রাশেদের অনুসারী পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের একটি টাওয়ার ও এ টাওয়ারে থাকা আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ভাঙচুর করে। 

বেনাপোল আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ব্রাঞ্চ অপারেশন ম্যানেজার আবুল কালাম জানান, দুপুর ১টার দিকে লাল পোশাক পরা বন্দর শ্রমিকের একটি দল মিছিল নিয়ে এসে ব্যাংকে ভাঙচুর করে। এতে ব্যাংকের প্রায় ১২ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ ক্ষতি হয়েছে। একজন কর্মচারী আহত হয়েছে। এ হামলার বিচার চেয়েছেন তিনি। 

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, শ্রমিকেরা কাজ না করায় বন্দরে সকাল ১১টা থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বাণিজ্য সচল করতে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। 

যশোরের নাভরণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, বন্দরের শ্রমিক নেতৃত্ব দখল নিয়ে এ ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। পাঁচজন শ্রমিক আহত হয়েছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে একজন পুলিশ সদস্য পড়ে গিয়ে কিছুটা আহত হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। বন্দর সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত